পোস্টে জানানো হয়, শনিবার (০২ মে) বিকেলের দিকে শিশু আবিরকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। সব উদ্বেগ আর শঙ্কার অবসান ঘটিয়ে শিশু আবির ও তার মা ফিরে যান স্বপরিবারে। রবিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক জামাল মোস্তফা।
তিনি বলেন, মাত্র ১০ মাসের শিশু, সেই কিনা করোনায় আক্রান্ত! তার চিকিৎসা কিভাবে হবে তা নিয়ে চিন্তায় পরে গিয়েছিলাম সবাই। তবে আলহামদুলিল্লাহ, গতকাল তার দ্বিতীয় নমুনা পরিক্ষাটিও নেগেটিভ আসায় আবিরকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২০ এপ্রিল চট্টগ্রামের বিআইটিআইডি ল্যাবে ১০ মাস বয়সী চন্দনাইশের শিশু আবিরের করোনা পজেটিভ আসে। যা সবাইকে হতবাক করেছিলো।
এরপর তার পরিবারের বাকি সদস্যদেরও নমুনা পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু তাঁরা সবাই করোনা নেগেটিভ। এমন কি চন্দনাইশে তাঁদের গ্রামেও কোনো করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়নি।
তিনি বলেন, তার পরিবারের কোন বিদেশ ফেরতের ইতিহাস নেই অথচ মাঝখান থেকে ১০ মাসের একটা শিশু করোনায় আক্রান্ত! তাহলে কিভাবে আক্রান্ত হলো শিশু আবির। এটাই বড় রহস্য। তবে ধারনা করছি, এর আগে তাঁকে যখন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিউমোনিয়ার চিকিৎসার জন্য আনা হয়েছিলো তখন হয়তো কোনো ভাবে সংক্রমিত হয়েছে।
তিনি বলেন, শিশু আবির যখন করোনায় আক্রান্ত তখন মা রুমা আক্তারকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল শুধু দুধ পান করিয়ে যেন নিজে নিরাপদে থাকে। কিন্তু করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ভয় থাকা সত্বেও মা রুমা একবারের জন্যও শিশু আবিরের কাছ থেকে সরে জাননি। বরং করোনা আক্রান্ত শিশুকে নিয়ে ছিলেন জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডেই। পুরো ১২দিন আবিরের সঙ্গে থাকলেও মা রুমার নমুনা করোনা নেগেটিভ আসে। মমতাময়ী মা বলেই হয়তো এমনটা সম্ভব হয়েছে।