ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ নোভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ভারত এখন কোয়ারেন্টিনে। আপাতত ভারতে পর্যটকদের প্রবেশ বন্ধ । বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তরফে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত এ পর্যন্ত দেয়া সব পর্যটক ভিসা ও ই-ভিসা বাতিল বলে ঘোষণা করেছে। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সমস্ত ভিসা বাতিল করা হলো। ভারতীয় সময় ১৩ই মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। তবে কূটনীতিক, বিভিন্ন প্রকল্পে নিযুক্ত বিদেশি এবং জাতিসংঘ বা আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলির আধিকারিকদের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে না। বিদেশে বসবাসকারী প্রবাসী ভারতীয়দেরও আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত ভারত না আসতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ভারতীয়দেরও বিদেশ সফরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
কোনো প্রয়োজনে কারও বিদেশ যেতে হলে সেখান থেকে ফিরে আসার পর বাধ্যতামূলকভাবে ২৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। বুধবার সন্ধ্যায় ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের সভাপতিত্বে উচ্চ পর্যায়ের মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। তবে ইতিমধ্যেই যে সব বিদেশি ভারতে রয়েছেন তাদের ভিসা বৈধ থাকবে। তাদের সংশ্লিষ্ট ফরেনার্স রেজিস্ট্রেশন অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হযেছে। ব্যুরো অব ইমিগ্রেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সব স্থল চেকপোস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যটকদের যাতায়াত সীমিত করে কয়েকটি চেকপোস্টকে নির্দিষ্ট করা হবে। বিশ্বে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেও নোভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করা যাচ্ছে না। একের পর এক দেশে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। এই রোগ বর্তমানে বিশ্বে মহামারির আকার নিয়েছে বলে বুধবার ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। সংক্রমণ বিস্তারের গতিতে তারা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছে। ভারতেও নোভেল করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে বিভিন্ন মহলে বেড়েছে উদ্বেগ। এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬২ জন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারির পরে চীন, ইতালি, কোরিয়া, ফ্রান্স, স্পেন এবং জার্মানি থেকে এসেছেন বা এই সমস্ত দেশে গিয়েছিলেন তাদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তাদের অন্তত ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে বলে বুধবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে চীন, ইতালি, ইরান, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার পাশাপাশি ফ্রান্স, স্পেন এবং জার্মানির নাগরিকদের ভিসা না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। করোনা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক স্তরে সমন্বয়ের জন্য অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের এক আধিকারিককে নোডাল অফিসার নিয়োগ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তিনি আন্তর্জাতিক স্তরে সমন্বয় রক্ষা করবেন। বুধবার মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে মহামারি আইন (১৮৯৭)-এর ২ নম্বর ধারা প্রয়োগ করতে বলা হবে, যাতে কেন্দ্র ও রাজ্য স্তরে (করোনা নিয়ে) প্রচারিত সমস্ত পরামর্শ মানতে সকলেই বাধ্য থাকেন। জাতীয় কার্যনির্বাহী বিপর্যয় মোকাবিলা কমিটির ক্ষমতা দেয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিবকে।
কোনো প্রয়োজনে কারও বিদেশ যেতে হলে সেখান থেকে ফিরে আসার পর বাধ্যতামূলকভাবে ২৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। বুধবার সন্ধ্যায় ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের সভাপতিত্বে উচ্চ পর্যায়ের মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। তবে ইতিমধ্যেই যে সব বিদেশি ভারতে রয়েছেন তাদের ভিসা বৈধ থাকবে। তাদের সংশ্লিষ্ট ফরেনার্স রেজিস্ট্রেশন অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হযেছে। ব্যুরো অব ইমিগ্রেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সব স্থল চেকপোস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যটকদের যাতায়াত সীমিত করে কয়েকটি চেকপোস্টকে নির্দিষ্ট করা হবে। বিশ্বে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেও নোভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করা যাচ্ছে না। একের পর এক দেশে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। এই রোগ বর্তমানে বিশ্বে মহামারির আকার নিয়েছে বলে বুধবার ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। সংক্রমণ বিস্তারের গতিতে তারা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছে। ভারতেও নোভেল করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে বিভিন্ন মহলে বেড়েছে উদ্বেগ। এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬২ জন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারির পরে চীন, ইতালি, কোরিয়া, ফ্রান্স, স্পেন এবং জার্মানি থেকে এসেছেন বা এই সমস্ত দেশে গিয়েছিলেন তাদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তাদের অন্তত ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে বলে বুধবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে চীন, ইতালি, ইরান, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার পাশাপাশি ফ্রান্স, স্পেন এবং জার্মানির নাগরিকদের ভিসা না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। করোনা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক স্তরে সমন্বয়ের জন্য অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের এক আধিকারিককে নোডাল অফিসার নিয়োগ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তিনি আন্তর্জাতিক স্তরে সমন্বয় রক্ষা করবেন। বুধবার মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে মহামারি আইন (১৮৯৭)-এর ২ নম্বর ধারা প্রয়োগ করতে বলা হবে, যাতে কেন্দ্র ও রাজ্য স্তরে (করোনা নিয়ে) প্রচারিত সমস্ত পরামর্শ মানতে সকলেই বাধ্য থাকেন। জাতীয় কার্যনির্বাহী বিপর্যয় মোকাবিলা কমিটির ক্ষমতা দেয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিবকে।