শনিবার (১৮ এপ্রিল) বিষয়টি জানাজানির পর তদন্তপূর্বক সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন কুমেক হাসপাতালের পরিচালক।
জানা গেছে, কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার চড়ানল গ্রামের জামাল হোসেনের স্ত্রী শিউলী আক্তারের শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ৬টায় সিজারের অপারেশন হয়। জন্ম নেয় একটি পুত্র সন্তান। তবে কর্তৃপক্ষ জানায় শিশুটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
শিশুর বাবা জামাল হোসেন জানান, শুক্রবার সকাল ৬টা অপারেশন হয়। শিশুটির দিকে কোনও ডাক্তার বা নার্স নজর দেয়নি। চার ঘণ্টা কার্টুনে মুড়িয়ে মেঝেতে ফেলে রাখা হয়। পরে বাড়িতে নিয়ে দাফনের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় জীবিত দেখে দ্রুত কুমিল্লা মুন হাসপাতালে এনে নবজাতক নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) ভর্তি করানো হয়।
মুন হাসপাতালের শিশু বিভাগের চিকিৎসক ডা. তাপস চৌধুরী জানান, চিকিৎসকের মৃত ঘোষণা ছাড়া একজন আয়া কিভাবে এই কাজ করে সেটা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। ২৮ সপ্তাহের আগে প্রি-ম্যাচিউর এই শিশুটি অলৌকিকভাবে বেঁচে আছে। আমরা আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করছি বাচ্চাটিকে সুস্থ করে তোলার জন্য।
একই হাসপাতালের নবজাতক নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (এনআইসিইউ) মেডিক্যাল অফিসার রাব্বি হোসেন মজুমদার জানান, শিশুটি এখন শ্বাস নিচ্ছে। সাধারণ শিশুদের থেকেও সে অনেক কম শ্বাস নিচ্ছে। তাই অক্সিজেন দিয়ে শিশুটিকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করছি।
এ বিষয়ে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুজিবুর রহমান বলেন, বিষয়টি যেহেতু আমার নজরে এসেছে। তাই সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে আমি কথা বলবো। এক্ষেত্রে গাফিলতি বা ভুল প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।