ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোটঃ জনস্বাস্থ্যের ওপর আরোপিত বিধিনিষেধের ফলে সৃষ্ট অর্থনৈতিক ক্ষতির চেয়ে করোনাভাইরাসে প্রবীণদের মরে যাওয়াই ভালো বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের গভর্নর ড্যান প্যাট্রিক। সোমবার রাতে মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজের উপস্থাপক টাকার কার্লসনকে প্যাট্রিক বলেন, তার এই অবস্থানের সঙ্গে দেশের অসংখ্য তরুণ-তরুণী একমত হবে বলে বিশ্বাস করেন তিনি।
টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের গভর্নর ড্যান প্যাট্রিক
টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের গভর্নর ড্যান প্যাট্রিক
উল্লেখ্য, বিভিন্ন গবেষণা ও এই ভাইরাসে এ পর্যন্ত মৃত্যু ব্যক্তিদের পরিসংখ্যান থেকে দেখা গেছে, করোনা সংক্রমিত হয়ে সর্বোচ্চ মৃত্যুঝুঁকিতে অবস্থান করেন অপেক্ষাকৃত প্রবীণরা।
যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত মারাত্মক ছোঁয়াচে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৪৩ হাজার ৭৩৪ জন। আর মারা গেছে ৫৫৩ জন। এর মধ্যে নতুন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে দশ হাজার ১৬৮ জন আর মারা গেছে ১৪০ জন। সোমবার রাতে করোনাভাইরাস নিয়ে হোয়াইট হাউসের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের করোনা সমন্বয়ক ডা. ডেবোরাহ বিরক্স বলেন, ইউরোপের পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে দেখা গেছে এই ভাইরাসে মারা যাওয়া ৯৯ শতাংশ মানুষের বয়স ৫০ বছরের বেশি।
৬৯ বছর বয়সী রিপাবলিকান লেফটেন্যান্ট গভর্নর ড্যান প্যাট্রিকন বলেন, ‘আমার বার্তা হলো: কাজে ফিরে চলুন, জীবনে ফিরে চলুন, এটা নিয়ে স্মার্ট হোন, আর আমরা যারা সত্তোরোর্ধ আছি, আমরা নিজেরাই নিজেদের খেয়াল রাখবো’। তিনি বলেন, ‘দেশ বিসর্জন দেবেন না। এমনটা করবেন না’।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় নেওয়া জনস্বাস্থ্যগত নিষেধাজ্ঞা নিজের জানা আমেরিকার জীবনযাত্রা শেষ করে দিতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করেন ড্যান প্যাট্রিক। নাতি-নাতনিদের জন্য অর্থনীতিকে রক্ষায় জীবনের ঝুঁকি নিতেও প্রস্তুত আছেন বলে জানান তিনি। বলেন, ‘মহান বা সাহসী বা সেরকম কোনও হতে আমি এটা বলছি না। আমি কেবল ভাবছি আমার মতো অনেকের নাতি-নাতনি এই দেশে রয়েছে’।
টেক্সাসের রিপাবলিক্যান সদস্য ড্যান প্যাট্রিক বলেন, ‘পুরো দেশ ত্যাগ স্বীকার করুক তা আমি চাই না। আমি শত শত মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি… আর সবাই প্রায় একই কথা বলেছে: আমরা পুরো দেশ হারাতে পারি না। আমাদের অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে’। তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট (ডোনাল্ড ট্রাম্প) যে রকম বলেছেন মৃত্যুর হার খুবই কম। এই কারণে আমাদের পুরো দেশ বন্ধ করে দিতে হবে? আমার মনে হয় আমরা কাজে ফিরে যেতে পারি’