ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ বাড়ির গরুকে মারপিট করে জখম করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাবা ও ছেলের মধ্যে ধাক্কাধক্কি হয়। এক পর্যায়ে বাবা শামসুর রহমান ঢালি ইটের উপর পড়ে মাথায় প্রচন্ড আঘাত পেয়ে মৃত্যু বরণ করেছেন।
তবে কেউ কেউ বলছেন শামসুর রহমান ছেলে মিয়ারাজ ঢালির তাড়া খেয়ে আত্মরক্ষা করতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। অপরদিক অন্যরা বলছেন ছেলের লাঠির আঘাতে মারা গেছেন তিনি।
০৮ ফেব্রয়ারি শনিবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার সাহাপুর গ্রামে।
গ্রামবাসী জানান বাবা শামসুর রহমান ও ছেলে মিয়ারাজ ঢালি সম্প্রতি একটি গরু ক্রয় করেন । গরুটি অন্যের ফসল নষ্ট করায় বাবা শামসুর রহমান গরুটিকে বেদম মারপিট করে জখম করেন। ছেলে মিয়ারাজ গরুকে মারপিটের প্রতিবাদ করে বাবার নাম তুলে কদর্য ভাষায় গালাগাল করেন। এ নিয়ে বাবা ও ছেলে দু’জনেই উত্তেজিত হয়ে একে অন্যকে লাঠিসোটা নিয়ে আক্রমন করেন। অভিযোগ পাওয়া গেছে ছেলে মিয়ারাজের লাঠির আঘাতে বাবা শামসুর রহমান ঘটনাস্থলেই মারা যান। তবে অনেকে ভিন্নমত প্রকাশ করে বলেন ছেলের হাত থেকে রক্ষা পেতে পালিয়ে যাবার সময় হোঁচট খেয়ে পড়ে গিয়ে মারা যান শামসুর রহমান (৫৫)।
কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন তিনি ঘটনা শুনেছেন । সাহাপুরে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। শামসুর রহমানকে লাঠিপেটা করে হত্যা করা হয়েছে নাকি তিনি হোঁচট খেয়ে পড়ে মারা গেছেন তা তদন্ত না করে কলা সম্ভব নয়।
স্থানীয়রা আরো জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে পিতা ও ছেলের মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে মারামারির সূত্রপাত হয়। এসময় মিয়ারাজ হোসেন লাঠি দিয়ে পিতা সামছুর রহমানের মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
খবর পেয়ে কালিগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম আজিজুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের মাথায় আঘাতের চিহৃ রয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করা হচ্ছে। ঘাতককে আটকের চেষ্টা চলছে।