ক্রাইমর্বাতাবাতা রিপোট: করোনা ভাইরাসের মহামারী রোধে দেশব্যাপী চলছে দৃশ্যতঃ অঘোষিত লকডাউন। সরকারি ছুটি তৃতীয় দফায় বেড়েছে, আগামী পঁচিশ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি ছুটি, সেই সাথে চলাচল সিমীত করন করা হয়েছে। সব প্রচেষ্টা আমাদের প্রিয় বাংলাদেশকে করোনার মহামারী হতে রোধ করা। করোনা বিরোধী কর্মকান্ড, করোনা বিরোধী ব্যবস্থা, প্রতিরোধ এবং করোনা বিরোধী প্রচার প্রচারনাকে অধিকতর কার্যকর করতে যানবাহন চলাচলের উপর ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। জনগনেক ঘরে থাকার, ঘরে রাখার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে যানবাহন চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলেও জরুরী সেবা সমূহ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত। বিশেষ ভাবে খাদ্য পরিবহন, পণ্য পরিবহন সহ জরুরী সেবা কার্যক্রম চালু থাকবে। পণ্য আনা নেওয়া, মালামাল আনা নেওয়ার অন্যতম মাধ্যম ট্রান্সপোর্ট ও কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবস্থা দেশের পন্য এক স্থান হতে অন্যস্থানে নিতে বিশেষ এবং ব্যাপক ভূমিকা পালন করে আসছে। আর তাই পন্য আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থার বিকল্প নেই। বর্তমান করোনা ভাইরাসের এই চরম দুঃসময়ে পণ্য সম্ভারের যথাযথ উপস্থিতি, আনা নেওয়া সর্বপরি বাজার ব্যবস্থায় পণ্য সামগ্রীর যথাযথ যোগানের ক্ষেত্রে ট্রান্সপোর্টের ও কুরিয়ার সার্ভিসের কার্যকর ভূমিকা অপরিহার্য। তথ্যনুসন্ধানে জানাগেছে ট্রান্সপোর্ট কর্তৃপক্ষ বর্তমান সময়ে পণ্য আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে অনুপস্থিত যা বাজার ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে, ভোক্তা ও ক্রেতা সাধারনের চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে চরম প্রতিবন্ধকতার ক্ষেত্র নিশ্চিত করছে। বাজারে যদি পণ্যের সরবরাহ না থাকে তাহলে জনসাধারন এর নিত্য দিনের চাহিদা এবং জীবন যাপনের মৌলিক অপরিহার্যতায় ছন্দপতন ঘটবে। ইতিমেধ্য তার বিরুপ প্রভাব অনুভুত হচ্ছে, ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থার পাশাপাশি কুরিয়ার সার্ভিস ও পণ্য আনা নেওয়া করে। বর্তমান সময়ে একটি কুরিয়ার সার্ভিস পণ্য এবং পার্সেল আনা নেওয়া করলেও চার্জ কয়েকগুন বেশি রাখছে বা সাধারণ গ্রাহকদের জন্য বিড়ম্বনার কারনে পরিনত হয়েছে। সরকারি ঘোষনায় গন পরিবহন চলাচলে বিধি নিষেধ আরোপ করলেও স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে জরুরী পরিসেবায় বিদ্যুৎ টেলিফোন ও ইন্টারনেট, কৃষিপণ্য, সার, কীটনাশক, জ্বালানী সংবাদ পত্র খাদ্য, শিল্প পন্য, চিকিৎসা এবং কাঁচা বাজার, খাবার, ঔষধের দোকান ও হাসপাতাল নিষেধাজ্ঞার আওতাবহিভূত থাকবে। খাদ্য এবং পণ্য সামগ্রী সরবরাহ ও আনা নেওয়া না হলে মানুষের জীবন যাপনের ক্ষেত্রে যেমন অসহনীয় হয়ে পড়বে অনুরুপ ভাবে অর্থনীতিতে বিরুপ প্রভাব পড়বে যা ইতিমধ্যে ক্রমান্বয়ে স্পষ্ট হচ্ছে। উৎপাদিত মৎস্যের বর্তমান করুন দশা, ঘের ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা তাদের ঘেরের তাদের মাছ বিক্রিতে যথাযথ মূল্য পাচ্ছে না আর এর অন্যতম কারন পণ্য পরিবহনের যথাযথ ব্যবস্থার অনুপস্থিতি সাতক্ষীরার মৎস্য সেট গুলোতে যে সকল মাছের কেজি একশত টাকা তা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ত্রিশ/চল্লিশ টাকা, অন্যদিকে রপ্তানী যোগ্য বাগদা ও গলদার মূল্য অতীতের যে কোন সময় অপেক্ষা সর্বনিন্ম পর্যায়ে পৌছে। পূর্বে যে বাগদা কেজি প্রতি এক হাজার টাকা করে বিক্রি হতো বর্তমান সময়ে তার মুল্য কেজি প্রতি পাঁচশত/ছয়শত টাকা একই ভাবে কেজি প্রতি বারশত টাকার গলদা চিংড়ী বর্তমান সময়ে বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি পাঁচ হতে সাতশত টাকায়। বিভিন্ন ধরনের সাদা প্রজাতির মাছ তেলাপিয়া, লাইলোটিকা, রুই, মৃগেল, ভেটকি, সহ অন্যান্য প্রজাতির মাছের মূল্য হতাশা জনক, কারন একটাই পন্য পরিবহনের স্বর্নপাতা ডেইরী ফার্মগুলোর অবস্থাও করুন। দুধ বিক্রি হচ্ছে সর্বকালের সর্বনিন্ম মুল্যে জেলার অনেক স্থানে দুধের কেজি প্রতি পঁচিশ এবং ত্রিশ টাকা পোল্ট্রি শিল্পের অবস্থাও করুন, খামারীরা খামারেই রাখছে পোল্ট্রি, পাইকারীরা বলছে জেলার বাইরে নেওয়ার গাড়ী নেই। পোল্ট্রির পাশাপাশি পোল্ট্রি ডিমের ও মুল্য হ্রাসের প্রতিযোগিতা চলছে। সাতক্ষীরার গ্রামীন অর্থনীতিতে সজনে ডাটা, পটল, বেগুন সহ বেশ কিছু রবিশষ্য বিশেষ ভূমিকা রাখলেও উল্লেখিত সবজি বিগত বছরগুলোর ন্যায় চাষীরা মুল্য পাচ্ছে না এখানেও কারন পণ্য পরিবহন তবে এক শ্রেণীর মর্ধ্যস্বত্ত্বভোগীদের অবস্থান ও মূল্য হ্রাসের অন্যতম কারন। অনুরুপ ভাবে অন্যান্য জেলা হতে আসা পণ্য সামগ্রী যথাযথ ভাবে না আসায় মূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি তা নষ্ট ও হচ্ছে। এই সময়ে দেশের বরিশাল অঞ্চল হতে ব্যাপক ভিত্তিক তরমুজ আসলেও বর্তমান সময়ে সাতক্ষীরায় তরমুজের উপস্থিতি অনেক কম। তরমুজ ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানাগেছে পণ্য পরিবহন এর অন্যতম কারন অন্য জেলা হতে সাতক্ষীরায় আসে পাকাকলা, গোল আলু সহ বিভিন্ন ধরনের সবজি। গত কয়েক দিন যাবৎ উল্লেখিত পণ্য সামগ্রীর আমদানী যৎসামান্য। আশঙ্কার বিষয় পণ্য পরিবহন ট্রান্সপোর্ট ও কুরিয়ার সার্ভিস এর সেবা যদি ব্যাহত হয় তাহলে বাজার ব্যবস্থা অস্থিতিশীল এবং পণ্য সামগ্রী শুণ্য কোঠায় পৌছাবে। আশঙ্কার বিষয় পণ্য পরিবহন গুলো ট্রাক, কার্ভাডভ্যান সহ অন্যান্য পণ্য পরিবহনের মিনি ট্রাক গুলো খাদ্য দ্রব্য পণ্য সামগ্রী, সবজি পোল্ট্রি, মাছ সহ বিভিন্ন পণ্য আনা নেওয়ার পরিবর্তে মানব সন্তান বহন করছে। যাত্রী আনা নেওয়া করছে যার ফলশ্র“তিতে এক এলাকার লোকজন আরেক এলাকায় এসে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস এর ঝুকিতে পড়ছে বা করোনা ভাইরাস এর সংক্রমন ঘটাতে ভূমিকা রাখছে। পণ্য পরিবহনে মানব সন্তান বহনের কারনে সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত জরিমানা করছে এবং আগত লোকজনদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। খাদ্য সামগ্রী, পণ্য সামগ্রী আনা নেওয়ার বিষয়ে ট্রান্সপোর্ট কুরিয়ার সহ পণ্য পরিবহন গুলোর সেবা কার্যক্রম চলমান করার বিকল্প নেই।
Check Also
সাতক্ষীরায় পুত্রবধূর হাতে নির্যাতিত সেই স্কুলশিক্ষক মারা গেছেন
ক্রাইমবাতা রিপোট, সাতক্ষীরা: ছেলে ও পুত্রবধূর হাতে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের শিকার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশতলা …