যশোর প্রতিনিধি: বৃহত্তর যশোরে দ্রুত বাড়ছে করোনা পজেটিভের সংখ্যা। গেল ২৪ ঘণ্টার রিপোর্টে এই অঞ্চলে ২৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। মাত্র ৬৬টি নমুনা পরীক্ষা করে এই রেজাল্ট আসে।
এর মধ্যে সবচেয়ে নাজুক অবস্থা যশোরের। এই জেলায় আজ নতুন করে ১৪ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর এলো। মাত্র ৪২ জনের শরীর থেকে সংগৃহিত নমুনা পরীক্ষা করে তার মধ্যে ১৪টি পজেটিভ বলে শনাক্ত হয়।
এছাড়া ঝিনাইদহের আটটি, নড়াইলের তিনটি এবং মাগুরার দুটি নমুনা পজেটিভ রেজাল্ট দেয়।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জেনোম সেন্টারে গেল ২৪ ঘণ্টায় বৃহত্তর যশোরের সন্দেহভাজন ৬৬ রোগীর নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জনদের মাধ্যমে এসব নমুনা এসেছিল।
যবিপ্রবি থেকে জানানো হয়েছে, এর মধ্যে যশোর জেলার ৪২ নমুনার মধ্যে ১৪টি, ঝিনাইদহের ১৫ নমুনার মধ্যে আটটি, নড়াইলের চার নমুনার মধ্যে তিনটি এবং মাগুরা জেলার পাঁচ নমুনার মধ্যে দুটির পজেটিভ রেজাল্ট আসে।
যবিপ্রবির জেনোম সেন্টারে পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর এতো বেশি সংখ্যক করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার ঘটনা আর ঘটেনি। যদিও এদিন পরীক্ষা করা হয়েছে মাত্র ৬৬টি নমুনা। তাহলে কি বৃহত্তর যশোর অঞ্চলের পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠছে?
এমন প্রশ্নে যবিপ্রবি অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তানভীর ইসলাম বলেন, ‘না, এখনো তেমনটি বলার সময় আসেনি। তবে করোনা পজেটিভের সংখ্যা বাড়ছে। এক সময় প্রায় ১০০ নমুনা পরীক্ষা করে অল্প কয়েকটি পজেটিভ কেস মিলেছে। এখন তার চেয়ে কম নমুনায় বেশি পজেটিভ পাওয়া যাচ্ছে। ফলে পরিস্থিতি ক্রমে খারাপ হচ্ছে। কিন্তু এখনো মহামারী আকার নেয়নি।’
এমন অবস্থায় মানুষকে আরো সচেতন হতে হবে বলে মত দেন যবিপ্রবি জেনোম সেন্টারে দায়িত্বরত এই শিক্ষক।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোম সেন্টারের সহকারী পরিচালক প্রফেসর ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদ জানিয়েছেন, নমুনা পরীক্ষার রেজাল্ট আইইডিসিআর-সহ সংশ্লিষ্ট জেলার সিভিল সার্জনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আক্রান্তরা বর্তমানে কোথায় আছেন তা সংশ্লিষ্ট বিভাগ বলতে পারবে।
এবিষয়ে যশোরের সিভিল সার্জন বলেন, আক্রান্তদের অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। যবিপ্রবি জেনোম সেন্টারের পাঠানো ইমেইল পর্যালোচনা করে পরে জানানো হবে।
যবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এখন থেকে শুধু বৃহত্তর যশোরের চার জেলার সন্দেহভাজন রোগীদের নমুনা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোম সেন্টারে পরীক্ষা করা হবে। এর আগে বৃহত্তর কুষ্টিয়ার তিন জেলার নমুনাও এখানে পরীক্ষা করা হচ্ছিল। এখন ওই তিন জেলার নমুনা অন্য ল্যাবে পরীক্ষা করা হবে।