ক্রাইমর্বাতা রিপোট: বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সার্বিক দিক থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। সবগুলো সূচক নিম্নমূখী। শুধু রেমিট্যান্স একটু ভালো। বাকি আমদানি-রপ্তানি, রাজস্ব আয় ও ব্যাংকের অবস্থা খারাপ। তার মধ্যে মূল্যস্ফীতির একটা চাপ আছে। অর্থমন্ত্রী এটা অনুভব করেছে। তার মানে এটা একটা চ্যালেঞ্জ।
তিনি বলেন, আমার মতে এইসব নিয়ে বলার কিছু নেই।
সদিচ্ছা থাকলে সিরিয়াসলি নিলে সমস্যা উত্তরণ করা সম্ভব। শুধুমাত্র কথাবার্তা বলে বা বক্তব্য দিয়ে কোন লাভ হবে না। সমস্যা উত্তরণের জন্য শক্ত হাতে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকে এবং ব্যাংকগুলোকে ঠিকমত শৃঙ্খলা এবং তাদের যে নিয়ম-কানুন তা পরিপালনে শক্ত হতে হবে। কোনরকম ছাড় দেয়া যাবে না। যারা রপ্তানিকারক তাদের অনেক ঝামেলা আছে। ফরেন একচেঞ্জ- এখানেও ঝামেলা আছে। সেটার দিকে দৃষ্টি দিতে হবে।
সাবেক এই গভর্নর বলেন, আমদানির ক্ষেত্রে তো এখন চায়নার বিষয়টি আছে। অর্থনীতির বহুমাত্রিক বিষয়গুলোতে নজর দিতে হবে। উনারা জানেন সমস্যাগুলো কোথায়। প্রয়োজন হলে আরও ভালোভাবে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। শুধু বললেই হবে না ভালো করছি, ভালো চলছে। অন্যায় সুবিধা, ছাড় দেয়া এগুলো সব বন্ধ করতে হবে। সদিচ্ছা থাকলে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে এখনই অ্যাকশন নিতে হবে, যেহেতু অর্থমন্ত্রী উপলব্ধি করেছেন।
সালেহ উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, অর্থনীতির চ্যালেঞ্জগুলো বহুমাত্রিক। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় হচ্ছে আর্থিক ব্যবস্থপনা। ব্যাংকিং খাততো আছেই। ব্যাংক, বীমা, পুঁজিবাজারও বড় চ্যালেঞ্জ। সরকারের রাজস্ব আয়-ব্যয়ের সামঞ্জস্যহীনতা, ঋণ ঘাটতি এগুলো ঠিক করতে হবে। আর্থিক ব্যবস্থপনা যদি সঠিক না হয় দেশের উন্নয়ন ব্যাহত হবে এবং দেশ অর্থনৈতিক ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।