ক্রাইমবার্তা রিপোট:সাতক্ষীরা: দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৬০ জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। চার জেলায় এখনো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কাউকে পাওয়া যায়নি। এ চারটি জেলা হলো সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি। সাতটি জেলায় সর্বাধিক করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ায় ওই জেলাগুলোকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
খুলনা বিভাগে এখন পর্যন্ত করোনা সনাক্ত রোগী মোট ৭৭ জন। গত ২৪ ঘন্টার মধ্যে নতুন সনাক্ত ২৭ জন। সর্বোচ্চ সংখ্যক ৩০ জন রোগীই যশোর জেলায়। এদের মধ্যে সুস্থ্য হয়েছে ৫ জন এবং মৃতের সংখ্যা ২ জন। বর্তমানে বিভাগে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭০ জন। খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্রমতে খুলনা জেলায় আজ রোববার পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত সনাক্ত করা হয়েছে ৮ জন। এরমধ্যে মারা গেছে ১ জন। সুস্থ্য হয়েছেন ১ জন। যশোর আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ জন, সুস্থ্য ১জন। চুয়াডাঙ্গায় আক্রান্ত ৭ জন, সুস্থ্য ১ জন। নড়াইল ১০ জন, সুস্থ্য ১ জন। কুষ্টিয়া ৫ জন, মাগুরা ৪ জন, মেহেরপুর ২ জন, ঝিনাইদহ ১০ জন ও বাগেরহাট ১ জন। এরমধ্যে মেহেরপুরে একজন মারা গেছে এবং বাগেরহাটে একজন সুস্থ্য হয়েছেন। বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী এখনো সাতক্ষীরা জেলা করোনামুক্ত রয়েছে। যদিও আজ রোববারই যশোরে সনাক্তদের মধ্যে একজনের বাড়ি সাতক্ষীরায় এবং তিনি বাড়িতেই ফিরে এসেছেন। এছাড়া ভারত থেকে আসা শ্যামনগরের একজন মহিলা যশোরে সনাক্ত হওয়ার পর তিনি যশোরেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
২৬ এপ্রিল বিকাল র্পযন্ত সাতক্ষীরা জেলাতে কোন ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হয়নি। এছাড়া সাতক্ষীরা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, আইইডিসিআর খুলনা থেকে পাঠানো আজ ৩৪টি রিপোটের ফলাফল তাদের কাছে এসে পৌছিয়েছে। আজ নতুন করে এক জনের নমূনা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং এক জনের রিপোট নেঘেটিভ এসেছে।
ফলে সাতক্ষীরা থেকে করোনা টেস্টের জন্য এ পর্যন্ত ২৮৮ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ১৪২ জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। আশার কথা হলো সবাই করোনা নেগেটিভ। এছাড়া নতুন করে আরো ১টি নমূনা সংগ্রহ করে করোনা টেস্টের জন্য আইইডিসিআর খুলনাতে পাঠানো হয়েছে।
সাতক্ষীরায় বিদেশ ফেরত মোট ২ হাজার ৫৪৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে আরো ৩ হাজার ৫২৯জনকে। এছাড়া মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে আসোলেশনে রয়েছে ২ জন এবং যুবউন্নয়নের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে আরো ৭ জন।
আবু সাইদ বিশ্বাস