ক্রাইমর্বাতা ডেস্করিপোট:
নবাবগঞ্জে এক ব্যক্তিকে কোয়ারেন্টিন থেকে হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যন। যশোর জেনারেল হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিটে ১২ বছর বয়সী এক শিশু মারা গেছে।সোমবার সকালে হাজীগঞ্জের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেন জ্বর ও কাশিতে ভুগে মারা যান।মৌলভীবাজারর শ্রীমঙ্গল উপজেলায় জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এরআগে রোববার বরিশালে দুই জন, পটুয়াখালিতে একজন, মানিকগঞ্চে এক জন, ঢাকায় মোহাম্মদপুরে এক একজন, নওগাঁয় একজন এবং খুলানায় একজনের মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়। এদের অনেকের নমুনা সংগ্রহ করেছে আইইডিসিআর।
ঝালকাঠিতে জ্বরে আক্রান্তে মৃত্যু, আতঙ্কে এলাকা জনশূণ্য
ঝালকাঠি সংবাদদাতা
ঝালকাঠির রাজাপুরে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আবদুল হাকিম নামে এক দিনমজুরর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার সাউথপুর গ্রামের নাপিতবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তার মৃত্যুর পর আতঙ্কে ওই এলাকা জনশূণ্য হয়ে পড়েছে।
স্বজনরা জানান, মারা যাওয়া ব্যক্তি গত ১০ দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে একটি ক্লিনিকে এবং বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন। অসুস্থ অবস্থায় তিনি বাইরে ঘোরাফেরাও করতেন। তার মৃত্যুর পর নানা গুঞ্জনে বাড়ির আশপাশের এলাকা জনশূণ্য হয়ে পড়েছে। স্থানীয়দের দাবি, ওই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা দরকার।
রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও আবুল খায়েল রাসেল জানান, তিনি জ্বরে মারা গেছেন। জীবিত লোকের করোনা পরীক্ষা করাই মুশকিল, তারপর তো মৃত ব্যক্তি! তিনি করোনায় মারা গেছেন কিনা তা বলতে পারবো না। তবে পরিবারের ভাষ্যমতে, করোনার লক্ষণ বলে মনে হচ্ছে না।।
মধুপুরে করোনা উপসর্গ নিয়ে যুবকের মৃত্যু
মধুপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা
টাঙ্গাইলের মধুপুরে করোনা উপসর্গ নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে এক যুবক (৩৫) নিহত হয়েছে। নিহত ব্যক্তি উপজেলার মহিষমারা ইউনিয়নের মহিষমারা গ্রামের টেক্কার বাজার এলাকার জনৈক হাসান আলীর ছেলে।
মহিষমারা ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মোতালেব হোসেন জানান, ছেলেটি ঢাকায় থেকে কাজ করতো। কয়েক দিন আগে জ্বর নিয়ে বাড়িতে আসছে। কিন্তু বিষয়টি তার পরিবার গোপন রেখেছিলো। গতকাল থেকে ডাইরিয়া শুরু হয়েছিল। অতপর মঙ্গলবার দুপুরে রক্তবমি মৃত্যুর খবর শোনা গেছে।
এ বিষয়ে মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফা জহুরা জানান, করোনাভাইরাস সংক্রান্ত টিমসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিম পাঠানো হচ্ছে। মৃতের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে জানাজা শেষে দাফন হবে।
এবং আশে পাশের বাড়িসহ এলাকা লকডাউন করা হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা রাশেদ উজজামান এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।