মান নিয়ে প্রশ্ন তোলায় খুলনা মেডিকেলে শাস্তি

ক্রাইমবার্তা ডেস্ক রিপোটঃ   খুলনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে গত ৩০ মার্চ বিভিন্ন সামগ্রী সরবরাহ করেছিল কেন্দ্রীয় ঔষধাগার (সিএমএসডি)। সেখানে এক্সামিনেশন গ্লাভস মিডিয়াম ৫০০ পিস ও লার্জ ৫০০ পিস, হেক্সিসল ২৫০ এমএল ২০০ পিস, ফেস মাস্ক দুই হাজার পিস, শু কাভার এক হাজার পিস, প্রটেকটিভ কভারঅল (পিপিই) দুই হাজার পিস, আই প্রটেক্টর সেফটি গগলস গ্লাস এক হাজার পিস এবং এন-৯৫ মাস্ক (জেএমআই) ২০০ পিস সরবরাহ করা হয়। সিএমএসডির সরবরাহ করা পণ্যের তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তালিকায় চার নম্বরে দুই হাজার পিস ফেস মাস্ক সরবরাহ করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সরবরাহের ছক করা ঘরে লাল কালি দিয়ে তা মার্ক করা হয়েছে। মন্তব্যের ঘরে লাল কালি দিয়ে লেখা আছে P-81। ৮ নম্বরে গিয়ে হাতে লেখা আছে, এন-৯৫ মাস্ক (জেএমআই)। সরবরাহের পরিমাণের ঘরে লেখা ২০০ পিস এবং লাল কালি দিয়ে মন্তব্যের ঘরে P-153 নম্বর লেখা রয়েছে।

সরবরাহের ওই আদেশে সিএমএসডির গ্রহণ শাখার ইনচার্জ এবং স্টোর অফিসারের স্বাক্ষর রয়েছে। কিন্তু সেখানে ডি/ও স্টোর, এডি (এসঅ্যান্ডডি) এবং ডিডির (সিএমএসডি) জন্য বরাদ্দকৃত স্বাক্ষরের ঘর ফাঁকা রয়েছে। ক্ষমতাপ্রাপ্ত গ্রহণকারী ব্যক্তি হিসেবে খুলনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ক্যাশ অফিসার কাওছার আলী সরকারের স্বাক্ষর ও ফোন নম্বর রয়েছে। এর বাইরে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. অঞ্জন কুমার চক্রবর্তীর সিল ও স্বাক্ষর রয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংশ্নিষ্ট হাসপাতালের দুই চিকিৎসক-কর্মকর্তা  জানান, সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এন-৯৫ মাস্ক উৎপাদন করে না। এটি সিএমএসডি কর্তৃপক্ষের অজানা নয়। সিএমএসডি কার্যাদেশ না দিলেও কেন তারা হাসপাতালে সরবরাহকৃত পণ্যসামগ্রীর তালিকায় এন-৯৫ মাস্কের কথা উল্লেখ করল? এর পেছনে নিশ্চয়ই কোনো কারণ আছে।

সিএমএসডির সরবরাহ করা এই এন-৯৫ মাস্ক ও পিপিইর মান নিয়ে প্রশ্ন তোলায় খুলনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. এটিএম মঞ্জুর মোর্শেদকে সরিয়ে দেওয়া হয়। প্রথমে তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে বদলি করা হয়। ডা. মঞ্জুর মোর্শেদ সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রয়াত সালাহউদ্দিন ইউসুফের ভাগ্নে হওয়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা তার বদলির আদেশ প্রত্যাহারের জন্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করেন। পরে তাকে পাবনা মানসিক হাসপাতালে বদলি করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে কাজ করছেন।

হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসক-কর্মকর্তা জানান, সরবরাহ করা পণ্য মান সম্পন্ন না হওয়ায় ডা. মঞ্জুর মোর্শেদ তা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান। কারণ এন-৯৫ মাস্কের মোড়কে সাধারণ মাস্ক সরবরাহ করা হয়েছিল। আর পিপিইর নামে রেইন কোট টাইপের এক ধরনের পোশাক দেওয়া হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী পিপিই হতে হবে তরল ও জীবাণু প্রতিরোধী। কিন্তু ওই পিপিইর ভেতরে তরল প্রতিরোধী আবরণ ছিল না। আর তরল প্রতিরোধী না হলে তা জীবাণু প্রতিরোধীও হবে না। এ কারণে পরিচালক তা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান। গণমাধ্যমেও এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এরপরই তাকে বদলি করা হয়।

জানতে চাইলে ডা. এটিএম মঞ্জুর মোর্শেদ এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। শুধু এটুকু বলেন যে, তিনি সরকারি চাকরি করেন। সুতরাং সরকার যেখানে তাকে পদায়ন করবেন, সেখানেই কাজ করতে হবে।

একইদিন রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এন-৯৫ মাস্কের বাক্সে সাধারণ মাস্ক সরবরাহ করা হয়েছিল। গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিষয়টি আলোচনায় আসে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা বলেন, জেএমআই কোম্পানির সরবরাহ করা পণ্যের বিষয়ে সিএমএসডি কর্তৃপক্ষ অবহিত। ভুল করে এন-৯৫ মাস্কের বাক্সে সাধারণ মাস্ক যেতে পারে না। এন-৯৫ মাস্ক কেবল যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি হয়। বাংলাদেশে এটি কেউ তৈরি করছে না। তাহলে জেএমআই এন-৯৫ মাস্কের নাম লিখে বাক্স তৈরি করল কেন? তারা তো এন-৯৫ মাস্ক তৈরিই করে না। আবার সিএমএসডি এন-৯৫ মাস্কের কার্যাদেশ না দিলে সেটি গ্রহণই বা করল কেন? এসবের সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা।

এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট উচ্চপর্যায়ে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে  জানিয়েছেন ওই কমিটির প্রধান অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) সাইদুর রহমান। তবে প্রতিবেদনে কী আছে তা বলতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন।

খুলনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহের বিষয়টি তাদের প্রতিবেদনে আছে কিনা- এমন প্রশ্নে সাইদুর রহমান বলেন, একটি সুনির্দিষ্ট হাসপাতালে এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহের বিষয়ে তদন্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাদের। তারা সেটি করেছেন। এর বাইরে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে তারা অবহিত নন।

মুগদার পরিচালক ওএসডি, কয়েকজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ : একটি সূত্র জানিয়েছে, এন-৯৫ মাস্ক কেলেঙ্কারির ঘটনা যথাযথভাবে সামাল দিতে না পেরে মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাদেকুল ইসলামকেও সম্প্রতি ওএসডি করা হয়েছে। এ বিষয়ে ডা. সাদেকুল ইসলাম কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তিনি সমকালকে বলেন, কী কারণে তাকে ওএসডি করা হয়েছে, তা কর্তৃপক্ষই বলতে পারবে। তার চাকরির মেয়াদ আছে মাত্র সাত মাস। এ অবস্থায় ওএসডির ঘটনায় ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন। এ ছাড়া নোয়াখালী সদর হাসপাতালের এক চিকিৎসককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। পিপিই ও মাস্কের মান নিয়ে যারাই প্রশ্ন তুলছেন, তাদের বদলি অথবা কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হচ্ছে।

সম্প্রতি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানহীন পিপিই ও মাস্কের বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। সংশ্নিষ্টদের নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এন-৯৫ লেখা বক্সের ছবি আমি মন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছি। বক্সের ভেতরে যে জিনিসটা (মাস্ক) সেটা সঠিক থাকে কিনা এটা একটু আপনাদের দেখা দরকার।

চলমান করোনা পরিস্থিতিতে পিপিই, মাস্কের পাশাপাশি সিএমএসডির মাধ্যমে সরকার সুরক্ষাসামগ্রী ক্রয় করছে। এই ক্রয় প্রক্রিয়া নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সিএমএসডি পরিচালক ছাড়া অন্যরা কিছুই জানতে পারছেন না। কোন সামগ্রীর মূল্য কত তা জানা যাচ্ছে না। একাধিক সূত্র সমকালকে নিশ্চিত করেছে, বেশিরভাগ সামগ্রী মৌখিক আদেশে সরবরাহ করা হচ্ছে। লিখিতভাবে যেসব কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে, সেগুলোরও মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়নি।

সিএমএসডির বক্তব্য : মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এন-৯৫ মাস্ক নিয়ে কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসার পর বেকায়দায় পড়ে সিএমএসডি কর্তৃপক্ষ ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান জেএমআই গ্রুপ। গত ১৭ এপ্রিল সিএমএসডি এ নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সিএমএসডি বর্তমান কভিড-১৯ বৈশ্বিক দুর্যোগকালে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারি ক্রয় আইন অনুযায়ী পুরো প্রক্রিয়া অনুসরণ করছে। অথচ বিভ্রান্তিমূলকভাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ছেলে, স্বাস্থ্যসেবা সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে জড়িয়ে মানহানিকর সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে। সিএমএসডি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চায়, এই ক্রয় প্রক্রিয়ায় উপরোক্ত ব্যক্তিবর্গের কোনো সংশ্নেষ নেই এবং তাদের আর্থিক বা অন্যান্যভাবে লাভবান হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’

সংস্থাটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহিদ উল্লাহ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সিএমএসডি কোনো দেশীয় চিকিৎসা সামগ্রী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানকে এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহের জন্য কার্যাদেশ দেয়নি। দেশে চিকিৎসা সামগ্রী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান জেএমআই করোনা সংক্রমণের আগে থেকেই সিএমএসডিতে হ্যান্ড গ্লাভস, স্যানিটাইজার, সাধারণ মাস্ক সরবরাহ করে আসছে। জেএমআই যে মোড়কে সাধারণ মাস্ক সরবরাহ করেছিল সেগুলোতে এন-৯৫ লেখা ছিল। সিএমএসডি ভুলে সাধারণ মাস্ক হিসেবেই পণ্যগুলো সরবরাহ করে। বিষয়টি নজরে আসার পর সেগুলো জেএমআইকে ফেরত দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে লিখিত জবাব চাওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটি যে ব্যাখ্যা দেয়, তা সিএমএসডির পরিচালক গণমাধ্যমে সরাসরি তুলে ধরেছেন। বিষয়টি সেখানেই শেষ হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু পরে এ নিয়ে ফের স্বাস্থ্য খাতের ঊর্ধ্বতনদের জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশ ‘রটনার’ অংশ বলে মনে করে সংস্থাটি। ২১ এপ্রিল আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতেও সিএমএসডি তাদের সরবরাহকৃত চিকিৎসা সামগ্রীর উৎস সম্পর্কে সঠিক তথ্য সংগ্রহ না করে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বানোয়াট, কাল্পনিক ও ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশনে অভিযোগ করে।

জেএমআই যা বলছে : এদিকে এন-৯৫ মাস্ক বিতর্কের মুখে জেএমআই গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এক ভিডিও বার্তায় বক্তব্য দেন। এন-৯৫-এর মোড়কে সাধারণ মাস্ক সরবরাহের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গবেষণার মাধ্যমে উন্নয়নের পর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানের পণ্য এ দেশে উৎপাদন করে জেএমআই। এরই ধারাবাহিকতায় এন-৯৫ মানের মাস্ক তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করে জেএমআই। করোনাভাইরাসের কারণে বৈশ্বিক অচলাবস্থা তৈরি না হলে এতদিনে চূড়ান্ত পর্যায়ে থাকত এই উদ্যোগ।’

আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘যে কোনো নতুন পণ্য গবেষণা ও উন্নয়ন (আরঅ্যান্ডডি) পর্যায়ে থাকা অবস্থায় কার্টন, প্যাকেট, লিফলেট ইত্যাদি তৈরির মতো সাপ্লাই চেইনের কাজ আগাম করে রাখি আমরা। পণ্য উৎপাদনের পর বাজারজাতের সনদ ও অনুমতি পাওয়ার পরপরই সরবরাহ করার সুবিধার্থে এসব ব্যবস্থা রাখা হয়।’

জেএমআই গ্রুপের এমডি বলেন, ‘আমাদের এন-৯৫ মাস্ক উৎপাদন আরঅ্যান্ডডি পর্যায়ে থাকলেও এক দশকেরও বেশি সময় ধরে আমরা সার্জিক্যাল বা অন্যান্য সাধারণ মাস্ক প্রস্তুত করে আসছি। এরই অংশ হিসেবে সিএমএসডির মোট ৫০ লাখ পিস চাহিদার বিপরীতে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে প্রতিদিন সার্জিক্যাল মাস্ক সরবরাহ করছি, যা এখনও চলমান। করোনাভাইরাসের কারণে আমাদের প্রতিষ্ঠানের গুদামের নিয়মিত দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে অফিসে যোগ দেননি। উল্টোদিকে মাস্ক সরবরাহে সিএমএসডির চাহিদা বৃদ্ধি পায়। এ অবস্থায় সাধারণ কর্মচারীরা গুদাম থেকে মাস্ক সরবরাহ করতে থাকে। তারাই আরঅ্যান্ডডির জন্য প্রস্তুত রাখা এন-৯৫ মাস্কের মোড়কে ২০ হাজার ৬০০ পিস সাধারণ মাস্ক সরবরাহ করে। এমনকি যে বিল দাখিল করেছি, তাতেও এন-৯৫ মাস্কের কথা উল্লেখ নেই। অর্থাৎ আমরা এন-৯৫ মাস্কের ক্রয়াদেশ যেমন পাইনি, তেমনি এন-৯৫ হিসেবে কোনো মাস্ক সিএমএসডির কাছে বিক্রিও করিনি। মুগদা হাসপাতালের অভিযোগের ভিত্তিতে সিএমএসডি থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার পর আমরা বিষয়টি টের পাই। তাৎক্ষণিকভাবে ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে এন-৯৫ মোড়কে থাকা প্রায় সব মাস্ক ফেরত নিয়েছি। জেএমআই এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের দুর্নীতির আশ্রয় নেয়নি, যা হয়েছে তা কিছু কর্মীর ভুলেই হয়েছে। এ জন্য যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।সমকাল

Check Also

যশোর বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় কলারোয়ার আ’লীগ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিনিধি :- সাতক্ষীরা: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।