দু’দিনের ভারত সফরের প্রথম দিনেই তাজমহলে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া। অন্য সবার মতো ঘুরে ঘুরে দেখেন দিল্লির অধিপতি মোগল সম্রাট শাহজাহানের প্রেমের সৌধ।
মুগ্ধ হয়ে দেখেছেন মোগল স্থাপত্যের ঐতিহাসিক স্থাপত্যশৈলী-কারুকাজ। পড়ন্ত বিকেলে হাতে হাত রেখে তাজমহলের চতুর্দিকে হাঁটলেন ট্রাম্প দম্পতি। ফ্রেমবন্দি করলেন সে স্মৃতিও।
এতকিছুর পরও শেষ ইচ্ছেটা পূরণ হল না! সম্রাট শাহজাহানের প্রিয়তমা বেগম মমতাজের সমাধির কাছে পৌঁছতে পারলেন না! বাধা হয়ে দাঁড়াল তার উচ্চতা। খবর এনডিটিভির।
সোমবার বেলা ১১টা ৩৭ মিনিটে সপরিবারে ভারতের মাটিতে পা রাখেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সবরমতী আশ্রম, মোতেরা স্টেডিয়াম ঘুরে আগ্রার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। বিকাল ৪টার কিছু আগে সপরিবারে আগ্রায় পৌঁছান ট্রাম্প।
স্বাগত জানাতে আগে থেকেই তৈরি ছিল গোটা আগ্রা। আগ্রা বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল। বিমানবন্দরে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজনও করা হয়।
স্ত্রী, মেয়ে এবং জামাইকে সঙ্গে নিয়ে বিমানবন্দর থেকে ‘দ্য বিস্ট’-এ চড়ে তাজমহলে পৌঁছান ট্রাম্প। এ সময় রাস্তার দু’পাশে ভারত ও আমেরিকার পতাকা নাড়িয়ে তাকে স্বাগত জানায় দাঁড়িয়ে থাকা শত শত শিক্ষার্থী।
এরপর প্রেমের সৌধে পা রাখেন ট্রাম্প দম্পতি। ভিজিটরস বুকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লেখেন, ‘প্রেরণা দেয় তাজমহল। সবার সম্ভ্রম আদায় করে নেয় প্রেমের স্মৃতিসৌধ। ভারতের বৈচিত্র্যময় ঐতিহ্যের সাক্ষী এই তাজমহল। ভারতকে ধন্যবাদ।’
তাজমহল দর্শনে তাদের সঙ্গে থাকা গাইড নীতিন কুমার সিং আইএএনএসকে জানান, তাজমহলের সৌন্দর্য দেখে অভিভূত হয়ে গিয়েছিলেন ট্রাম্প। যদিও শাহজাহান এবং মমতাজের যে আসল সমাধি, সেখান পর্যন্ত তিনি পৌঁছাতে পারেননি।
কারণ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রক্ষীরা জানান, আসল সমাধিতে যাওয়ার যে রাস্তা, তার উচ্চতা অনেক কম এবং সরু। যে কারণে ট্রাম্পের মাথায় আঘাত লাগার সম্ভাবনা ছিল।
ট্রাম্পের উচ্চতা ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি। সেকারণেই নিরাপত্তারক্ষীরা তার সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই সমাধি পর্যন্ত যেতে নিষেধ করেন। তবে মমতাজের স্মৃতিসৌধের সামনে দাঁড়িয়ে স্বামী জারেড কুশনারের হাতে হাত রেখে প্রেমের জোয়ারে ভাসলেন কন্যা ইভাংকা। বাবা-মায়ের মতো তাজমহল সফর বেশ উপভোগ করেছেন তারাও।