সাতক্ষীরায সহস্রাধীক মসজিদে জুম্মা আদায়: তারাবির ঘরে পড়ার আহ্বান ইমামদের: আইন না মানলে কঠোর ব্যবস্থা

ক্রাইমর্বাতা রিপোর্ট: সাতক্ষীরা:   করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতি মোকাবিলায় পবিত্র রমজানের তারাবির নামাজ মসজিদের পরিবর্তে মুসল্লিদের ঘরে পড়ার আহ্বান জানিয়েছে সরকার। অন্যথায় স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে ভরে হুশিয়ারী দিয়েছেন তারা। এদিকে আজ শুক্রুবার সাতক্ষীরা জেলার সহস্রাধীক মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায় করেছে র্ধমপ্রাণ মুসল্লিরা। তারা করোনামত গজব থেকে দেশকে রক্ষা করতে আল্লাহর সাহায্য কামনা করেছেন।  তবে বেশির ভাগ মসজিদে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি আমলে নেয়নি মুসল্লিরা। জেশির ভাগ মসজিদের ঈমামের পক্ষ থেকে সরকারের র্নিদশনার কথা বলা হলেও মুসল্লিরা তা মানতে না রাজ।

সাতক্ষীরা শহরের ৫নং ওয়ার্ডর মিয়াসাহের ডাংগা মধ্যপাড়া মসজিদের ইমাম মাওলানা নুরহোসেন জানান, পবিত্র রমজানে এশার নামাজের জামাতে ইমাম, মুয়াজ্জিন, খতিব, খাদিম এবং দুজন হাফেজসহ সর্বোচ্চ ১২ জন অংশগ্রহণ করতে পারবে। এতে করোনার মত রোগ থেকে মুসল্লিরা নিরাপদ থাকতে পারবে। তিনি আরো জানান তারাবি নামাজ বাড়িতে পড়লে সোয়াব বেশি। তাই  আমাদের উচিৎ তারাবির নামাজ বাড়িতে পড়া। একই আহবান জানিয়েছেন জেলার বেশির ভাগ মসজিদের ইমামরা।

এদিকে  শুক্রবার সকালে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (প্রশাসন) দেলোয়ারা বেগম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে  বলা হয়, পবিত্র রমজানে এশার নামাজের জামাতে ইমাম, মুয়াজ্জিন, খতিব, খাদিম এবং দুজন হাফেজসহ সর্বোচ্চ ১২ জন অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এশার জামাত শেষে এ ১২ জনই মসজিদে তারাবির নামাজ পড়তে পারবেন। তারা ছাড়া অন্য মুসল্লিরা নিজ নিজ ঘরে এশা ও তারাবির নামাজ আদায় করবেন। সবাই ব্যক্তিগতভাবে তিলাওয়াত, জিকির ও দুআ’র মাধ্যমে মহান আল্লাহর রহমত ও বিপদ মুক্তির জন্য প্রার্থনা করবেন।

এতে আরও বলা হয়েছে, প্রত্যেকের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করার স্বার্থে পবিত্র রমজান উপলক্ষে কোনো ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠান ইফতার মাহফিলের আয়োজন কিংবা যোগদান করতে পারবেন না। উল্লেখিত নির্দেশনা লঙ্ঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটিকে এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জনস্বার্থে এ নির্দেশ জারি করা হলো বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ, জুমা, জামাত, শবে বরাতের নফল নামাজ এবাদত ইত্যাদি মসজিদের পরিবর্তে মুসল্লিদের ঘরে আদায়ের নির্দেশনা দেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়। এ সময় ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদেমসহ সর্বোচ্চ পাঁচজন দিয়ে মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আর ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদেমসহ সর্বোচ্চ ১০ জনের উপস্থিতিতে জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দেওয়া হয়। তারই ধারাবাহিকতায় করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদেম ও দুজন হাফেজসহ মোট ১২ জনের উপস্থিতিতে মসজিদে, বাকি মুসল্লিদের নিজ নিজ ঘরে রমজানে এশা ও তারাবির নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দিল সরকার

Check Also

আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের খালিয়া রাস্তার বেহাল দশা।। বিপত্তিতে শতাধিক পরিবার।।দ্রুত সংস্কার দাবি 

এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড খালিয়া গ্রামের সানাপাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবার একটি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।