ক্রাইমবার্তা রিপোট:সাতক্ষীরা : করোনা আতঙ্কে করোনা ঝুকিতে থমকে গেছে দেশ। সর্বত্র করোনা মোকাবিলা আর প্রতিরোধ প্রস্তুতি, পুরো রাষ্ট্র যন্ত্র করোনা প্রস্তুতিতে সক্রীয়। সাতক্ষীরার বাস্তবতায় সিভিল প্রশাসন, সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ বাহিনী দিনরাত কাজ করে চলেছে। করোনা প্রতিরোধ যুদ্ধের অন্যতম ব্যবস্থা সমীন্ত সিল, সাতক্ষীরার সীমান্তগুলো বর্তমান সময়ে পুরোপুরী সিল করা, আর সীমান্তের অতন্ত্রী প্রহরী বিজিবি সদা তৎপর করোনা মহামারী এবং সংক্রামনের অন্যতম কারন অবাধ যাতায়াত এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখা। আমাদের দেশের বহু মানুষ ভারতের বিভিন্ন এলাকায় কর্মরত। বিশেষ করে তামিল নাড়–, অন্ধ প্রদেশ, চেন্মাই, পশ্চিম বঙ্গ, বেঙ্গালোর সহ বিভিন্ন এলাকার পোশাক কারখানায় এবং অন্যান্য বৃহৎ শিল্পে কল কারখানায় বাংলাদেশী শ্রমিক কর্মরত। পশ্চিম বাংলার অনেক ইটভাটাতেও আমাদের দেশের শ্রমিকরা কর্মরত প্রতিবেশী এবং বন্ধু দেশ হওয়ার সুবাধে বৈধ এবং অবৈধ উভয়পন্থায় ভারতে আমাদের দেশের শ্রমিকরা কর্মরত। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটায় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ করোনা বিষয়টি বিবেচনা করে অন্যদিকে বাংলাদেশীরা নিজ নিজ বাড়ীতে ফেরার চেষ্টা করে। বৈধ ভাবে ভারতে অবস্থানকারী বাংলাদেশীরা ফিরতে থাকে এবং ফেরে। অন্যদিকে অবৈধ ভাবে বসবাসকারীরা বা ভিনদেশী কেউ যেন অবৈধ ভাবে সীমান্ত অনুপ্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়ে বিজিবি সদস্যরা তৎপর। রাতের আধারে বা বিভিন্ন পন্থায় আরও পূর্বে যদি কেউ অবৈধ ভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে তাহলে তাকে চৌদ্দ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন করার ব্যবস্থা করা হয়। ভোমরা ইমিগ্রেশন দিয়ে বৈধ পথে আগমন কারীদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। সাতক্ষীরার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকার খোজ খবর নিয়ে জানাগেছে সীমান্ত বিজিবি কঠোর নজরদারিতে। অবৈধ পারাপার অনুপ্রবেশ শুন্যের কোঠায়। সীমান্তের অতন্ত্র প্রহরী বিজিবি রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কোন ধরনের গাফিলতি করছে না। অন্য সময়ের অনুপ্রবেশ সীমান্ত আইন লঙ্ঘন বা অন্যান্য অপরাধে অপরাধি হিসেবে বিবেচনা করার বিষয় থাকলেও বর্তমান সময়ে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের চরম ঝুকিতে সাতক্ষীরা। এখনও পর্যন্ত সাতক্ষীরা মহামারী, প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস হতে মুক্ত, ভারতের অবস্থা আমাদের দেশের অপেক্ষা আরও গুরুত্বর আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা বাংলাদেশ অপেক্ষা এগিয়ে ভারত। বিধায় এই মুহুর্তে ভারত হতে বৈধ বা অবৈধ যে পথেই যে কেউ বাংলাদেশে প্রবেশ করলে তা হবে করোনা ভাইরাস এর ক্ষেত্র বিস্তৃত করার সুযোগ সৃষ্টি করবে। সাতক্ষীরার সীমান্ত গুলোতে বিজিবির দিনরাত টহল যেমন অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে বিজিবির দিনরাত টহল যেমন অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে অন্তরায় অনুরুপ ভাবে করোনা ভাইরাস যুদ্ধে জয়ের মাধ্যম ও প্রতিরোধ আর প্রস্তুতির সীমান্ত সংলগ্ন গ্রামগুলোর জনসাধারন সঙ্গত কারনেই অনগ্রসর এবং অসচেতন, তাদের কর্মতৎপরতা, জীবন জীবিকার মাধ্যম গ্রামীন, বিধায় তাদেরকে বিশেষ ভাবে সচেতন করার উপযুক্ত সময় এখনই। সাতক্ষীরার দীর্ঘ নৌ সীমান্তে চিত্র এমনই যে শত সহস্র গ্রামবাসি ইছামতি নদীতে বালু উত্তোলন, চিংড়ী ও গলদা রেনু সংগ্রহ, পারসে, ভাংগান, ভেটকি পোনা আরোহন সহ বিভিন্ন ধরনের জাল দিয়ে হরেক প্রজাতির মৎস্য আরোহন করে। পরিচ্ছন্নতা, পরিবেশ সচেতনতা, স্বাস্থ্য সম্মত জীবন যাপনে তারা খুববেশী অগ্রগামী নয়, বিধায় সীমান্ত এলাকার শ্রমজীবি, কর্মজীবি ও সীমান্ত পারের জন সাধারনকে স্বাস্থ্য বিধি সম্পর্কে, সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করন সহ জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে সচেতন মুলক কর্মসূচি গ্রহন করা যেতে পারে।
Check Also
যশোর বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় কলারোয়ার আ’লীগ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিনিধি :- সাতক্ষীরা: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার …