ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ বনদস্যুদের দাবিকৃত মুক্তিপনের ছয় লাখ টাকা পরিশোধের পর রোববার সকালে বাড়িতে ফিরেছে সুন্দরবনে মাছ শিকারে যেয়ে অপহৃত মিয়ারাজ হোসেন (৩৫) ও রবিউল ইসলাম(৩০), কবির (২৬) ও রিপন হোসেন (২৬) নামের চার জেলে। তারা যথাক্রমে শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের কালিঞ্চি গ্রামের আব্দুল্লাহ খোকন, সাদেক গাজী এবং নাপিতখালী গ্রামের মকিম হালদার ও সিরাজুল হালদারের ছেলে।
মুক্তিপনের টাকা দিতে বিলম্ব ঘটায় জিম্মি অবস্থায় ব্যাপক শাররীক নির্যাতনের শিকার চার জেলেকে রোববার দুপুরে পরিবারের পক্ষ থেকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সাত সদস্যের সশস্ত্র একটি গ্রুপ গত ১৪ জানুয়ারী বিকাল ও রাতে পশ্চিম সুন্দরবনের পুষ্পকাটি ও বাটুলে এলাকা থেকে ঐ চার জেলেকে অপহরণ করে মুক্তির বিনিময়ে ছয় লাখ টাকা দাবি করে। তারা আবু সালেহ কোম্পানী নামীয় একটি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক হিসেবে কোবাতক ষ্টেশন থেকে পাশ নিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশের পর অপহরনের শিকার হয়।
ফিরে আসা জেলে মিয়ারাজসহ অন্যরা জানিয়েছে জনৈক আবু সালেহ কোম্পানীর শ্রমিক হয়ে তারা পশ্চিম সুন্দরবনে মাছ শিকারে যায়। ১৪ জানুয়ারী মঙ্গলবার বনদস্যুরা নিজেদের বনদস্যু ‘জিয়া বাহিনী’র সদস্য পরিচয়ে ছয়টি নৌকার ১২ জেলের মধ্য হতে তাদের চারজনকে উঠিয়ে নিয়ে তিন দিনের মধ্যে ছয় লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করে। জিম্মি অবস্থায় তাদের হাত পা বেঁধে গরানের লাঠি দিয়ে পায়ের তালুসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে নির্যাতনের বর্ণনা দেয় ফিরে আসা চার জেলে। রমজাননগর ও গাবুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ আল মামুন ও মাসুদুল আলম জানায় ফিরে আসা জেলেরা স্বাভাবিক হাটা চলার সক্ষমতা হারিয়েছে। তাই পরিবারের পক্ষ থেকে বাড়িতে ফেরার পরপরই শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়েছে।