ক্রাইমর্বাতা রিপোট: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি রিসালদার মোসলেহউদ্দিনকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারের পর তাকে বাংলাদেশের হাতে হস্তান্তর করেছে ভারত।
সোমবার সন্ধ্যায় অত্যন্ত গোপনীয়ভাবে একটি সীমান্ত দিয়ে তাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেয়া হয়। ভারতের গণমাধ্যম এনডিটিভি এই খবর দিয়েছে। এই মোসলেহউদ্দিনই বঙ্গবন্ধুকে গুলি করেছিল বলে জানা যায়।
পশ্চিমবঙ্গে পলাতক থাকা বঙ্গবন্ধুর আরেক খুনি আবদুল মাজেদকে ৬ এপ্রিল গভীর রাতে ঢাকায় গ্রেফতার করা হয়। ১২ এপ্রিল ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। খুনি মোসলেহউদ্দিন ও আবদুল মাজেদ দু’জনই ২০ বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গে পলাতক জীবনযাপন করছিলেন।
ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে দক্ষিণ কলকাতার নিজ বাড়ি থেকে আবদুল মাজেদকে তুলে নেয়া হয়। আর মোসলেহউদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয় কলকাতার সত্তর কিলোমিটার দূরে চব্বিশ পরগনার বনগাঁও পৌরসভা এলাকা থেকে।
আবদুল মাজেদ নিজেকে একজন শিক্ষক হিসেবে ও মোসলেহউদ্দিন হার্বাল ওষুধের দোকানি হিসেবে পলাতক জীবনযাপন করে আসছিল পশ্চিমবঙ্গে।
ইস্টার্নলিঙ্কসডটকম নামে একটি নিউজ পোর্টালের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, আবদুল মাজেদ ফাঁসি হওয়ার আগে অপর খুনি মোসলেহউদ্দিনের ব্যাপারে তথ্য দেয়। ২০১০ সালে বঙ্গবন্ধুর ৫ খুনির ফাঁসি কার্যকর করা হয়। এখনও ৪ খুনি পলাতক রয়েছে।
এনডিটিভি বলছে, মোসলেহউদ্দিনকে ধরতে গোয়েন্দা সংস্থা অত্যন্ত গোপনীয় অভিযান চালায়। এমনকি পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকেও এ ব্যাপারে জানানো হয়নি। এর আগে সন্দেহভাজনদের ছবি এবং ভিডিওসহ অভিযান সম্পর্কিত প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশিত হলে সেখানে বেশ বিভ্রান্তি দেখা গিয়েছিল। কারণ কিছু সূত্র দাবি করেছিল, ছবিটির ওই ব্যক্তি (মোসলেহউদ্দিন) কয়েক বছর আগে মারা গিয়েছিলেন।
রিপোর্ট বলছে, খুনি মোসলেহউদ্দিন সম্পর্কে নিশ্চিত হতে অত্যন্ত সংবেদনশীল চেহারা শনাক্তকরণ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। তারপর তাকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মোসলেহউদ্দিনের গ্রেফতারের বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।