ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ শ্বাসকষ্ট নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বর্তমানে তাকে হাসপাতালের সিসিইউতে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা নিয়ে শুক্রবার দুপুরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বিএসএমএমইউর কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৈয়দ আলী আহসান বলেন, ‘উনার শ্বাসকষ্ট হয়েছিল। একটু প্রেশার বেড়ে গিয়েছিল। তবে আতঙ্ক হওয়ার কিছু নেই। আমরা মোটামুটি ট্যাকেল করেছি। উনি এখন শান্ত আছেন। ঘুমের ওষুধ দেয়া হয়েছে। উনি এখন রেস্টে আছেন। উনার রেস্ট প্রয়োজন।’
উন্নত চিকিৎসার জন্য ওবায়দুল কাদেরকে দেশের বাইরে পাঠানো হবে কিনা সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি সময়ের ব্যাপার।’
আলী আহসান আরও বলেন, ‘উনি তো ভালোই ছিলেন। কর্মজীবনে একটু স্ট্রেস (চাপ) হয়। সামনে ইলেকশন আছে। এই স্ট্রেসে হয়তো…। আবার উনার একটু ঠাণ্ডা আছে। এখন তো ঘরে ঘরে ঠাণ্ডা জ্বর-সর্দি হচ্ছে। তবে উনি আশঙ্কামুক্ত।’
হাসপাতালে কতক্ষণ থাকা লাগতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা হয়তো তাকে লম্বা সময় রাখতেও পারি। তবে সেটি পরিস্থিতি বুঝে।
বিদেশে নেয়ার বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, উনার শারীরিক অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেয়া হবে; উনাকে বিদেশে নেয়া হবে কি হবে না। তবে উনার শারীরিক অবস্থা স্ট্যাবল।
‘বিদেশে নেয়ার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। যদি প্রয়োজন হয়, তার অবস্থা বুঝে বিদেশে নেয়া হবে।’
ওবায়দুল কাদের কথা বলতে পারছেন কিনা জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, উনি এ মুহূর্তে ঘুমোচ্ছেন। এই সময় তাকে ডিস্টার্ব করা ঠিক না। তবে ঘুমের ওষুধ দেয়ার আগে উনি কথা বলেছেন।
শিগগিরই তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন বলে জানান বিএসএমএমইউর ভিসি।
এর আগে সকালে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে গিয়ে শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন ওবায়দুল কাদের। পরে সেখান থেকে তিনি বিএসএমএমইউতে ভর্তি হন।