হত্যার পর বাড়ির মধ্যে উঠানে মাটির নিচে পুঁতে রাখা কলেজছাত্র রাসেল আহমেদ জীমের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জীম ২ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল লাশটি সাতক্ষীরা শহরের অদূরে চালতেতলা গ্রামের জাহিদ হোসেনের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মোহিতুল ইসলাম জানান, রাসেল আহমেদ জীম সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। জাহিদ হোসেন তার বন্ধু। দু’জনের বাড়ি খুলনায় হলেও তারা সাতক্ষীরায় ভিন্ন বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। মঙ্গলবার জাহিদ হোসেন তার বন্ধু রাসেল আহমেদকে তার বাড়িতে ডেকে আনেন। ওই দিন কোনো এক সময় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ পুঁতে রাখা হয় প্রাচীরঘেরা বাড়ির মধ্যে উঠানে।
তিনি জানান, ছেলের খোঁজ পেতে রাসেল আহমেদের বাবা হিমু সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলার সূত্র ধরে পুলিশ প্রথমে জাহিদকে আটক করে। পরে জাহিদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার বাড়ির উঠানের মাটির নিচ থেকে উত্তোলন করা হয় রাসেলের লাশ।
হত্যার কোনো মোটিভ এখনও জানা যায়নি উল্লেখ করে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ধারণা করা হচ্ছে তাদের মধ্যে কোনো অবৈধ কারবার ছিল। এ নিয়ে বিরোধের জেরে তাকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে।
জাহিদ হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ক্রাইমর্বাতা রিপোর্ট:সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার শহরের ৫নং ওয়ার্ড এরাকার চালতেতলা বাগানবাড়ী এলাকা থেকে এক কলেজ ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকালে অপহরনকারী জাহিদ হাসানের স্বীকারোক্তি মোতাবেক পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের নাম রাসুল আহমেদ জিম (২২)। সে খুলনার ফুলবাড়িগেট এলাকার শেখ হেমায়েত হোসেন হিমুর ছেলে। বর্তমানে তারা পুরাতন সাতক্ষীরা হাটেরমোড় এলাকায় মৃত আব্দুস সবুর গাজীর ভাড়া বাড়িতে বসবাস করে। জিম
সাতক্ষীরা সরকারী কলেজের অনার্স প্রথমবর্ষের ছাত্র।
পুলিশ জানায়, গত ২১ জানুয়ারী সাতক্ষীরা শহর থেকে অপহরন করা হয় জিমকে। এ ঘটনায় জিমের বাবা হেমায়েত হোসেন হিমু বাদী হয়ে পরদিন (২২জানুয়ারী) শহরের মুনজিতপুর এলাকার আব্দুর রউফের ছেলে জাহিদ হাসান (২৩)সহ অজ্ঞাত আরো ৬/৭ জনকে আসামী করে সদর থানায় একটি অপহরন মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আজ বৃহস্পতিবার ভোরে সদর থানা পুলিশ অপহরনকারী জাহিদ হাসানকে গ্রেপ্তার করে। এরপর জাহিদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক বিকালে তার ভাড়াবাড়ি চালতেতলা বাগানবাড়ী এলাকার জনৈক লিটনের বাড়ি থেকে মাটিতে পুতে রাখা অবস্থায় ওই কলেজ ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে বলে পুলিশ আরো জানায়।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসাপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।