কালিগঞ্জে অসহায় ও দুস্থদের সহযোগীতার জন্যে ২৫’শ কেজি চাউল প্রদান করলেন এম
হাফিজুর রহমান শিমুলঃ
কালিগঞ্জে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে অসহায় পরিবারে সহযোগিতার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট ২৫’শ কেজি চাউল প্রদান করলেন সাতক্ষীরা ৪ আসনের সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার। বুধবার( ১৫ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ত্রাণ তহবিলে সংসদ সদস্যের নিজস্ব তহবিল থেকে চাউল প্রদান করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জননেতা সাঈদ মেহেদী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোজাম্মেল হক রাসেল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাস্টার নরিম আলী মুন্সী, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও তারালী ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হোসেন ছোট, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিরাজ হোসেনসহ বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যান, আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সভাকক্ষে সংসদ সদস্য এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। এসময়ে এস এম জগলুল হায়দার বক্তব্যে বলেন-বর্তমান করোনা ভাইরাস সম্মিলিতভাবে মোকাবেলা করতে হবে। সচেতনতার বিকল্প কিছু নাই। নিজ নিজ অবস্থান থেকে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। কালিগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সকর ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বারদের মাধ্যমে প্রস্তুত করা তালিকা অনুযায়ী কর্মহীন অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। প্রয়োজনে সরকারের পক্ষ থেকে আরো সহযোগিতা করা হবে। সাতক্ষীরা ৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার আরও বলেন সাধারণ অসহায় মানুষের পাশে আমার মত সমাজের সর্বস্তরের ব্যক্তিদেরকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। আশা রাখি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তহবিলে সকলে সহযোগিতা করবেন। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী বলেন প্রতিটি ইউনিয়নে সরকারি ভাবে এবং অন্যান্য সংস্থার মাধ্যমে এবং আমি নিজেও বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে খাদ্য সহায়তা প্রদান করে আসছি। যাদেরকে বিতরণ করা হচ্ছে আগামীতে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের মাধ্যমে তালিকা প্রস্তুত করে টানিয়ে রাখা হবে যাতে কেউ বলতে না পারে আমরা ত্রাণ পাইনি। উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোঃ মোজাম্মেল হক রাসেল বলেন আমরা সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কালিগঞ্জ উপজেলায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কাজ করছি। প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যায়ে ফাইটিং টিম, স্বেচ্ছাসেবক টিম, ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার ও ট্যাগ অফিসাররা আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে।