গ্রামের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে থাকা শাক-লতাপাতা পুষ্টির আধার: লাভলী কামাল

ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ   সাতক্ষীরা:   সদর উপজেলার তুজলপুরে ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলে কুড়িয়ে পাওয়া শাকের পাড়া মেলা। মঙ্গলবার বিকেলে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিকের সহযোগিতায় তুজলপুর কৃষক ক্লাব ও গাছের পাঠশালা এই মেলার আয়োজন করে।

মেলায় শতাধিক নারী গ্রামের বিভিন্ন জায়গা থেকে কচুর ডাটা, থানকুনি, কলমি, হেলাঞ্চা, সাঞ্চি, বেতশাক, কলার মুচা, ডুমুর, বউটুনি, কাটানুটি, ঘোড়া গাদো, ঘুমশাক, খুদ কলসি, পেপুল, বুনো ধনে পাতাসহ দেড় শতাধিক ভেষজ ও খাদ্যগুণ সম্পন্ন শাক-লতাপাতা প্রদর্শন করেন।

পরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জেলা লেডিস ক্লাবের সভানেত্রী ও জেলা প্রশাসক পতœী লাভলী কামাল সর্বোচ্চ সংখ্যক শাক কুড়িয়ে আনা নারীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তুজলপুর কৃষক ক্লাবের সভাপতি ইয়ারব হোসেনের সভাপতিত্বে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক অরবিন্দ বিশ^াস, এনডিসি স্বজল মোল্লা ও ঝাউডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ খলিলুর রহমান। আরও উপস্থিত ছিলেন তুজলপুর জিসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম, মুুক্তিযোদ্ধা ডা. আবুল হোসেন, বারসিক কর্মকর্তা গাজী আসাদ, ফজলুল হক, মাহিদা মিজান, কৃষক ক্লাবের সভাপতি গোলাম রহমান প্রমুখ।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক পতœী লাভলী কামাল বলেন, গ্রামের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শাক-লতাপাতা পুষ্টির আধার। এগুলো সংরক্ষণ ও ব্যবহারের মাধ্যমে পুষ্টির চাহিদা যেমন মেটানো সম্ভব, তেমনি রোগ বালাই থেকেও দূরে থাকা সম্ভব।

মেলায় কোন শাক লতা-পাতার কি গুণ, কোন অচাষকৃত কুড়িয়ে পাওয়া শাক-লতা পাতা খাওয়া যায়, কোনটি খাওয়া যায় না-তা জানতে এসেছিলেন গ্রামের আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা সকলেই।

Check Also

সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন এর আয়োজনে বিজয় দিবস পালন ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় বিজয় দিবস উপলক্ষে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা,পুরুষ্কার বিতারণ ও আলোচনা সভা  অনুষ্ঠিত হয়েছে। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।