ক্রাইমবার্তা রিপোট: গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের তৈরি করোনা পরীক্ষার কিট গ্রহণ করেনি ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এ তথ্য জানিয়ে গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ও অন্যতম ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী অভিযোগ করেন, সরকারের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ব্যবসায়িক স্বার্থে জাতীয় স্বার্থের বিপক্ষে কাজ করছে। তারা নানা অজুহাত দেখিয়ে গণস্বাস্থ্যের কিট গ্রহণ করেনি। তিনি বলেন, আমরা জনগণের স্বার্থে শুধু সরকারের মাধ্যমে পরীক্ষা করে কিটটি কার্যকর কি-না, তা দেখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সরকারিভাবে প্রতি পদে পদে পায়ে শিকল দেয়ার চেষ্টা হয়েছে। রোববার বিকালে ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে শনিবার একই জায়গায় করোনাভাইরাস পরীক্ষার কিট ‘জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লট’ হস্তান্তর করেন গণস্বাস্থ্যের গবেষকরা। আমন্ত্রণ জানানোর পরও মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার্স ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) ছাড়া গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত এ কিট গ্রহণের জন্য যায়নি সরকারের কোনো প্রতিষ্ঠান।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানান, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের কার্যালয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের করোনা কিটের উদ্ভাবক ড. বিজন কুমার শীলসহ তিনজন এটি জমা দিতে যান।
তবে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর তা গ্রহণ করেনি। এমনকি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের তিনজনের প্রতিনিধি দলের একজনকে ওষুধ প্রশাসনের কার্যালয়ে প্রবেশও করতে দেয়া হয়নি।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আপনাদের বুঝতে হবে, কিভাবে তারা ব্যবসায়িক স্বার্থকে রক্ষা করছেন। তারা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে রেখে চলেন, তাতে তাদের লেনদেনে সুবিধা হয়। গত ৪৮ বছরে গণস্বাস্থ্য কাউকে ঘুষ দেয়নি, দেবে না। গণস্বাস্থ্যের উদ্ভাবিত কিট (ব্যবহারযোগ্য হয়ে) আসুক আর না আসুক, কাউকে ঘুষ দেব না। কিন্তু লড়াই করে যাব।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, অনুমোদন নেই দেখে আমরা আসতে পারব না। আমরা তো আপনাদের হাতে দিতে চাই, যাতে আপনারা পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। আমাদেরকে কালকে বলা হলো, তারা আসবেন না। ঠিক আছে, আজকে আমরা গেলাম। আজকে গণস্বাস্থ্যের ড. বিজন কুমার শীলসহ তিনজন গেলেন। তারপরও দেখেন, কেমন আমলাতান্ত্রিকতা। দুজনকে ঢুকতে দেবে, আরেকজনকে দেবে না। অথচ বাইরের তিনজন লোককে ভেতরে বসিয়ে রেখেছেন। তাদের ব্যবসা সংশ্লিষ্ট লোকদের ভেতরে বসিয়ে রেখেছেন। ফিরোজ, তিনি হেড অব দ্য ডিপার্টমেন্ট অব নোয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয়, পদমর্যাদায় ওই ডিজি সাহেবের সমতুল্য তিনি। এ জাতীয় লোককে ভেতরে ঢুকতে দেয়নি।