ক্রাইমর্বাতা রিপোট: ১মে :সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরা জেলায় প্রথম এক ব্যক্তির (৩৫) করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।তিনি বেসরকারি সংস্থা খশিল্পীতে প্রোডাকশন ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সাতক্ষীরার বিনেরপোতা গপিনাথপুরে অবস্থিতিত খ্রিষ্টান সংস্থা র্কৃতৃক পরিচালিত ঋশিল্পীতে বহু লোক বিদেশ থেকে আসা যাওয়া করতো বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। এঘটনায় সাতক্ষীরা পুলিশের পক্ষ থেকে আজ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সমূহ লকডাউন করা হয়েছে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে-
সাতক্ষীরা জেলার প্রথম COVID-19 Positive ( সাতক্ষীরা জেলা হতে নমুনা প্রেরণ বিবেচনায়) সঞ্জয় সরকার, ঋশিল্পী ইন্টারন্যাশনাল, গোপীনাথপুর, বিনেরপোতা, সাতক্ষীরায় প্রোডাকশন ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন । চাকরির সুবাদে এবং অন্যান্য ভাবে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি তার সংস্পর্শে আসেন বলে অনুসন্ধানে জানা যায়। এমতাবস্থায়, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ কল্পে এবং এলাকাবাসীর সর্বোত্তম স্বার্থে ঋশিল্পী ইন্টারন্যাশনাল প্রতিষ্ঠানটি এবং আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের বাসা অদ্য ইং ০১-০৫-২০২০ তারিখ লকডাউন করা হয়েছে। লকডাউন করার সময় আক্রান্ত ব্যক্তি সম্ভাব্য যাদের দ্বারা সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন, সে বিষয়টিও বিবেচনায় করে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ। এভাবে, গোপীনাথপুর, রাজনগর ও উত্তর কাঠিয়ার মোট সাতটি বাসা এবং প্রতিষ্ঠান লকডাউন করা হয়। এলাকাবাসী কে আতঙ্কিত না হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, নিজ বাসায় অবস্থান করা এবং সাতক্ষীরা জেলা পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্য আহ্বান জানানো হচেছ।
এর আগে ১ র্মাচ র্পযন্ত সাতক্ষীরা থেকে করোনা টেস্টের জন্য এ পর্যন্ত — জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে বলে জানানো হয়। — জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। ১ জনের রিপোর্ট পজেটিভ। বাকি জন সবাই করোনা নেগেটিভ।
এর আগে ৩০ এপ্রিল সন্ধা ৭টা র্পযন্ত সাতক্ষীরা থেকে করোনা টেস্টের জন্য এ পর্যন্ত ৩৪৫ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে বলে জানানো হয়। ১৮৯ জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। আশার কথা হলো সবাই করোনা নেগেটিভ। তবে রাত ৮টা দিকে এক জনের রিপোর্ট পজেটিভ বলে জেলা সিভিল র্সাজন অফিস জানায়।
———————–0——————–
ক্রাইমর্বাতা রিপোট: ৩০ এপ্রিল সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা জেলায় প্রথম এক ব্যক্তির (৩৫) করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।তিনি বেসরকারি সংস্থা খশিল্পীতে চাকরি করেন। সাতক্ষীরার বিনেরপোতা গপিনাথপুরে অবস্থিতিত খ্রিষ্টান সংস্থা র্কৃতৃক পরিচালিত ঋশিল্পীতে বহু লোক বিদেশ থেকে আসা যাওয়া করতো বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে মোবাইল ফোনে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এ তথ্য সাতক্ষীরার সিভিল সার্জনকে জানানো হয়। শনাক্ত হওয়া রোগীর বাড়ি তালা উপজেলায়।
তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রাজীব সরদার জানান, তালা উপজেলার নগরঘাটা ইউনিয়নের এক ব্যক্তি জ্বর, সর্দি ও কাশিতে কয়েক দিন ধরে ভুগছেন, এমন খবর জানতে পেরে গত মঙ্গলবার করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার জন্য তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন হুসাইন সাফায়াতকে পিসিআর ল্যাব থেকে মোবাইল ফোনে খুলনা থেকে জানানো হয় ওই রোগীর পরীক্ষায় পজিটিভ এসেছে। ওই রোগী বর্তমানে বাড়িতে আছেন। ওই রোগীর বাড়িসহ আশপাশের ১০টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
এরআগে গত ২৫ এপ্রিল যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোল স্থল বন্দরে কর্মরত একজন স্বাস্থ্য কর্মীর নমুনা সংগ্রহ করে যশোর স্বাস্থ্য বিভাগ। পরদিন ২৬ এপ্রিল তার পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়া যায়। রিপোর্ট পাওয়ার পূর্বেই তিনি কর্মস্থল ত্যাগ করে সাতক্ষীরায় চলে আসেন। ফলে তার করোনা আক্রান্তের হিসাবটি প্রথম পর্যায়ে যশোর জেলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যেকারণ সাতক্ষীরা জেলা করোনামুক্ত জেলা হিসেবে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত চিহ্ণিত ছিল। তবে আইইডিসিআরের ৩০ এপ্রিল এর তালিকায় সাতক্ষীরা জেলায় একজন করোনা আক্রান্ত হিসেবে দেখানো হয়
তালা উপজেলা প: পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রাজিব সরকার বলেন, অফিসিয়ালি প্রথম সাতক্ষীরায় কোনো করোনা রোগীর সন্ধান পেয়েছি আমরা।
তিনি আরও বলেন, তালা উপজেলার নগরঘাটা ইউনিয়নের কাপাসডাঙ্গা গ্রামে তার বাড়ি। ইতোমধ্যে পাটকেলঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ এর নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনা স্থলে পৌঁছে বাড়িটি লকডাউন ঘোষণা করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন সাফাওয়াত বলেন, খুলনা মেডিকেল কলেজ কতৃপক্ষ প্রথম একজন করোনা শনাক্ত ব্যক্তির সন্ধান দিয়েছে।
এর আগে ৩০ এপ্রিল সন্ধা ৭টা র্পযন্ত সাতক্ষীরা থেকে করোনা টেস্টের জন্য এ পর্যন্ত ৩৪৫ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে বলে জানানো হয়। ১৮৯ জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। আশার কথা হলো সবাই করোনা নেগেটিভ। কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসায় ৩টি এ্যাম্বুলেন্স সার্বক্ষণিক প্রস্তুত আছে, ৮টি ভেন্টিলেশন সম্পূর্ণ প্রস্তুত করা হয়েছে, ২০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং ২০টি নেবুলাইজার প্রস্তুত রয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে করোনা হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। যেখানে ১০০টি বিছানা প্রস্তুত রয়েছে। এ পর্যন্ত সারা বিশ্বের নানা দেশ থেকে প্রায় ১৫ হাজার ৭৮ মানুষ সাতক্ষীরায় এসেছিলেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যেকের বাড়িতে লাল পতাকা এবং স্থানীয় কমিটির মাধ্যমে ১৫হাজার ৭৮ লোকের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছিল। জেলা পুলিশ এবং স্বাস্থ্য বিভাগও হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কাজ করেছিল। এদিকে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি সম্পর্কে জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, জেলায় হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন ২৬,৩০৩ জন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৩,৮৬৩ জন। আইসোলেশনে আছেন ৫জন। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৯,৪৫৫ জন।