ক্রাইমর্বাতা রিপোট ; প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পুলিশের আরও দুই সদস্য শহীদ হয়েছেন। তারা দুজনই ডিএমপিতে কর্মরত ছিলেন। তাদের একজন এএসআই আব্দুল খালেক। তিনি মিরপুর পিওএম’তে কর্মরত ছিলেন। সেখানে মসজিদে ইমামের দায়িত্বে ছিলেন। আজ ভোরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে।
আরেকজন ট্রাফিক কনস্টেবল আশেক মাহমুদ। দুই পুলিশ সদস্যের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপি’র উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান।
এএসআই আব্দুল খালেক (৩৬) বরগুনার বেতাগী উপজেলার ঝোপখালী গ্রামের আজিম উদ্দিন মৃধার ছেলে। তার পরিবারে স্ত্রী, এক ছেলে এবং এক মেয়ে রয়েছে।
খালেকের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় বেলা ১১ টায় জানাজা শেষে বেতাগীর উদ্দেশে তার লাশ নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে নিজ বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী দাফন করা হবে বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে ট্রাফিক কনস্টেবল আশেক মাহমুদ (৪২) ট্রাফিক উত্তরের এয়ারপোর্ট এলাকায় কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায়। গত বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজারবাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর তাকে সিদ্ধেশ্বরী স্কুল অ্যান্ড কলেজের পুলিশ তত্ত্বাবধানের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টারে রাখা হয়। গত ২৬শে এপ্রিল করোনার স্যাম্পল পরীক্ষা করা হয়। পরদিন অর্থাৎ ২৭শে এপ্রিল তার করোনা পজিটিভ আসে। বুধবার তার অবস্থার অবনতি হলে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এর আগে গতকাল করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান জসিম উদ্দিন নামে ডিএমপির আরেক কনস্টেবল। পুলিশ সদস্যদের মধ্যে করোনা ভাইরাসে তারই প্রথম মৃত্যু ঘটে।