ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকার বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতাকে খাটো করে দেখানোর চেষ্টা করছেন। অথচ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বেগম জিয়ার শোচনীয় শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে সংবাদ পরিবেশিত হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলো সরকারি চাপে সম্পূর্ণ সংবাদ পরিবেশন করতে পারছে না।
শুক্রবার সকাল সোয়া দশটায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করে বিএনপি। বিক্ষোভ মিছিলটি নয়াপল্টনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় পদক্ষিণ করে। পরে এক পথসভায় রিজভী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশনেত্রীর ওপর হিংসা-প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা বন্ধ হোক। তাকে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার অধিকার দেয়া হোক। তার ওপর সরকারি জুলুমের বিরুদ্ধে সমবেত জনতা এখন রুখে দাঁড়িয়েছে।
এই জনপ্রিয় নেত্রী দেশের মানুষের অধিকারের প্রশ্নে সব সময় সোচ্চার কন্ঠ বলেই প্রতিহিংসার আগুন নেভাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে তাকে কারাবন্দী করে তিলে তিলে নি:শেষ করতে চান। তবে অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতার দাপটে খালেদা জিয়াকে বন্দী করে সুচিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে তার ওপর যে নিষ্ঠুরতা চালাচ্ছেন, তা এদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ কোনদিনই ক্ষমা করবে না। আমি অবিলম্বে খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তি এবং তার পছন্দের হাসপাতালে সুচিকিৎসার সুযোগ দানের দাবি জানাই। পাশাপাশি কারাবন্দী সকল নেতাকর্মীরও নি:শর্ত মুক্তি দাবি করছি।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, সিইসি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন রাতের আঁধারে করার পর এবার ইভিএম দিয়ে ভোট লুটের আরেকটি বায়োস্কোপ দেখাবেন বলে মনে করছে জনগণ। আর এজন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা নিজের বিবেক বিসর্জন দিয়ে আওয়ামী বিবেক দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মনোবাঞ্ছনা পূরণেই কাজ করছেন বলে জনগণ মনে করে। প্রতিদিন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ও সমর্থকদের ওপর ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসী হামলা এবং পুলিশ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করলেও কমিশন উদাসীন। তাদের নির্বিকার ভূমিকায় গুরুত্বপূর্ণ এ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংস হয়ে গেছে।
রিজভী বলেন, এই সিইসির অধীনে এখন পর্যন্ত যতোগুলো নির্বাচন হয়েছে, সেগুলোতে শুধু একতরফা নির্বাচন, ভোট লুট, রাতের আঁধারে ব্যালটে সীল মারাই নয়, সরকারদলীয় সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য ও তান্ডবের কথা দেশের মানুষ কোনদিন বিস্মৃত হবে না।
মিছিলে অংশগ্রহণ করেন- তাঁতী দলের আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, তাঁতী দলের সদস্য সচিব হাজী মুজিবুর রহমান, যুগ্ম আহবায়ক গোলাপ মঞ্জুর, জে এম আনিসুর রহমান, হাজি ফিরোজ কিবরিয়া, রেজাউল করিম রানা, মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহবায়ক ওমর ফারুক পাটোয়ারী, জহিরুল ইসলাম বাশার, হান্নান, কবির মাষ্টার, ওয়াজেদ আলী, তাঁতী দল সদস্য তাজুল ইসলাম, মৎস্যজীবী সদস্য তানভীর আহমেদ, ছাত্রদল নেতা মামুন হোসেন ভূঁইয়া, রাজু আহমেদ, আখতার আহসান দুলাল, রেজাউল করিম রাজু, আলমগীর কবির, নাসির হোসেন, আকরাম আহমেদ, রতন চিশতী, ফিরোজ মাহমুদসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।