ক্রাইমর্বাতা রিপোর্ট:সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার আশাশুনিতে প্রবল জোয়ারের চাপে কপোতাক্ষ নদের বেঁড়িবাধ ভেঙে পাঁচটি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে রাতে উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের কুড়িকাউনিয়া গ্রামের ৭/১ পোল্ডার সংলগ্ন এলাকায় প্রায় এক’শ ফুট বেঁড়িবাধ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এতে কুড়িকাউনিয়া, শ্রীপুর ও বৃষ্টিনন্দন গ্রামের প্রায় এক হাজার বিঘা মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে। পানি বন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় অর্ধ শতাধিক পরিবার।
স্থানীয়রা জানান, আগে থেকেই বাধটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। প্রবল জোয়ারের চপে হঠাৎ করেই মধ্য রাতে বাঁধটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এতে পানিতে তলিয়ে গেছে প্রায় এক হাজার বিঘা মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি। তারা আরো জানান, ইতিমধ্যে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে করোনা ঝুকি নিয়ে প্রায় সহ¯্রাধীক মানুষ স্বেচ্ছায় বেড়িবাধটি সংস্কার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বেড়িবাধটি সংস্কার করা না গেলে পরবর্তী জোয়ারে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হবে।
প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলাতির কারণেই প্রতাপনগর ইউনিয়নের এই বেঁড়িবাধ প্রতিবারই ভেঙে যায়। বারবার বলা শর্তেও পানি উন্নয়ন বোর্ড ঝুঁকিপূর্ণ বাধ সংস্কারে তেমন কোন উদ্যোগ নেননি। তিনি আরো জানান, তিনটি গ্রামের প্রায় এক হাজার বিঘা মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে। পানি বন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় অর্ধ শতাধিক পরিবার।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে জানান, তিনি তাৎক্ষনাত কিছু বালুর বস্তার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। তিনি আরো জানান, বিষয়টি তিনি উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দ্রুত বেঁডিবাধ সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
এদিকে তালায় টিআরএম এর বাঁধ ভেঙ্গে নি¤œঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) দুপুরে জোয়ারের পানির চাপে টিআরএম এর সংযোগ খালের বাঁধ ভেঙ্গে এ ঘটনা ঘটেছে। আতঙ্কে আছে টিআরএম অঞ্চলের হাজারো মানুষ।
গতকাল সরেজমিনে দেখাযায়, কপোতাক্ষে বালিয়া অংশের নদিতে বাঁধ দেওয়াই নদীর জোয়ার ভাটা বাঁধা গ্রস্ত হওয়ার কারনে আকশ্মিক জোয়ারের পানির চাপে বাঁধ ভেঙ্গে নিচু এলাকা প্লাবিত হয়। এতে কবর স্থানসহ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে বালিয়া গ্রামের জব্বার মোড়ল, ইসমাইল মোড়ল, রবিউল সানা, মোমিন সানার বাড়ীসহ বেশ কয়েটি পরিবার। তলিয়ে গেছে মাছের ঘের, পুকুর ও ফসলী জমি।
স্থানীয় রাশেদ সানা এ প্রতিবেদক কে বলেন, নদির মুখে বাঁধ দিয়ে জোয়ার ভাটার বাঁধাগ্রস্থ করায় এবং টিআরএম সংযোগ খালের বাঁধ মজবুত না হওয়ায় আজ এ এলাকার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। যাবে।
তালা উপজেলা নির্বহী অফিসার ইকবাল হোসেন বলেন, আমি আপনার কাছ থেকে বিষয়টি শুনেছি প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। যেহেতু আমরা করোনা নিয়ে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত আছি একারনে এখনো জানতে পারিনি বা স্থানীয় কেউ আমাকে এখনো বিষয়টি জানাইনি।