ক্রাইমর্বাতা রিপোট:সাতক্ষীরা: শনিবার সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমানের নিকট উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের গোবিন্দকাটি গ্রামের চিহ্নিত ১৫ মাদক ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারী আত্মসমর্পনের ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন এলাকার সচেতন বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ, চিহ্নিত এই মাদক ব্যবসায়ীরা নিরাপদে ব্যবসা পরিচালনা ও গ্রেপ্তার এড়াতে এর আগেও কয়েকবার আত্মসমর্পন করেছিলো।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্থানীয় সরকারি দলের প্রবাভশালী ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধি ও কিছু অসাধু কর্মকর্তার প্রশ্রয়ে থাকা গোবিন্দকাটি গ্রামের ১৫ জন চিহ্নিত মাদকব্যবসায়ী শনিবার সাতক্ষীরা মফিজুল ইসলাম, মিজানুর টিক্কা ও আজিজ এই প্রথম বার আত্মসমর্পন করেছিলো।
ঝাউডাঙ্গা বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও গোবিন্দকাটি গ্রামের বাসিন্দা জাহিদ হোসেন জানান, এলাকার এসব মাদক চোরাকারবারীরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার নাটক করে কয়েকবার আত্মসমর্পন করে। পূর্বের মামলা থেকে রেহাই পেতে তারা প্রতিবারই এহেন নাটক মঞ্চস্থ করে। মামলা থেকেই রেহাই পেলেই আবার ফিরে যায় পুরনো চেহারায়। তারা পুনরায় নিরাপদে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে। যার কারণে শনিবার সদর থানায় নতুন করে আত্মসমর্পন করা মামলা থেকে রেহাই পাওয়ার একটি ভিন্ন কৌশল।
এ ঘটনায় স্থানীয় এলাকাবাসী বিস্ময় প্রকাশ করে পুলিশের চলমান মাদক বিরোধী অভিযানকে আরও কঠোর হওয়ার জন্য মন্তব্য করেছেন। তিনিও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আত্মসমর্পনকারী ১৫ জন মাদক ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন যাবত এলাকায় মাদকের কারবার পরিচালনা করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলাও রয়েছে। এছাড়া উক্ত মাদক ব্যবসায়ীরা এরআগে সাতÿীরা জেলায় খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি, জেলার দুই পুলিশ সুপার ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসির নিকট আত্মসমর্পন করেছিলো। বাজার কমিটির সম্পাদক আরও বলেন, ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নকে মাদকমুক্ত করতে সর্বশেষ এই মাদক ব্যবসায়ীরা সাতÿীরা পুলিশ লাইন্স মাঠে পুলিশের মহা পরিদর্শক (আইজিপি) ড. জাবেদ পাটোয়ারীর নিকট আত্মসমর্পন করে এবং মাদক ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম মনিকে (পঙ্গু মনি) একটি ভ্যান প্রদান করেন। এঘটনার পরও চিহ্নিত এই ১৫ জন মাদক ব্যবসায়ী এলাকায় ফিরে পুনরায় রমরমা মাদক ও চোরাকারবারীর কাজ পরিচালনা করে যুব সমাজকে ধংস করছে। তিনিও এসব মাদক ব্যবসায়ীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও আত্মসমর্পনের নাটক বন্ধ করার দাবি করেন।