ছাত্রলীগ ধান কাটতে গেছে পর্যন্তও হয়ত ঠিক ছিলো। এপ্রিশিয়েট করার মত। আমি প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সে দেখেছি। সেখান তিনি ছাত্রদের বলছিলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেহেতু বন্ধ কৃষকদের সাহায্য করার জন্য।
ছাত্রলীগ উনার কথা শোনার পরেই গেছে। ইভেন তারা পুরোপুরি না পারলেও আমার মনে হয় না কারও পাকা ধানে অন্তত মই দিছে।
কিন্তু লাস্ট কয়েকদিন ধরে ধান কাটার এক ফাত্রামির শো অফ শুরু হইছে। এমপিরা ধান কাটতে চলে গেছেন। মহিলা সংসদ সদস্যরাও যাচ্ছেন। চ্যালারা আশেপাশের ক্ষেত পাড়ায়া ক্যামেরার এংগেল ঠিক করতেছে। ছবি তুলতেছে। লাইভে আসতেছে। যেমনেই হোক এইসব ছবি শেখ হাসিনারে দেখাইতে হবে। তা না হলে তাদের চাকরিতে তো প্রমোশন হবে না।
ধান কাটার এই ‘ঐতিহ্য’ কিন্ত নতুন নয়!
আর এইদিক দিয়া কৃষকের মাথায় হাত। টাংগাইলের এক নেতা ক্ষেতে যাইয়া পাকা ধান পায় নাই বইলা কাঁচা ধান গাছ কেটে ফেলছে। রাজবাড়ীতে একজন ধান কাটার পর ক্ষেতের অবস্থা আউলা ঝাউলা। সেই কৃষক আক্ষেপ করে বলছেন, আমরা গরিব মানুষ। এরা সকালবেলা সবাই মিলা আইসা আমাদের হাত থিকা কাঁচি কাইড়া নিয়া ছবি তুইলা সবকিছু নষ্ট করে রাইখা চইলা গেছে।
পুরা পৃথিবী একটা খাদ্য সংকটের সামনে দাঁড়িয়ে। এই কৃষকের ধান ক্ষেতই আমাদের সামনের মাসগুলোতে বাঁচিয়ে রাখবে। তাদেরকে লজিস্টিক সাপোর্ট দেন। পারলে নতুন মেশিন দেন। ট্রান্সপোর্টেশন দেন। দুইটা কাঁচি কিনা দেন। দয়া কইরা হাত লাগাইয়েন না। সব হাত দিয়া সবকিছু হয় না। কৃষকদের মাফ করেন…