তালায় বরাদ্দের চাল অসহায়দের না দিয়ে আটকে রাখলেন সরুলিয়া আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান মতিয়ার

ক্রাইমর্বাতাবাতা রিপোট: সাতক্ষীরা: করোনাভাইরাসের কারণে সবকিছু বন্ধ থাকায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে খেটে খাওয়া দিনমজুরসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। এসব অসহায় মানুষদের বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিতে বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। তবে অসহায় মানুষদের সেই সরকারি খাদ্য সমাগ্রী বিতরণ না করে আটকে রেখেছিলেন তালা উপজেলার সরুলিয়া ইউনিয়ন  আওয়ামীলীগের সভাপতি পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মতিয়ার রহমান।
স্থানীয়দের অভিযোগের পর ঘটনাটি বৃহস্পতিবার রাতে দৃষ্টিতে আসে তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইকবাল হোসেনের। তাৎক্ষণিক তিনি চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানকে বরাদ্দের চাল বিতরণের নির্দেশ দেন। এরপর শুক্রবার (১০ এপ্রিল) ভোররাতে ইউপি মেম্বারদের কাছে চালগুলো হস্তান্তর করেন চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ইউপি চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান সরকারের দেয়া খাদ্য সামগ্রী পেয়েও সেগুলো অসহায় মানুষদের মাঝে বিতরণ করেননি। খেটে খাওয়া মানুষগুলোর সীমাহীন দুর্দিন চলছে। তবে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে জানিয়ে সরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান বলেন, আমি আগে ৫০০ কেজি চাল পেয়েছিলাম সেগুলো ১০০ পরিবারের মাঝে বিতরণ করেছি। এরপর গত ৭ এপ্রিল দুই টন চাল ও ৮ এপ্রিল এক টন চাল পেয়েছি। সেগুলো শুক্রবার সকালে ইউনিয়নের ৩০০ ভ্যানচালকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, শুক্রবার ভোররাতে ইউনিয়ন পরিষদের ৯ জন ইউপি সদস্য ও সংরক্ষিত তিনজন নারী ইউপি সদস্যদের মধ্যে তিন টন চাল বিতরণ করা হয়। প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে ২০-২৯ জন ভ্যানচালকের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হবে।
সরুলিয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য পরিতোষ বলেন, শুক্রবার ভোররাতে আমরা ইউপি সদস্যরা খাদ্য সামগ্রী নিয়ে অসহায় মানুষদের মাঝে বিতরণ শুরু করেছি। আরও আগে বিতরণের কথা থাকলেও করা হয়নি কেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, চেয়ারম্যান দেননি তাই আমরা বিলি করতে পারিনি।
একই প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান বলেন, আমি দুইদিন আগে চাল পেয়েছি। যার কারণে বিতরণে দেরি হয়েছে।
তবে চেয়ারম্যান মিথ্যে বলছেন জানিয়ে তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, দুই টন চাল চেয়ারম্যান পেয়েছেন গত দুই তারিখে। তার আগে পেয়েছেন ৫০০ কেজি চাল। তিনি এতদিন সেগুলো বিতরণ করেননি। এখন মিথ্যে বলছেন।
তিনি বলেন, অসহায় মানুষদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ না করার কারণে চেয়ারম্যানকে শোকজ করা হয়েছে। এছাড়া সরেজমিনে গিয়েও বিতরণের সার্বিক কার্যক্রম মনিটরিংয়ের জন্য আমি রওনা হয়েছি। চালগুলো বিতরণ না করে এতদিন কোথায় রাখা হয়েছিল তা জানতে চাই। অসহায় মানুষরা না খেয়ে থাকবে এটা হতে পারে না।

Check Also

আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের খালিয়া রাস্তার বেহাল দশা।। বিপত্তিতে শতাধিক পরিবার।।দ্রুত সংস্কার দাবি 

এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড খালিয়া গ্রামের সানাপাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবার একটি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।