সাতক্ষীরায় করোনা পরিস্থির র্সবশেষ অবস্থা

প্রেস নোট

2২/৪/২০২০

সাতক্ষীরা থেকে করোনা টেস্টের জন্য এ পর্যন্ত ২৩৪ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে। 53 জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। আশার কথা হলো সবাই করোনা নেগেটিভ।

কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যাক্তির চিকিৎসায় ০৩ টি এ্যাম্বুলেন্স সার্বক্ষণিক প্রস্তুত আছে, ৮ টি ভেন্টিলেশন সম্পূর্ণ প্রস্তুত করা হয়েছে, ২০ অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং ২০ টি নেবুলাইজার প্রস্তুত রয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে করোনা হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। যেখানে ১০০ টি বিছানা প্রস্তুত রয়েছে।

১ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত সারা বিশ্বের নানা দেশ থেকে প্রায় ১১,২৪৮ মানুষ সাতক্ষীরায় এসেছিলেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যেকের বাড়িতে লাল পতাকা এবং স্থানীয় কমিটির মাধ্যমে ১১,২৪৮ লোকের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছিল। জেলা পুলিশ এবং স্বাস্থ্য বিভাগও হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কাজ করেছিল।

কোভিড-19 পরিস্থিতি (২২/৪/২০১৯ ।। সময়ঃ সকাল ১১ টা)

ক্রমিক নং   পূর্বদিন পর্যন্ত  সংখ্যা বর্তমান তারিখে সংখ্যা মোট সংখ্যা মন্তব্য
১. আক্রান্ত 0   0  
২. বাড়িতে কোয়ারেন্টাইন 8111 976 ৯০৮৭  
৩. প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন 3793 ৩০৯৬  
৪. আইসোলেসন  
৫. কোয়ারেন্টাইন/আইসোলেসন থেকে ছাড়প্রাপ্ত 11570 ১১৫৪ 12,724  
৬. ১ মার্চ ২০২০ থেকে বিদেশ প্রত্যাগত 11248 0 11248  
৭. ঠিকানা ও অবস্থান চিহ্নিত বিদেশ প্রত্যাগত ব্যক্তি 11248 0 11248 লাল পতাকা দিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছে

 

গত ১৪ দিনে নারায়নগঞ্জ, মাদারিপুর এবং শরিয়তপুর থেকে লক ডাউনের মধ্যেও ১২ হাজারের বেশি মানুষ সাতক্ষীরা জেলাতে এসেছে। যারা ফিরে আসছেন তাদের প্রাতিষ্ঠানিক এবং হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ৩০৯৬ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে এবং অন্যান্যদের বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ১২ জন, শ্যামনগর উপজেলায় ২০৯ জন, কালিগঞ্জ উপজেলায় ১৮৭৬ জন এবং আশাশুনি উপজেলায় ১০ জন, দেবহাটা উপজেলায় ৪৮৯ জন, তালা উপজেলায় ৫00 জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। আজ যারা এসেছেন তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক নিজে গত ৪ দিনে সকল উপজেলায় গিয়ে জনপ্রতিনিধি এবং সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে সভা করেছেন। নতুন আগত সকলের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতের ব্যবস্থা নিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদেরকে গ্রাম কমিটি গঠনের মাধ্যমে ঐসকল জেলা থেকে বাড়িতে আগত ব্যাক্তিদের হোম কোয়ারেন্টাইন জোরদার করতে জেলা প্রসাসক নির্দেশনা দিয়েছেন।

উপজেলার নাম প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারিন্টাইন হোম কোয়ারিন্টাইন
আশাশুনি 10 3748
দেবহাটা 489 71
কালিগঞ্জ 1876 0
শ্যামনগর 209 4267
কলারোয়া 0 201
তালা 500 800
সদর 12 0
মোট 3096 9087

এ ৩০৯৬ জনের মধ্যে অর্ধ্যেকেরও বেশি ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন শেষ হবে ২/১ দিনের মধ্যে বাড়ি ফিরবেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয় থেকে আজ পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলাতে মোট বরাদ্দ পাওয়া গেছে ১১০০ মেঃ টন চাল, নগদ ৫০,৫০,০০০/- টাকা এবং শিশু খাদ্যের জন্য পাওয়া গেছে ১০,০০,০০০ টাকা।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয় থেকে প্রাপ্ত বরাদ্দ হতে বিতরণঃ

  উপজেলা খাদ্য সহায়তা নগদ অর্থ শিশু খাদ্য প্রাপ্য পরিবারের সংখ্যা মন্তব্য
    ইতোমধ্যে ৮৩,৮০০ পরিবারকে সরকারি ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
1. সাতক্ষীরা সদর 179 মেঃ টন 7,13,500/- 1,75,228/- ১79০০
2. কলারোয়া 105 মেঃ টন 5,20,000/- 99,724/- 1০5০০
3. তালা 122 মেঃ টন 5,92,000/- 1,01,724/- ১22০০
4. আশাশুনি 113 মেঃ টন 5,93,000/- 1,01,435/- 113০০
5. দেবহাটা 76 মেঃ টন 4,07,000/- 74,793/- 76০০
6. কালিগঞ্জ 113 মেঃ টন 5,69,500/- 1,01,724/- 113০০
7. শ্যামনগর 134 মেঃ টন 6,35,000/- 1,75,228/- ১3৪০০
8. সাতক্ষীরা পৌরসভা 118 মেঃ টন 5,72,000/- 1,20,129/- 118০০
9. কলারোয়া পৌরসভা ৪0 মেঃ টন 1,48,000/- 49,862/- 40০০
10.  মোট 1000 মেঃ টন 47,50,000/- 9,99,847/- 1,00,0০০
  অবশিষ্ট ১০০ মেঃ টন ৩,০০,০০০/- ১৫৩/-  
  মোট ১১০০ মেঃ টন ৫০,৫০,০০০/- ১০,০০,০০০/-  

 

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর অফিসে ত্রাণ তহবিল খোলা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের ত্রাণ তহবিলে জেলা প্রশাসকের ঈদ বোনাস, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ১ দিনের বেতন সমপরিমান অর্থ, জেলা কৃষি বিভাগ তাদের ১ দিনের বেতন সমপরিমান অর্থ ত্রাণ তহবিলে আর্থিক সাহায্য হিসেবে প্রদান করেছেন। সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান ১ লক্ষ টাকা নগদ অনুদান দিয়েছেন।

সাতক্ষীরা জেলার সকল উপজেলায় বেসরকারি ত্রাণ তহবিল গঠন করা হয়েছে।  উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী তাদের একদিনের বেতন সমপরিমাণ অর্থ, উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ তাদের  বেতন এবং প্রবাসী ও ধর্ণাঢ্য ব্যবসায়ীগণ তাদের নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী সাহায্য প্রদান করছেন। কালিগঞ্জে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা বেসরকারি ত্রাণ তহবিলে সহায়তা পাওয়া গিয়েছে যার দ্বারা ৪০০০ মানুষকে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে ও পর্যায়ক্রমে আরও সাহায্য করা হবে। তালায় প্রায় ৪.৫ লক্ষ টাকা বেসরকারি ত্রাণ তহবিলে সহায়তা পাওয়া গেছে। দেবহাটায় ২.৬৫ লক্ষ টাকা বেসরকারি ত্রাণ তহবিলে জমা হয়েছে যার দ্বারা ৫ টন চাল ক্রয় করা হয়েছে। আশাশুনিতে ৫ লক্ষ টাকা বেসরকারি ত্রাণ তহবিলে জমা হয়েছে। অন্যান্য উপজেলাতেও বেসরকারি ত্রাণ তহবিলে সামর্থ্য অনুযায়ী মানুষ সাহায্য প্রদান করছেন।

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে সংকটকালীন সময়ে কর্মহীন বন্দর শ্রমিক, হোটেল শ্রমিক, সেলুন শ্রমিক, ভ্যানচালক, মোটরবাইক চালক, ইজিবাইক চালকসহ বিভিন্ন শ্রেণির অসহায় মানুষের মাঝেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল হতে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। উপজেলা ও পৌরসভার 8৩৮০০ পরিবারের মাঝে সরকারি ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। সকল সরকারি ত্রাণ বিতরণের ক্ষেত্রে সকলকে ব্যাগের গায়ে “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার” কতাটি লিখে দেয়া হচ্ছে।

 

 

জেলার সামগ্রিক প্রচারনা, ত্রাণ বিতরণ (মধ্যবিত্ত ও শ্রমিক শ্রেণি) ও ভ্রাম্যমান বাজারের চিত্রঃ

নাম প্রচারণা জীবাণুনাশক স্প্রে ত্রাণ বিতরণ (মধ্যবিত্ত) ত্রাণ বিতরণ (শ্রমিক) বাজার স্থানান্তর ভ্রাম্যমান বাজার চালু
সাতক্ষীরা সদর প্রতিটি ইউনিয়নে প্রতিটি ওয়ার্ডে দুটি আশ্রয়ন কেন্দ্রে ত্রাণ দেয়া হয়েছে । ২ টি সাতক্ষীরা সদরের প্রতিটি ইউনিয়ন এ ৫ টি করে ভ্রাম্যমাণ বাজার চালু করা হবে।
তালা প্রতিটি ইউনিয়নে প্রতিটি ওয়ার্ডে ৬০০ ১২০০ ২৫ টি ইউনিয়নওয়ারী ভ্রাম্যমাণ বাজার
কলারোয়া প্রতিটি ইউনিয়নে ৮০ ৪০০ প্রতিটি ইউনিয়নে ৯ টি
কালিগঞ্জ প্রতিটি ইউনিয়নে প্রতিটি ওয়ার্ডে ১৫০ ১১০০ প্রতিটি ইউনিয়নে প্রতিটি ইউনিয়নে মোট ১০৫ টি ভ্রাম্যমান বাজার চালু করা হয়েছে। ফেসবুক ভিত্তিক কালিগঞ্জ অনলাইন ফ্রেশ অ্যান্ড সেফ ফিস মার্কেট এবংকালিগঞ্জ অনলাইন মার্কেট চালু করা হয়েছে।
আশাশুনি প্রতিটি ইউনিয়নে প্রতিটি ওয়ার্ডে ৪০ ১৩০ কাঁদাকাটি বাজার ১৬ টি
শ্যামনগর প্রতিটি ইউনিয়নে প্রতিটি ওয়ার্ডে ১৫০০ ৪৯০০ ১৬ টি ৫০ টি
দেবহাটা প্রতিটি ইউনিয়নে প্রতিটি ইউনিয়নে ১৩০ ১৪৭০ ৯ টি ১২ টি
জেলা প্রশাসন ৩ টি ৩টি ৫৮৫ ২৬৭০ ৪ টি
সাতক্ষীরা পৌরসভা ১০০০ ২০০ ১টি

 

সরকারি ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা  ৬ হাজার মেট্রিক টন। কৃষি বিভাগের সাথে সমন্বয় সভা করে ধান কাটা ধান ক্রয় কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা থেকে যে সকল কৃষক ধান কাটতে অন্য জেলায় যেতে চান তাদের জন্য প্রতিটি উপজেলায় বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কৃষকদের যাতে কষ্ট করে উপজেলা পরিষদে আসতে না হয় সে জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের মাধ্যনে আবেদন সংগ্রহ করা হচ্ছে। আবেদনের প্রেক্ষিতে তাদের অন্য জেলায় যাওয়ার অনুমতি প্রদান করা হবে। সেইসাথে সাতক্ষীরা জেলাতে ধান কাটতে যেন কোন সমস্যা না হয় তার জন্য কৃষকের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী প্রস্তুত করা হচ্ছে।

সাতক্ষীরা জেলার প্রতিটি উপজেলায় প্রতিদিন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামূলক  অভিযান পরিচালনা করা হয়। প্রতিটি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে  সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং আনসারের সমন্বয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও সচেতনতা বৃদ্ধি এবং হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিতকরনে অভিযান চলমান রয়েছে।

সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখা ও সরকারি আদেশ অমান্য করে ৬ টার পর দোকান খোলা রাখা এবং বিনা প্রয়োজনে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করার অপরাধে জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন অভিযানে সর্বশেষ তথ্যমতে এখন পর্যন্ত ২৩ মামলায় ২৩ জনকে ১১২০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে এর মধ্যে কালিগঞ্জ উপজেলায় ২ মামলায় ১৫০০ টাকা, তালা উপজেলায় ৪ টি মামলায় ১৮00 টাকা, শ্যামনগর উপজেলায় ৭ টি মামলায় ২৩০০ টাকা, আশাশুনি ৩ টি মামলায় ৯০০ টাকা, কলারোয়া উপজেলায় ২ মামলার ৪০০ টাকা এবং জেলা প্রশাসনের ৫ মামলায় ২৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত করোনা প্রতিরোধে মোট ২০২৬ টি মামলায় ১৯৭৮ জন ব্যাক্তি ও ৪৮ টি প্রতিষ্ঠানকে ২০,৩৭,০৮৭ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

উপজেলার নাম মামলার সংখ্যা জরিমানা
আশাশুনি ৯০০
দেবহাটা
কালিগঞ্জ ১৫০০
শ্যামনগর ৬৩০০
কলারোয়া ৪০০
তালা ১800
জেলা প্রশাসন ২৫০০
মোট ২৩ ১১২০০
 করোনা প্রতিরোধে ২০২৬ টি মামলায় ১৯৭৮ জন ব্যাক্তি ও ৪৮ টি প্রতিষ্ঠানকে ২০,৩৭,০৮৭ লক্ষ টাকা জরিমানা

 

মাহে রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ সহ নিবিড় বাজার মনিটরিংয়ের জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে টিম গঠন এবং মোবাইল কোর্টের কার্যক্রম বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির অপতৎপরতা যুক্ত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বাজার এলাকায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ কে অনুরোধ করা হয়েছে।  জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার এলাকায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে মাইকিং করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য সহায়তা বরাদ্দের ভিত্তিতে সরকারি নিয়ম অনুসরণ করে তালিকা প্রণয়নে বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে জেলা প্রশাসনের একটি পূর্ণাঙ্গ ডাটাবেজ এর মাধ্যমে সকল শ্রেণী-পেশার ভিত্তিক তালিকা প্রণয়ন করবে যেখানে সামাজিক নিরাপত্তা সুবিধাভোগীদের ও অন্তর্ভুক্ত করা হবে

উপজেলায় বিতরণের জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকার মাস্ক ক্রয় করা হয়েছে।  ইতোমধ্যে 3১৭০০ মাস্ক মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।  জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা ও উপজেলায় ৬০০ হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের সকল কার্যক্রম ফেসফুকে নিয়মিত পোস্ট করা হয়। প্রতিদিন রাত ৮ টায় ফেসবুক লাইভ এবং লোকাল ক্যাবল টিভির মাধ্যমে জেলার সামগ্রিক কার্যক্রম জেলা প্রশাসক তুলে ধরেন।

করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সংকটকালীন এই সময়ে বাজারে জনসমাগম কমাতে জেলা প্রশাসন সাতক্ষীরার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায়  সকাল ৮ টা থেকে চালু হয়েছে চারটি ভ্রাম্যমাণ বাজার।যার একটি শহরের সিটি কলেজ মোড় হয়ে খুলনা মোড়, চায়না বাংলা শপিং মল, সংগীতার মোড় ও ইটাগাছা মোড়ে অবস্থান করবে অপরটি নারকেলতলা হয়ে, পোস্ট অফিস মোড়, শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক, সদর উপজেলা পরিষদ ও কলেজ মোড়ে একঘন্টা করে অবস্থান করে।জেলা প্রশাসনের এই ভ্রাম্যমাণ বাজারে চাল, ডাল, আলু পিয়াজ, তেল মরিচসহ বিভিন্ন ধরনের সব্জি পাওয়া যাচ্ছে। নো প্রফিট নো লস এই ধারনাকে নিয়ে জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য জনসমাগম কমানো ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা।সকল উপজেলা এবং ইউনিয়ন পরিষদে ভ্রাম্যমাণ বাজার কার্যক্রম শুরু করেছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন।

 

প্রিয় সাতক্ষীরাবাসী, আপনারা সবাই ঘরে থাকুন, জরুরী প্রয়োজন ব্যতীত বাইরে বের হবেন না। বার বার সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন, নিরাপদে থাকুন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। আপনি ঘরে থাকলে ভালো থাকবে আপনার পরিবার, ভালো থাকবে জাতি, ভালো থাকবে দেশ। গত ২ সপ্তাহে আক্রান্ত ৬টি জেলা থেকে আগত প্রায় ১২০০০ মানুষকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতকরণে সহযোগিতা করার জন্য সকলকে আহ্বান জানাচ্ছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাতক্ষীরা জেলার জন্য যে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন তা সুষ্ঠুভাবে বিতরণে জেলার সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিরা সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে জেলার মর্যাদা ও ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবেন বলে আশা করছি।

জনস্বার্থে সকল কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

 

 

এস এম মোস্তফা কামাল

জেলা প্রশাসক

সাতক্ষীরা

 

Check Also

যশোর বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় কলারোয়ার আ’লীগ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিনিধি :- সাতক্ষীরা: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।