ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ সাতক্ষীরা: রবিবার ১৯ এপ্রিল দুপুর র্পযন্ত সাতক্ষীরায় বিদেশ ফেরত নতুন ৪ জন মোট ৩ হাজার ৫৪১ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।এর মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ৩১ জন। আজ নতুন করে ছাড় পত্র পেয়েছে ১১২ জন। এ র্পযন্ত ছাড় পত্র দেয়া হয়েছে আরো ৩ হাজার ৩৩৭ জনকে। এছাড়া জেলার বাইরে থেকে আসা সন্দেহজনক এক করোনা রোগীসহ মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে আসোলেশনে রয়েছে ৪ জন । গায়ে জ্বরসহ অচেতন অবস্থায় ওই সন্দেহভাজন রোগীকে গতকাল সদর উপজেলার আলীপুর এলাকা থেকে আনা হয়। তার নমুনা সংগ্রহ করে আজ আইইডিসিআরের কাছে পাঠানো হয়েছে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগ। প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে পরের দিন সকাল ৮ টা পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহের রিপোর্ট র্পযালোচনা করা হয়।
এদিকে, আজ রবিববার র্পযন্ত সাতক্ষীরা জেলা থেকে নতুন করে ১ জনসহ মোট ২১৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে আজ ১ জনসহ ২৯ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট ইতিমধ্যে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পৌঁছেছে। ২৯ টি রিপোর্টই নেগেটিভ এসেছে। বাকীদের রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি।
সূত্র মতে এর্পযন্ত জেলাতে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ আক্রান্ত এলাকা থেকে এসেছে। যাদের মধ্যে ৩ হাজার ৫৪১ জনকে কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা জানিয়েছে জেলা সিভিল র্সাজন। প্রায় ১২ হাজার মানুষকে এখনো কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করা যায়নি। যারা কোয়ারেন্টাইনে ছিল তাদের বেশির ভাগই নিয়ম মানেনি। কোয়ারেন্টাইনে থাকা অনেকে ভাগ্যে সরকারের দেয়া ত্রাণ সামগ্রী পৌছানো সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছ কয়েকজন চেয়ারম্যান ও কমিশনার। যে কারণে ঝুকি বাড়ছে।
জেলা পুলিশ সুপার জানিয়েছ, কোয়ারেন্টাইন না মানলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আরও ৭ জনের মৃত্যু
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ৯১ জনে। নতুন শনাক্ত হয়েছেন আরও ৩১২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২,৪৫৬ জনে। নতুন করে ৯ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হলেন ৭৫ জন।
আজ রবিবার করোনাভাইরাস নিয়ে অনলাইনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
উল্লেখ্য, গেল ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকায় অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও সাধারণের চলাচলে বিধি-নিষেধ আরোপ করে সরকার। বন্ধ ঘোষণা করা হয় সরকারি-বেসরকারি সব অফিস। সেই ছুটি কয়েক দফায় বাড়িয়ে করা হয় ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত।