ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট:সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার ধুলিহর থেকে অহেদ আলী গাজীর (৪৫) গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোর রাতে সদর উপজেলার ধুলিহরের চেলারডাংগি এলাকার একটি আমবাগান থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় উদ্ধার করা হয় একটি ওয়ান শুটার গান ও দুই রাউন্ড গুলি জানান পুলিশ। পুলিশের দাবী দুইদল সন্ত্রাসীর গোলাগুলির মুখে ওই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
নিহত অহেদ আলী গাজী ধুলিহর ইউনিয়নের তমালতলা গ্রামের মৃত নবাত আলী গাজীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে জামায়াত সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে নাশকতার কয়েকটি মামলা রয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, শুক্রবার ভোর রাতে সদর উপজেলার ধুলিহর এলাকার একটি আমবাগানে সন্ত্রাসীদের দুই গ্রুপের গোলাগুলি হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম সেখানে অভিযানে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রসীরা এ সময় পালিয়ে যায়। সন্ত্রাসীদের দুই গ্রুপের বন্দুক যুদ্ধে এ সময় হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামী অহেদ আলী গাজী মারা যায়। পরে পুলিশ তার গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে। এ সময় সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় একটি ওয়ান শুটার গান, দুই রাউন্ড গুলি ও একটি বড় ছোরা। ওসি আরও জানান, তার বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা সিটি কলেজ প্রভাষক মামুন হত্যা এবং ২০১৯ সালের ২২ জুলাই আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল হত্যাসহ ৬টি মামলা রয়েছে। নিহতের লাশ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় জামায়াতের এক নেতা জানান,২০১৩ সালে মাওলানা দেলওয়ার হোসেন সাইদীর ফাশির রায় কেন্দ্রিক জামায়াতের কর্মসূচিডতে তিনি অংশ নিতেন। এমনকি ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা র্সাকিট হাউজ মোড়ে জামায়াতের মিছেল তিনি গুলিবিদ্ধ হন। তবে তিনি সাইদী ভক্ত ছিলেন। সরাসরি তিনি জামায়াত করতেন না।
তবে স্থানীয়রা জানান,তারা জীবন যাত্রা অস্বাভীক ছিল। গরীভ হয়েও তার পরিবার বিভিন্ন সময়ে অধীক স্বনের গহনা ব্যবহার করতেন।