মুসলিমদের বোঝা উচিৎ যে আল্লাহর মানুষকে বাঁচানোর ক্ষমতা নেই: তসলিমা

ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোটঃনয়াদিল্লি: ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা আল্লাহ-কে সর্বশক্তিমান বলে মনে করেন। যে কোনও সমস্যার সমাধান থাকে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরানে। এমনই দাবি করেন সকল মুসলিমেরা। তাঁদের আরও দাবি যে মৃত মানুষও বেঁচে উঠতে পারেন যদি আল্লাহ সহায় থাকেন।

মুসলিমদের এই মনোভাব নিয়ে বিতর্ক কিছু কম নেই। যা নিয়ে কটাক্ষ করেন নাস্তিকেরা। আর ইসলাম নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিরূপ মন্তব্য করে থাকেন বাংলাদেশের নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। সেই ধারা বজায় রেখেই লেখিকা তসলিমা ফের একবার কটাক্ষ করেছেন ইসলামের অনুসারীদের।

বিশ্ব জুড়ে ছড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস। এই রোগের প্রকোপে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। এই প্রবল প্রতিকূলতার মাঝে ঈশ্বর বা ঈশ্বরদের স্থান থেকে কোনও সুরাহা মিলছে না। অনেক জায়গায় বন্ধ রাখা হয়েছে মসজিদ। নমাজের জন্যেও খোলা হচ্ছে না উপাসনাস্থল। যা নিয়েই কটাক্ষ করেছেন তসলিমা নাসরিন।

গতকাল দুপুরের দিকে লজ্জার লেখিকা টুইট করে লিখেছেন, “মুসলিমদের নমাজের ডাক বা আজানের নিয়মের ক্ষেত্রে বদল আনা হয়েছে। সমবেত জমায়েত হয়ে প্রার্থনা বা নমাজের জন্য আর উপাসকদের নির্দেশ দেওয়া দিচ্ছে না।” সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, “প্রার্থনা করতে আসাআর বদলে এখন মসজিদ থেকে বলা হচ্ছে নিজেদের ঘরে বসেই প্রার্থনা করুন।” এই বদলকেই কটাক্ষ করেছেন দুঃস্ফপবাসের শ্রষ্ঠা। তসলিমা লিখেছেন, “মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা খুব ভালো করেই জানেন যে করোনা ভাইরাস থেকে মানুষকে বাঁচানোর ক্ষমতা আল্লাহ-র নেই।”

বিশ্ব জুড়ে করোনা আতঙ্কের মাঝে সাবধানতা অবলম্বন করা শুরু হয়ে গিয়েছে ধর্মীয় স্থানগুলিতেও। যা নিয়েই ধর্মের ধ্বজাধারীদের আক্রমণ করেছেন তসলিমা।  দুপুরের দিকে টুইট করে তিনি লেখেন, “আল্লাহর ঘর হচ্ছে কাবা, তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মসজিদ্গুলিও বন্ধ। চার্চের পরিষেবাও স্তব্ধ। প্রার্থণার ঘরগুলিতেও আর ভিড় হচ্ছে না।” একই সঙ্গে তিনি আরও লেখেন, “কোনও ঈশ্বর আমাদের সাহায্য করতে আসবে না। বিজ্ঞানীরা সাহায্য করবে। আমরাআ ভ্যাকসিনের জন্য অপেক্ষা করছি।” টুইটে শেষ লাইনে তিনি লিখেছেন, “নাস্তিক হওয়ার জন্য এটাই আদর্শ সময়।”

ধর্ম এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সঙ্গে তসলিমা নাসরিনের বিরোধ নতুন কিছু নয়। যার কারণেই তাঁর জীবনে বারবার এসেছে আক্রমণ। নিজের জন্মভূমি বাংলাদেশ ত্যাগ করতে হয়েছিল ধর্মীয় বিদ্বেষের কারণে। একই কারণে ঠাঁই মেলেনি কলকাতার মাটিতেও। অনেক জটিলতা পার করে এখন তিনি সুইডেনের নাগরিক। ভিসা নিয়ে ভারতের জাতীয় রাজধানী দিল্লিতে থাকেন লজ্জার লেখিকা।

 

 

Check Also

আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের খালিয়া রাস্তার বেহাল দশা।। বিপত্তিতে শতাধিক পরিবার।।দ্রুত সংস্কার দাবি 

এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড খালিয়া গ্রামের সানাপাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবার একটি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।