ক্রাইমবার্তা রিপোটঃসাতক্ষীরাঃ
স্বেচ্ছায় ‘লকডাউন’র পথে সাতক্ষীরা। গোটা সাতক্ষীরা শহর যেন থমকে দাড়িয়েছে। দোকানপাট অফিস অাদালত সব বন্ধ। বিকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সাতক্ষীরা শহর ঘুরে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের অনুরোধ জানানো হয়েছিল সব মার্কেট বন্ধ করে দেওয়ার। একই আহ্বান জানিয়েছিল সাতক্ষীরা পৌরসভা। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সন্ধ্যার পর নয়, জেলার সব মার্কেট বন্ধ করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে মার্কেট খোলার সিদ্ধান্ত আরও পেছাবেন তারা।
ব্যবসায়ীদের এ উদ্যোগ নগরবাসীর মাঝে প্রশংসা কুড়িয়েছে। ব্যবসায়ীরা এগিয়ে আসার পর একে একে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বেসরকারি বিভিন্ন অফিস। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানোর ফলে রাস্তাঘাটেও কমে গেছে যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচল।
খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না লোকজন। ফলে সরকারি ঘোষণা না এলেও ধীরে ধীরে ‘স্বেচ্ছায় লকডাউনের’ দিকেই এগোচ্ছে সাতক্ষীরা এমনটা মনে করছেন সচেতন মহল। করোনাভাইরাস আতঙ্কের মধ্যেও প্রবাসী অধ্যুষিত জেলার মার্কেটগুলো সরব ছিল ক্রেতাদের পদচারণায় মুখর। সদ্য বিদেশফেরত প্রবাসীরা হোম কোয়ারেন্টাইন না মেনে মার্কেটে আসতেন কেনাকাটায়। এমতাবস্থায় জনসমাগম ঠেকাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান, ফার্মেসি ও কাঁচাবাজার ছাড়া জেলার সব মার্কেট এদিকে, শুধু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নয়, বুধবার জেলার অধিকাংশ বেসরকারি অফিসও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান কর্মীদের বাসা থেকে অনলাইনে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছে
গতকাল সরকারি অফিস ও ব্যাংক খোলা থাকলেও জনসাধারণের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। যেসব ব্যাংকে সকাল থেকে গ্রাহকদের উপচেপড়া ভিড় থাকত গতকাল সেসব ব্যাংকের শাখায় গিয়ে দেখা গেছে কর্মকর্তারা অলস সময় কাটাচ্ছেন। জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল জানান, ‘সচেতনতামূলক প্রচারণা বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষ এখন প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। ’