সাতক্ষীরার মানুষের সুরক্ষায় হাসিমুখে জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছেন গর্বিত পুলিশ সদস্যগণ

এসএম শহীদুল ইসলাম: সাতক্ষীরার ২২ লক্ষ মানুষকে সুস্থ্য ও শান্তিতে রাখতে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জেলা পুলিশের সদস্যরা। নিজেরা করোনার ঝুঁকি নিয়ে বাইরে থেকে মানুষকে ঘরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টায় রত পুলিশের পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। গ্রীষ্মের কাঠফাটা রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে কাকভেজা হয়ে সড়কে-মহা সড়কে ক্লান্তিহীন দায়িত্ব পালন করছেন তারা। সার্বিক কাজে নেতৃত্ব ও পরামর্শ দিচ্ছেন কুমিল্লা জেলার কৃতি সন্তান সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান-পিপিএম (বার)। গোটা বিশ্ব
জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে মহামারী করোনা ভাইরাস। বাদ যায়নি প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশও। এ অবস্থায় সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জেলাবাসিকে করোনামুক্ত রাখতে স্থাপন করেছেন মানবতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। মহামারি করোনাযোদ্ধা হিসেবে তার সাথে জেলার একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে অবিরাম ছুটে চলেছেন পুলিশ সুপারের নির্দেশে তার সহযোদ্ধারা। করোনাযুদ্ধে বেঁচে থাকার নতুন স্বপ্নদ্রষ্টার সারিতে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান ও তার বাহিনীর নাম চিরকাল শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ রাখবে সাতক্ষীরাবাসি। বাংলাদেশ পুলিশের গর্বিত সদস্য হিসেবে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান সাতক্ষীরার ২২ লক্ষ মানুষের সুখ-শান্তি ও স্বস্তির জন্য গ্রহণ করেছেন বহুমাত্রিক পদক্ষেপ।
নিজের জীবনের চিন্তা না করে প্রতিটি মুহূর্তে হতদরিদ্র দুখী পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিলিয়ে দিচ্ছেন অকাতরে। জেলা পুলিশ সদস্যদের দেওয়া অর্থে গঠন করেছেন ত্রাণসহায়তা ফান্ড। মোবাইল ফোনে ক্ষুদে বার্তা, ফেসবুক ম্যাসাঞ্জারে ক্ষুদে বার্তা পেলেই তিনি খাদ্যসামগ্রী পৌছে দিচ্ছে অনাহারীর ঘরে। আর্ত-মানবতার সৈনিক মোস্তাফিজুর রহমান জেলার প্রতিটি পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচার-প্রচারণা। ঘরে থাকুন-নিরাপদে থাকুন।
বাংলাদেশ পুলিশের একজন মানবিক পুলিশ অফিসার পুলিশ সুপার সাতক্ষীরা মোস্তাফিজুর রহমান জেলার সাধারণ মানুষের মাঝে বিতরণ করেছেন মাস্ক, গ্লোবসসহ বিভিন্ন সুরক্ষা উপকরণ।
যারা সাহায্যের জন্য অন্যের কাছে হাত পাততে পারেননা এমন মানুষের পাশে দাঁড়ালেন তিনি। মানবিকতার জ্যোৎ¯œা বিধৌত পথে তিনি অনেকগুলো উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন।
সাতক্ষীরাবাসির সুখের জন্য, শান্তির জন্য এবং সুস্থ্য রাখার জন্য তিনি জেলার ৭৮টি ইউনিয়নের প্রত্যেক গ্রামে নজর রেখে চলেছেন। কে কোথায়, কখন কোন সমস্যায় পড়েছেন তা জানা মাত্রই নিচ্ছেন ব্যবস্থা।

অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো তার নেশায় পরিণত হয়েছে। এমন কর্মকা- প্রতিদিন করে থাকেন। তিনি দিনে-রাতে কখন ঘুমান তা কেউ বলতে পারেননা। অসহায় মানুষের আর্তনাদ শোনার জন্য তিনি কান পেতে থাকেন। কেউ যেনো করোনাকালের এ মহা দুর্যোগে বিপদে না পড়েন সেজন্য এক প্রকার নির্ঘুম রাত কাটান তিনি। সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের করোনা প্রতিরোধে কিছু মানবিক কাজের নমুনা তুলে ধরা হলো।
সাতক্ষীরা জেলার প্রথম কোভিড-১৯ সনাক্তকৃত মাহমুদুল হাসান সুমন। তার বাড়ি সদরের রাজনগর গ্রামে। এ গ্রামের সরদার বাড়ি জামে মসজিদে নামাজ আদায়কালে এবং অন্যান্য সময় বেশ কিছু লোকের সংস্পর্শে এসেছিলেন মাহমুদুল হাসান সুমন। এমতাবস্থায় সংক্রমণ প্রতিরোধকল্পে এবং এলাকাবাসীর সর্বোত্তম স্বার্থে ওই সমস্ত ব্যক্তিদের বাসা লকডাউন করেন পুলিশ সুপার। এ সময় এলাকাবাসীকে কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে সতর্ক থাকার জন্য, বাসায় থাকার জন্য এবং জেলা পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্য আহ্বান জানান পুলিশ সুপার।

যারা সাতক্ষীরার বাইরে থেকে কিংবা সাতক্ষীরা থেকে বাইরের জেলায় গিয়ে সরকারি/ বেসরকারি চাকরী করেন, তাদের যাতায়াত বন্ধ ঘোষণা করেছেন পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান। পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া পর্যন্ত সবাইকে স্ব স্ব কর্মস্থলে থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এরই ধারাবাহিকতায় ২৭-০৪-২০২০ তারিখ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার) সাতক্ষীরার প্রতিটি থানার সীমান্তবর্তী এলাকার চেকপোস্ট পরিদর্শন করেন এবং চেকপোস্টে কর্মরত অফিসার ফোর্সদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান তার ফেসবুক পেইজে জানান, সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সীমান্ত চেকপোস্টে ধানকাটা শ্রমিকদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করে অন্যজেলায় যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছে।
যারা সাতক্ষীরার বাইরে থেকে কিংবা সাতক্ষীরা থেকে বাহিরের জেলায় গিয়ে সরকারি/বেসরকারি চাকরি করেন, তাদের যাতায়াত বন্ধ। কর্মস্থলে থাকতে হবে। অন্যথায় কোন চেকপোস্ট/পুলিশি টহলে পড়লে আটক হবেন। পরবর্তী নির্দেশনা দেয়া পর্যন্ত সবাইকে স্ব স্ব কর্মস্থলে থেকে দায়িত্ব পালন করতে অনুরোধ করা হলো। ‘বাসায় থাকুন নিরাপদ থাকুন’।

এদিকে এরআগে পুলিশ সদস্যদের নিরাপত্তার লক্ষ্যে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ও রেঞ্জ অফিস কর্তৃক প্রদত্ত পিপিই, ফেস মাস্ক, হ্যান্ড গ্লোভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ বিভিন্ন প্রকার স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেন জেলা পুলিশের এই শীর্ষ কর্মকর্তা। ২৬-০৪-২০২০ তারিখে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম(বার) এর দিকনির্দেশনায় জেলার সকল ইউনিটে পুলিশ সদস্যদের মাঝে এসব উপকরণ বিতরণ করা হয়।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের কর্ণধার পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, পিপিএম (বার) এর উদ্যোগে জেলার প্রতিটি উপজেলায় আড্ডাবাজি বন্ধ করতে ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে জেলায় আড্ডাবাজি শুন্যের কোঠায় চলে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. দেলোয়ার হুসেন অসহায় কর্মহীন দুস্থ মানুষের খাদ্য সহাযয়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছেন। শুধু কালিগঞ্জ নয়, জেলার সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসাদুজ্জামান, কলারো থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মুনির-উল গীয়াস, তালা থানার অফিসার ইনচার্জ মেহেদী রাসেল, পাটকেলঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ ওয়াহিদ মুর্শিদ, দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহা, আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুস সালাম এবং শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ নাজমুল হুদার নেতৃত্বে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা মানবতার সৈনিক হিসেবে ক্লান্তিহীন সময় পার করছেন। যাতায়াত সমস্যা, খাদ্য সমস্যা, ওষুধ-পথ্য সমস্যাসহ জনসাধারণের হাজারো সমস্যার সমাধানে যেনো সদা প্রস্তুত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এমনকি মৃত ব্যক্তির দাফন-কাফনের দায়িত্বও কাঁধে এসে পড়ছে তাদের।

এ প্রসঙ্গে একটি ঘটনা উল্লেখ করা হলো। করোনা উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা পশ্চিমপাড়ায় মারা যান আব্দুর রহিম (৬১) নামের এক ব্যক্তি। ২১ এপ্রিল বেলা ১১টার দিকে নিজ বাড়িতে জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও উচ্চ রক্তচাপজনিত কারণে মারা যান এই বৃদ্ধ।
তিনি পাটকেলঘাটা পশ্চিমপাড়ার মৃত ওমর আলী গাজীর পুত্র এবং পাটকেলঘাটা বাজারের নৈশ প্রহরী হিসেবে কাজ করতেন। আব্দুর রহিম মারা যাওয়ার পর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে করোনা আতঙ্ক। তবে আতঙ্ক উপেক্ষা করেই মরদেহের পাশে ছিলেন পুলিশ সদস্যরা। পুলিশ সুপারের নির্দেশে জীবনের মায়া উপেক্ষা করে পাটকেলঘাটা থানা পুলিশের ওসি ও পুলিশ সদস্যরা দাফনের ব্যবস্থা করেন।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের সুযোগ্য কর্ণধার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, পিপিএম (বার) এর দিক নির্দেশনায় জেলার আটটি থানার অফিসার ইনচার্জগণ করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার) সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের অনাবাদী জমিতে বিভিন্ন ধরনের শাক-শবজি চাষাবাদ শুরু করেছেন। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার) নিজস্ব উদ্যোগে দরিদ্র, নিম্নমধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন।
সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের মানবিকতা ও উদারতায় রাজধানী ঢাকার গাবতলীতে আটকে পড়া সাতক্ষীরার আশাশুনির কাদাকাটি গ্রামের পঞ্চানন গায়েন ১৯ দিন পরে বাড়ি ফিরে আসেন। করোনাকালে পঞ্চানন গায়েনকে ১৯দিন পর কাছে পেয়ে যে আনন্দ আর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে তা কোনো পরিমাপে মাপা যায় না। পুলিশের সহায়তায় তাকে ঢাকা থেকে যশোর, তারপর যশোর থেকে পুলিশের গাড়িতে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার পূর্ব কাদাকাটি গ্রামে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে পঞ্চরামকে।
কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) প্রতিরোধে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি অব্যহত আছে। খাদ্য সহায়তা কর্মসূচিতে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার)।
কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) প্রতিরোধে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার) এর দিকনির্দেশনায় জেলার প্রতিটি থানায় অপ্রয়োজনীয় চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশ চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে এবং জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থান সমূহে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অভিযান পরিচালনা করছেন সাতক্ষীরা জেলার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) প্রতিরোধে সাতক্ষীরা জেলায় প্রবেশ/বাহির এর ক্ষেত্রে সীমান্ত তল্লাশী চলমান, অপ্রয়োজনীয় যাতায়াত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় জেলার প্রতিটি থানার সীমান্তবর্তী এলাকায় পুলিশ চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর তার ফেসবুক পেইজে বলেছেন, সাতক্ষীরার একটি এলাকায় একজন মানুষের সন্দেহভাজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে মর্মে আপনারা অনেকে জেনেছেন। ইতোমধ্যে উক্ত এলাকা লকডাউন করে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অন্যান্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশ বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করছে। আতংকিত হবেন না। ইতোমধ্যে উক্ত ব্যক্তিকে সমাহিত করা হয়েছে। মেডিক্যাল রিপোর্টের জন্য ঢাকায় নমুনা পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত সবাইকে হোম কোয়ারেন্টাইন থাকতে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
সবাই বাসায় থাকুন নিরাপদ থাকুন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের প্রতিটি সদস্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় কোন পুলিশ সদস্য যদি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয় অথবা লক্ষণ দেখা দেয় সেক্ষেত্রে সেই সকল পুলিশ সদস্যদের জন্য জেলা পুলিশ সাতক্ষীরা কর্তৃক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার (পুরুষ/ মহিলা সদস্যদের জন্য পৃথক কক্ষ) এবং কুইক রেসপন্স টিম প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান জেলা পুলিশের কর্ণধর মোস্তাফিজুর রহমান।
এদিকে পুলিশ সুপার জেলা উৎপাদনের সৈনিক কৃষকদের কথা ভেবে ত্রাণ সহায়তার তালিকায় সরাসরি কৃষকের নিকট থেকে ঢেঁড়স ক্রয় করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
জেলার মানুষের সুরক্ষায় হাসিমুখে জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছেন গর্বিত পুলিশ সদস্যগণ।

সাধারণ মানুষের সুরক্ষার জন্য তারা সম্ভবপর সব কিছু করছেন। যে কোনো সমাবেশ ও লোকসমাগমে আইনি ব্যবস্থা, অপরাধ দমন, আসামী গ্রেপ্তার ও তাকে আদালতে প্রেরণ, মানুষের বেঁচে থাকার জন্য আবশ্যিক খাদ্য ওষুধ ও অন্যান্য জরুরী সেবার সাথে যুক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে নিরাপত্তা দেয়া, দ্রব্য সামগ্রীর মূল্য নিয়ন্ত্রণ, মজুতদারি ও কালোবাজারি রোধ, সরকারি ত্রাণ ও টিসিবি’র পণ্য বিতরণে অনিয়মের ক্ষেত্রে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ, সামাজিক দূরত্ব বাস্তবায়ন, খোলা স্থানে বাজার স্থানান্তর, নিভৃতে সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিজস্ব উদ্যোগে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়া, কৃষি ও অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে বিভিন্ন স্থানে ধান কাটার শ্রমিক প্রেরণ, সাধারণ রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছে দেয়া ও চিকিৎসা পেতে সহায়তা করা, প্রিয়জন পরিত্যক্ত ও পথের পাশে পড়ে থাকা মৃতব্যক্তির পাশে যখন আর কেউ নেই তখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ও যথাযথ সম্মানের সাথে তাঁর সৎকার করা-এমন হাজারো সেবামূলক কাজ করছে বাংলাদেশ পুলিশের দেশপ্রেমিক সদস্যগণ। ইতোমধ্যেই পুলিশের এই বীর সদস্যগণ সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সাধারণ মানুষের কাছে অনুকরনীয় হয়ে উঠেছেন। পুলিশের এই ত্যাগে অনুপ্রাণিত হয়ে অনেকেই এগিয়ে আসছেন মানুষের সেবায়। পুলিশ তাদেরকেও সহায়তা করছে মানবিক কাজে।
এ সকল কাজ করতে গিয়ে পুলিশের সদস্যগণকে সাধারণ মানুষের সুরক্ষার জন্য জেনে শুনেই জীবনের ঝুঁকি নিতে হয়েছে এবং হচ্ছে। যেহেতু করোনা বিস্তার রোধে পুলিশকে প্রতিটি কাজেই মানুষের খুব কাছে যেতে হয়, মিশতে হয় মানুষের সাথে, তাই নিজের অজান্তেই করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন পুলিশের কোনো কোনো সদস্য।
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে এই পুলিশই যেমন রাজারবাগ পুলিশ লাইনে ছুঁড়েছিল একাত্তরের প্রথম প্রতিরোধী বুলেটটি, যেমন বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে অকাতরে জীবন দিয়েছিল পুলিশের হাজারো সদস্য, তেমনি দুর্যোগে ও দু:সময়ে সব সময়েই বাংলাদেশ পুলিশ রয়েছে সাধারণ মানুষের পাশে। মানবিকতার জ্যোৎ¯œা বিধৌত পথে পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাক সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ। নিরন্তর শুভ কামনা। লেখক: বার্তা সম্পাদক, দৈনিক পত্রদূত, সাতক্ষীরা

Check Also

আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের খালিয়া রাস্তার বেহাল দশা।। বিপত্তিতে শতাধিক পরিবার।।দ্রুত সংস্কার দাবি 

এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড খালিয়া গ্রামের সানাপাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবার একটি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।