ক্রাইমর্বাতা রিপোট: সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার একটি এলাকায় একজন মানুষের সন্দেহভাজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে মর্মে খবর ছড়িয়ে পড়ায় ওই এলাকা লকডাউন করে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকায় অাতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। জেলা পুলিশে সর্তকবাতা জারি।
জেলা পুলিশের ফেসবুক আইডিতে এ সংক্রান্ত একটি স্ট্যাটাস দেয়া হয়েছে। পাঠকদের জন্য সেটি হুবহু প্রকাশ করা হলো-
প্রিয় সাতক্ষীরাবাসী
আসসালামু আলাইকুম
সাতক্ষীরার একটি এলাকায় একজন মানুষের সন্দেহভাজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে মর্মে আপনারা অনেকে জেনেছেন। ইতোমধ্যে উক্ত এলাকা লকডাউন করে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অন্যান্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। পুলিশ বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করছে। আতংকিত হবেন না। ইতোমধ্যে উক্ত ব্যক্তিকে সমাহিত করা হয়েছে।
মেডিক্যাল রিপোর্টের জন্য ঢাকায় নমুনা পাঠানো হয়েছে।
রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত সবাইকে হোম কোয়ারেন্টাইন থাকতে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
সবাই বাসায় থাকুন নিরাপদ থাকুন।
আপডেট দেয়া হবে।
মিডিয়ার সবাইকে এসংক্রান্ত নর্মস এটিকেট/ বিধি, প্রাইভেসি মেনে সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ করছি।
এর আগে, সাতক্ষীরার নারায়নপুরে গাঁয়ে জ্বর, ব্যাথা ও শ্বাস কষ্ট নিয়ে এক কলেজ ছাত্রের মৃত্যু হয়। শুক্রবার ভোর রাতে সদর উপজেলার বল্লী ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে তাঁর মৃত্যু হয়। তবে, স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, তার শরীরে করোনা ভাইরাস অআছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা হবে।
মৃত কলেজ ছাত্র নাম হাসান আলী (২০) ঝাউডাঙ্গা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
বল্লী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ইরাদ আলী জানান, গত ৬/৭ দিন ধরে ওই যুবকের গায়ে জ্বর, ব্যাথা ও শ্বাসকষ্ট ছিলো।
তার মা রোজিনা খাতুন জানান, গায়ে জ্বর থাকায় সে দূর্বল হয়ে পড়ে। এতে সে তেমন খাওয়া দাওয়া করতোনা। স্থানীয় গ্রাম্য ডাক্তার দেখিয়ে তাকে ঔষুধ খাওয়ানো হয়। এক পর্যায়ে শুক্রবার ভোর রাত সাড়ে ১২ টার দিকে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর সময় তার মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়।
ইউপি ইরাদ আলী আরো জানান, তার মৃত্যুর খবরে এলাকা জুড়ে করোনা আতংক বিরাজ করছে। তার পরিবারের সদস্যরা মরদেহ থেকে কিছুটা দূরে অবস্থান করছেন। ওই বাড়ির আশেপাশেও এখন কেউ আসছেন না। স্থানীয় গ্রাম পুলিশ দিয়ে বাড়িটি পাহারায় রাখা হয়েছে।
তবে, সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন শওকত জানান, এ খবর পাওয়ার একটি মেডিকেল টীম সেখানে পাঠানো হয়েছিল। তারা তার শরীরে কোন করোনার ভাইরাসের লক্ষণ পাননি। তিনি আরো জানান, তার পরিবারের সদস্যরা রাজী থাকলে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য তার দেহের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরের কাছে পাঠানো হবে।
এদিকে, সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘন্টায় বিদেশ ফেরত আরো নতুন ৪৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় আনা হয়েছে। এনিয়ে, এ পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৮৯৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। হোমকোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পত্র দেয়া হয়েছে আরো ৬৯৬ জনকে।