ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ নিখোঁজের চার দিন পরও খোঁজ মেলেনি ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও নিখোঁজের স্বজনদের তার অবস্থান সম্পর্কে তথ্য দিতে পারছেন না। তাই কাজলের স্বজনদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বেড়েই চলেছে। তার স্ত্রী সন্তানরা ভেঙে পড়েছেন। তারা কাজলকে সুস্থভাবে ফিরিয়ে দেয়ার আকুল আবেদন জানিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে আইনের মাধ্যমে নিষ্পত্তির কথাও বলেছেন।
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে কাজলের স্ত্রী ও সন্তান সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা জানিয়েছেন, তথ্য প্রযুক্তির যুগে একজন মানুষকে খোঁজে বের করা কঠিন কিছু না।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে চেষ্টা করলেই কাজলের সন্ধান পাওয়া যাবে। আর যদি শত্রুতার কারণে কেউ তাকে তুলে নিয়ে যায় তবে তাকে ক্ষমা করে দিয়ে তার স্ত্রী সন্তানের কথা ভেবে যেন ছেড়ে দেয়।
কাজলের ছেলে মনোরম পলক বলেন, বাবা মামলার বিষয়ে কিছুই জানতেন না। কারণ আমাদের পরিবারের কেউ কিছু জানলে সবাইকে তা শেয়ার করে। ওই দিন তিনটার দিকে তিনি বাসা থেকে বের হয়ে গিয়েছিলেন। এমনিতে তিনি রাত ১০ থেকে ১১টার মধ্যে বাসায় ফিরেন। রাত ১১টার মধ্যে বাসায় না ফেরাতে আমরা তার দুটি মোবাইলে ফোন দিয়ে বন্ধ পাই। রাতে ফিরে না আসায় পরদিন চকবাজার থানায় একটি জিডি করি। পরে পুলিশ আমাদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছে। তবে রাতে ফেসবুক পোষ্টের মাধ্যমে গণমাধ্যমকর্মীদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি বাবার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আমাদের কাছে কোনো হুমকি ছিলো না বা কেউ ফোন দেয়নি। ডিবি অফিসে গিয়ে খোঁজ নিয়েছি কোনো মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কিনা। ডিবি অফিস থেকে আমাকে জানানো হয়েছে বাবা গ্রেপ্তার নেই।
পলক বলেন, আমি বাবার উদ্ধারের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করছি। আর আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অনুরোধ জানাচ্ছি তাদের সর্বোচ্চটুকু দেয়ার জন্য। কারণ তথ্য প্রযুক্তির যুগে একজন নিখোঁজ ব্যক্তিকে খোঁজে বের করা অসম্ভব কিছু না।
কাজলের পরিবারের সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল আলম প্রমুখ। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, রাষ্ট্রের কোনও নাগরিকই নিখোঁজ হয়ে যেতে পারেন না। কেউ নিখোঁজ হলে রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে, তাকে খুঁজে বের করে সুস্থ শরীরে তার পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়া। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা কামনা করেন।