ক্রাইমর্বাতা রিপোর্ট, সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়নেের নৈহাটি গ্রামের মৃত ছাকাত আলীর ছেলে কেরামত আলী কেনার দুর্ধর্ষ তাণ্ডবে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। সে লোকের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে না দেওয়া, বিভিন্ন দোকানে ফাও খাওয়া, চাঁদাবাজি করা, মারপিট করা, লোকের জমি দখল করাসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত’র অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি মারামারির ঘটনায় শুক্রবার রাতে তার নামে মামলা হয়েছে। মামলা নম্বর ২২।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে কালিগঞ্জ থানার ওসি মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে পুলিশ তদন্ত করেছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গত রবিবার বিকালে নিজ গ্রামের দলিল লেখক মোঃ আকবর হোসেনের উপর অতর্কিত হামলা করে। এতে সে পায়ে মারাত্মক জখম হয়। পরে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সে বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত। এ ঘটনায় কালিগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে।
আহত মোঃ আকবর হোসেন বলেন, আমার পরিবারের বাজার শেষে বাড়ি ফেরার পথে কোন কারণ ছাড়াই হঠাৎ অতর্কিতভাবে সে আমার উপর হামলা করে। সেখানে সে ওৎপেতে বসেছিল। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
এঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত কেরামত আলী বলেন, আমি এবার ইউনিয়নের মেম্বার নির্বাচনে অংশ নেব বলে ঠিক করেছি। কিন্তু সে আমার মা ও বউ অন্যের বাড়িতে কাজ করে এমন ধরনের অপপ্রচার করছে।
এদিকে, গ্রামের সম্মানিত নাগরিক মোঃ হযরত আলী কেরামতের মা ও বউয়ের অন্যের বাড়িতে কাজ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে তার মা ও বউয়ের অন্যের বাড়িতে কাজ করার বিষয়টি আকবর হোসেন কাউকে বলেননি বলে দাবি করেন।
উল্লেখ্য, সে ২০১২ সালে ফতেপুর ঘর জ্বালানো মামলায় জেল খাটে। পরে জামিনে মুক্ত হয়ে ওমানে চলে যায়। সেখান থেকে ফিরে এসে আবারো ওয়ারেন্টে জেলে যায়। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে সে ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের নব্য যুবলীগ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এরপর থেকেই সে দলীয় নাম ভাঙিয়ে এসকল অপকর্ম করছে বলে বিভিন্ন সূত্র জানায়।