ক্রাইমর্বাতা রিপোট: নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রত্যাহার হওয়া আলোচিত পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগের তদন্ত শেষ হয়েছে। তবে তদন্ত প্রতিবেদন এখনও দাখিল করা হয়নি। আজ সোমবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চকে এই তথ্য জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অমিত তালুকদার।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী এডভোকেট সালেহ উদ্দিন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার আদালতে বলেন, মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগে পুলিশের তদন্ত শেষ হয়েছে। তবে রিপোর্ট আমরা এখনো হাতে পাইনি। আশা করি, শিগগিরই পাবো। তখন আদালত রিটকারী আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তাহলে পুলিশের প্রতিবেদনটা আগে দেখুন।
এরপর আদালত পরবর্তী শুনানির জন্য ৫ই এপ্রিল দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত বছর রিটকারী আইনজীবী এডভোকেট সালেহ উদ্দিন বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন। গত বছরের ১২ই নভেম্বর মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ও ক্ষমতা অপব্যবহারের তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে করা রিট শুনানি মুলতবি রাখেন আদালত। আদালত রিটকারী আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে ওইদিন বলেছিলেন, আপনি তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো আগে দুনীর্তি দমন কমিশন ও পুলিশ মহাপরিদর্শকের কাছে দাখিল করেন। তারা যদি কোনো ব্যবস্থা না নেয়, তারপর আপনারা হাইকোর্টে আসেন। তখন আমরা বিষয়টি দেখবো। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়। বিভিন্ন অভিযোগের মুখে গত বছরের ৩রা নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রত্যাহার করা হয় পুলিশ সুপার (এসপি) হারুন অর রশিদকে।
অভিযোগ রয়েছে, এসপি হারুন চাঁদার জন্য একাধিক শিল্পপতিকে তুলে নিয়ে সাজানো মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর ভয় দেখিয়েছেন। এরপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে এসপি হারুন অর রশীদকে নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দপ্তরে (ট্রেনিং রিজার্ভ) সংযুক্ত করে