আবু সাইদ বিশ্বাস: ক্রাইমর্বাতা: সাতক্ষীরা দেশ বরেণ্য ফিফা রেফারি তৈয়ব হাসানের আহবানে তার জীবনের অন্যতম সেরা
জার্সিটি নিলামের প্রথম ডাক হিসেবে ২লাখ টাকায় কেনার ইচ্ছা পোষন করেছেন সাতক্ষীরার তরুন ব্যবসায়ি ক্রীড়া পৃষ্টপোষক তুফান কোম্পানী লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ তানজিম কালাম তমাল। তিনি এই উদ্যোগকে স্বাগত
জানিয়ে মানবতার কল্যানে এগিয়ে আসতে জার্সিটি নিলামে প্রতিদ্বদ্বিতা করার জন্য দেশ বিদেশের ব্যবসায়ি ক্রীড়া সংগঠকসহ যে কোনো আগ্রহী ব্যক্তিকে এগিয়ে আসার আহবান জানান। শেখ তানজিম কালাম তমাল বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে গোটা বিশ্ব স্থবির। এমন
পরিস্থিতিতে এগিয়ে আসছেন দেশ বিদেশের অনেক খেলোয়াররা। যে যার অবস্থান
থেকে অর্থ সংগ্রহে এগিয়ে আসছেন। অনেকে নিলামে তুলছেন নিজেদের জার্সি
ব্যাটসহ জীবনের অনেক স্মরনীয় মূহুর্তের স্মারকগুলি। ঠিক এমনই সময় নিজের
স্মরনীয় জার্সি নিলামে তোলার ঘোষনা দেন দেশের খ্যাতিমান সাবেক ফিফা
রেফারি সাতক্ষীরার গর্ব তৈয়ব হাসান। তার এই চিন্তাকে সাধুবাদ জানাতে আমি
প্রাথমিকভাবে এটি কিনতে রাজি হয়েছি। তবে তিনি আশা করেন নিলামে জার্সিটির
মুল্য আরও বেশী হবে। এই নিলামে সকলকে অংশ গ্রহনের জন্য আহবান জানিয়ে তিনি
বলেন, যদি কোনো সহৃদয়বান ব্যক্তি তার এই মহতি উদ্যোগে এগিয়ে আসেন তাহলে
তিনি খুশীই হবেন।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৮ বছরের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দাপিয়ে রেফারিং করা তৈয়ব
হাসান ২০১৩ সালে নেপালের কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম
রেফারি হিসেবে সাফের ফাইনাল ম্যাচ পরিচালনা করেন। সে ম্যাচে ভারতকে ২-০
গোলে হারিয়ে আফগানিস্তান চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। এই ম্যাচে
তিনি যে জার্সিটি পরে তিনি খেলা পরিচালনা করেন তৈয়ব হাসান সেই জার্সিটি
সম্প্রতি নিলামে তোলার ঘোষনা দেন।
তৈয়ব হাসান সামসুজ্জামান বলেন, তিনি করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে
দাড়াতে তার জীবনের অনন্য এই জার্সিটি নিলামে তুলতে চান। তা থেকে প্রাপ্ত
অর্থ তিনি পুরোটাই ব্যয় করবেন করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য।
তৈয়ব হাসান সামসুজ্জামান এর রয়েছে বাংলাদেশের কোনো রেফারি হিসেবে সবচেয়ে
বেশী আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করার রেকর্ড। টানা ১০ বছর এএফসির এলিট
প্যানেলেও ছিলেন তিনি।
আন্তর্জাতিক রেফারি ছিলেন ১৯৯৯-২০১৬ সাল পর্যন্ত। দীর্ঘ ১
———0———-
করোনা ভাইরাসে কর্মহীন হয়ে পড়া এবং ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য অনলাইনে জার্সি নিলামে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন সাতক্ষীরার কৃতি সন্তান তৈয়ব হাসান সামসুজ্জামান। সবচেয়ে বেশি আর্ন্তজাতিক ম্যাচ পরিচালনায় একমাত্র তাঁরই রেকর্ড আছে, যিনি আমাদের সাতক্ষীরার গর্ব। ২০১৩ সালে কাঠমান্ডুতে সাফ ফুটবলের ফাইনালে ভারত বনাম আফগানিস্তানের ম্যাচটি সুনিপুন হাতে তিনি পরিচালনা করেছিলেন। করোনা ভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের আর্থিক সহযোগিতার লক্ষ্যে সেই ফাইনাল ম্যাচে ব্যবহৃত জার্সিটি আজ তিনি অনলাইনে নিলামে তুলেছেন। তিনি জানান, ‘আমি করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য কিছু করতে চাই। এজন্য সমাজের বিত্তবানদের আহবান জানাচ্ছি এই নিলামে অংশ নেওয়ার জন্য। ইতোমধ্যে তানজিম কালাম তমাল ২ লক্ষ টাকায় নিলামের সূচনা করেছেন তুফান কোম্পানী লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানজিম কালাম তমাল।
তিনি আরো বলেন, এটি আমার মূল্যবান একটি জার্সি। তবে করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াতে জার্সিটি অনলাইনে নিলামে তোলা হবে। নির্ধারিত তারিখ ও সময় পরবর্তীতে জানাবেন বলে জানান তিনি।’
এবিষয়ে জানতে চাইলে তানজিম কালাম তমাল বলেন, ‘তৈয়ব হাসান সামসুজ্জামান বাবু ভাইয়ের এই মহতি উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় মানুষদের আর্থিক সহযোগিতার জন্য এ নিলাম কার্যক্রমে অংশগ্রহন করতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রথম থেকেই পারিবারিকভাবে খাদ্য সহায়তা/আর্থিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছি। মানবতার কল্যাণে জার্সিটি নিলামে প্রতিদ্বদ্বিতা করার জন্য দেশ বিদেশের ব্যবসায়ি ক্রীড়া সংগঠকসহ যে কোনো আগ্রহী ব্যক্তিকে এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি। তানজিম কালাম তমাল আরো বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে গোটা বিশ্ব স্থবির। এমন পরিস্থিতিতে এগিয়ে আসছেন দেশ বিদেশের অনেক খেলোয়াররা। যে যার অবস্থান থেকে অর্থ সংগ্রহে এগিয়ে আসছেন। অনেকে নিলামে তুলছেন নিজেদের জার্সি ব্যাটসহ জীবনের অনেক স্মরনীয় মূহুর্তের স্মারকগুলি। ঠিক এমনই সময় নিজের স্মরনীয় জার্সি নিলামে তোলার ঘোষনা দেন দেশের খ্যাতিমান সাবেক ফিফা রেফারি সাতক্ষীরার গর্ব তৈয়ব হাসান। তার এই চিন্তাকে সাধুবাদ জানাতে আমি প্রাথমিকভাবে এটি কিনতে রাজি হয়েছি। তবে তিনি আশা করেন নিলামে জার্সিটির মুল্য আরও বেশী হবে। এই নিলামে সকলকে অংশ গ্রহনের জন্য আহবান জানান তিনি।
তৈয়ব হাসান সামসুজ্জামান এর রয়েছে বাংলাদেশের কোনো রেফারি হিসেবে সবচেয়ে বেশী আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করার রেকর্ড। টানা ১০ বছর এএফসির এলিট প্যানেলেও ছিলেন তিনি। আন্তর্জাতিক রেফারি ছিলেন ১৯৯৯-২০১৬ সাল পর্যন্ত। দীর্ঘ ১৮ বছরে ১০০-এর বেশী আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করেন তিনি। বিশ্বকাপ বাছাই, অলিম্পিক বাছাই, এএফসি চ্যাম্পিয়নস লীগ, এএফসি কাপ, দুটি এশিয়ান গেমস, এএফসি বিভিন্ন টুর্নামেন্টের ফাইনাল রাউন্ড, সাফ, সাফ গেমসসহ অনেক ম্যাচ পরিচালনার বর্নাঢ্য অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। ফিফা রেফারী হিসেবে তিনি ৪০টির মত দেশে খেলা পরিচালনা করেছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।