মুহা. রুহুল আমিন,
আজ রমজানের প্রথম দিন অতিবাহিত হচ্ছে। মহামারীর কারনে আমরা আজ গৃহবন্দি। মসজিদ গুলো অনেকটা মুসল্লি সুন্য, মসজিদে ইফতার, তারাবির বড়ো জামায়ত নেই। একেবারে সাদামাটা রমজান।
সিয়াম পালনের বিধান আসে মদিনায় হিজরতের দ্বিতীয় বছর। সে সময়টা মুসলমানদের জন্য ভয়ংকর অনিশ্চিতার একটা সময় ছিল। তখন আল্লাহ তায়ালার ঘোষণাঃ
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ
হে মুমিনগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে। যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর। যেন তোমরা তাক্বওয়া (আল্লাহ ভীতি) অর্জন করো(সূরা বাক্বারা- ১৮৩)
রাসূল (সাঃ) বলেনঃ
যে ব্যাক্তি ঈমানের সাথে সাওয়াবের আশায় রমজান মাসে রোজা পালন করবে তার পূর্বের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। (সহিহ বুখারী-১৯১০)
রোজা ঢাল স্বরূপ। এ দ্বারা বান্দা তার নিজেকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করতে পারে।(আহমাদ-১৫২৯৯)
যে ব্যক্তি মিথ্যা পরিত্যাগ করলো না, আল্লাহ তা’য়ালা তার পানাহার ত্যাগ কবুল করেন না (বুখারী-১৯০৩)
রমজান আসছে আমাদেরকে কোরআন প্রতিষ্ঠার মাঠে উপস্থিত হওয়ার ডাক নিয়ে। তাই কিছু প্রশিক্ষন নিয়ে নিজেকে তৈরী করা প্রোয়জন।
ঈমানের সাথে সাওয়াবের আশায় রমজান মাসে রোজা পালন করা। নিজেকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করা। মিথ্যা পরিত্যাগ করা। সময় মত সালাত আদায় করা, সালাতুত তারাবীহ ও তাহাজ্জুদ পড়া। যাকাত আদায় করা। বেশি বেশি দান-সদাকাহ করা। সেহরি খাওয়া ও অপর ভাইকে খাওয়ার ব্যবস্থা করা, ইফতার করা ও করানো। কুরআন শেখা ও অপরকে শেখানো, কুরআন বুঝা ও আমল করা। উত্তম চরিত্র গঠনের অনুশীলন করা। দাওয়াতে দ্বীনের কাজ করা। তাকওয়া অর্জন করা।
হে সুবিশাল আসমানের মালিক,বিস্তৃত জমিনের মালিক, তোমার সাহায্যের অপেক্ষায় আমরা, রমজানের রহমত, মাগফিরাত, নাজাত দিয়ে আমাদের ভরিয়ে দাও, তুমি আমাদেরকে মাফ করে দাও, রমজানের অছিলায় পৃথিবী থেকে ভয়ংকর মহামারী উঠিয়ে নাও।
মুহা. রুহুল আমিন,(লেখক ক্রাইমর্বাতা ডক কম)