ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ চীনের করোনা ভাইরাস নিয়ে এখন বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ। একদিনের মধ্যে সেখানে এই ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ২৬ থেকে বেড়ে আজ শনিবার এসে দাঁড়িয়েছে ৪১। মারা গেছেন একজন ডাক্তারও। তিনি উহান শহরে আক্রান্তদের চিকিৎসা দিচ্ছিলেন। এ খবর দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, বিশ্বজুড়ে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১৩০০। বিশ্বজুড়ে যাতে এই মহামারি ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে জন্য সতর্কতা অবলম্বন করছে স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্তৃপক্ষ। উহান শহরে হুবেই সিনহুয়া হাসপাতালে প্রথম এই ভাইরাস ধরা পড়ে। সেখানে আক্রান্তদের চিকিৎসা দিচ্ছিলেন ডাক্তার রিয়াং উডং (৬২)।
চায়না গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক এক টুইটে বলেছে, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা গেছেন।
যে ৪১ জন মারা যাওয়ার কথা বলা হয়েছে, তার মধ্যে এই চিকিৎসক অন্তর্ভুক্ত কিনা তা স্পষ্ট নয়। রিপোর্টে বলা হয়েছে, মৃত ৪১ জনের মধ্যে ৩৯ জনই হুবেই প্রদেশের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের। শনিবার ন্যাশনাল হেলথ কমিশন বলেছে, এই ভাইরাসে চীনে আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২৮৭। এরই মধ্যে করোনা ভাইরাস সনাক্ত করা হয়েছে থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুরে, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, নেপাল, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ায়।
শনিবার প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে অস্ট্রেলিয়া থেকে। বলা হয়েছে, সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৫০-এর কোটায় পা রাখা একজন চীনা নাগরিক। তিনি ছিলেন চীনের উহানে। সেখান থেকে ১৯শে জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়া গিয়েছেন। মেলবোর্ন হাসপাতালে তার অবস্থা স্থিতিশীল। সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ার প্রধান মেডিকেল অফিসার ব্রেন্ডন মারফি বলেছেন, চীনের বাইরে যে পরিমাণ এই ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া যাচ্ছে এবং উহান শহর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় যে পরিমাণ মানুষ যান, তাতে আরও আক্রান্ত পাওয়া যেতে পারে। শনিবারই প্রথম একজনের দেহে এই ভাইরাস পাওয়া গেলো। তবে প্রতিদিন অনেকের পরীক্ষা করা হচ্ছে। তাতে নেতিবাচক ফল আসছে।
শুক্রবার রাতে এই ভাইরাসে আক্রান্তের খবর আসে ইউরোপের প্রথম দেশ ফ্রান্স থেকে। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন বলেছে, তারা পরীক্ষাধীন রেখেছে ৬৩ জন রোগিকে। তার মধ্যে দু’জনের দেহে এই ভাইরাস নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা চীনের উহান সফরে গিয়েছিলেন। এই ভাইরাস মানুষের দেহ থেকে মানুষের দেহে সংক্রমিত হওয়ার বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় এ সপ্তাহে করেনা ভাইরাস নিয়ে চীনে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে একে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উদ্বেগ হিসেবে ঘোষণা করেনি তারা