১৬ বছরেরও শেষ হয়নি তালা উপজেলা চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন হত্যা মামলার বিচার

ক্রাইমর্বাতা রিপোর্ট:সাতক্ষীরা:   আজ সেই ভয়াল ৪ঠা মে। ২০০৪ সালে ৪ঠা মে রোজ মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৮ টা ৪৫ মিনিটে পাটকেলঘাটা বাজারের পাঁচ রাস্তার মোড়ে দূর্বৃত্তদের ছোড়া বোমার আঘাতে শহীদ হন তালা উপজেলার সিংহ পুরুষ  রাজনৈতিক অবিভাবক ,তালা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান,
গণমানুষের নেতা তালা উপজেলা বিএনপির প্রায়ত সভাপতি শহীদ এ বি এম আলতাফ হোসেন। এর আগে তিনি  সরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের   চেয়ারম্যান ছিলেন।  শহীদ এ বি এম আলতাফ হোসেনর আজ ১৬ তম মৃত্যু বার্ষিকী।
১৬তম মৃত্যু বার্ষিকীতে  তালা উপজেলা বিএনপি ও সকল অঙ্গসংগঠনের পক্ষথেকে মরহুমের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।

দলটির নেতার্কমীরা   মরহুমের অআত্নার মাগফিরাত কামনা করেছেন।

তালায় চাঞ্চল্যকর জনপ্রিয় উপজেলা চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহন শুরু

হত্যার ১৬ বছর পর শুরু হলো তালা উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক জনপ্রিয় উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম আলতাফ হোসেন হত্যা মামলায় সাক্ষ্য গ্রহন। ২০০৪ সালের ৪ মে বানিজ্যিক শহর পাটকেলঘাটায় বিএনপি অফিসের সামনে বোমা হামলায় হত্যা করা হয় তাকে। সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ওদায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতে মামলার বাদী শেখ আব্দুর রহমানের কাছ থেকে সাক্ষ্য গ্রহন করা শেষ।

মামলার আসামীরা হলেন, জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব, কৃষক দলের তালা উপজেলা শাখার সভাপতি গোলাম মোস্তফা, তালা উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠণিক সম্পাদক প্রয়াত বদরুজ্জামান মোড়ল, উপজেলা যুবদল সভাপতি হাফিজুর রহমান, বিএনপি নেতা রাশিদুল হক রাজু, যুবদল নেতা আশরাফুল হক, বিএনপি কর্মী শহীদুল ইসলাম, তালা উপজেলার দোহার গ্রামের দাদা তুষার ওরফে তুষার পাল, মাদরা গ্রামের প্রকাশ সরকার, তেঁতুলিয়া গ্রামের দেবেন বিশ্বাস, গাছা গ্রামের শিবপদ সরকার, টিকেরামপুরের আহম্মদ আলী ওরফে নূর আহম্মদ, কাশীপুর গ্রামের ছাত্রদল নেতা মন্টু ইসলাম, আলম হোসেন ও ওয়ার্কার্স পার্টির বহিস্কৃত নেতা প্রনব ঘোষ বাবলু।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৪ সালের ৪ মে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তালা উপজেলার বাণিজ্যিক শহর পাটকেলঘাটায় অফিসের সামনে তৎকালিন উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি এবিএম আলতাফ হোসেনকে বোমা মেরে হত্যা করা হয়। এ সময় তার সঙ্গে মারা যান পথচারি কাঠ মিস্ত্রী হাবিবুর রহমান মোড়ল। এ
ঘটনায় পুলিশ রক্তমাখা জামা কাপড় পরিহিত অবস্থায় মাদরা গ্রামের প্রকাশ সরকারকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার করা হয় পারকুমিরা গ্রামের দেবেন বিশ্বাসকে তার সেলুন থেকে। এ সময় তার সেলুনের মধ্যে রাখা বালতি থেকে কয়েকটি তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বিএনপি কর্মী সেনপুর গ্রামের আব্দুর রহমান বাদি হয়ে দেবেন বিশ্বাস ও প্রকাশ সরকারের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে তালা থানায় একটি হত্যা মামলা (৩নং) দায়ের করেন। তালা থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ মশিউর রহমান পিপিএম এর নির্দেশে উপপরিদর্শক মনির হোসেন মামলার তদন্ত শুরু করেন। পরবর্তীতে এ মামলার তদন্তভার সিআইডিতে ন্যস্ত হয়। সাতক্ষীরা সিআইডি’র পরিদর্শক দুর্গাপদ ঘোষ, পরিদর্শক শামীম মুছা, সহকারি পুলিশ সুপার বেলাল হোসেন, পরিদর্শক হরিপদ সরকার, পরিদর্শক আবু মোস্তফা কামাল পর্যায়ক্রমে তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ১১ জানুয়ারি আদালতে পৃথক দু’টি অভিযোগপত্র দাখিল করেন। হত্যার অভিযোগে দায়েরকৃত অভিযোগে জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ প্রথমাক্ত ১৪জনকে আসামী করা হয়। বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়েরকৃত অভিযোগপত্রে ওয়ার্কার্স পার্টির বহিস্কৃত নেতা প্রনব ঘোষ বাবলুকে অতিরিক্ত আসামী করা হয়। গ্রেফতারের কিছুদিন পর দেবেন বিশ্বাস ও প্রকাশ সরকারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকা জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে নিয়ে যাওয়ার পথে বিশেষ তদবিরে আরিচা ফেরিঘাট থেকে সাতক্ষীরায় ফিরিয়ে আনা হয়। মামলার বাদিকে বার বার জীবননাশের চেষ্টা করায় নিহতের স্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রেহেনা খানম তার ভারসার বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলন করে সম্ভাব্য আসামীদের নাম প্রকাশ করেন। ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তালা উপজেলার বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক বদরুজ্জামান মোড়ল নিজেকে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা উলে¬খ করে সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব, ওয়ার্কার্সপার্টির বহিস্কৃত নেতা প্রনব ঘোষ বাবলুসহ অন্যান্য নেতা কর্মীদের নাম বিচারকের কাছে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন। এরপর থেকে আসামী
পক্ষ মামলাটির কার্যক্রম হাইকোর্টে স্থগিত  রয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, সাতক্ষীরা জজকোর্টের পিপি এড. ওসমান গণি এবং সহযোগিতায় ছিলেন, অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট ফাহিমুল হক কিসলু, অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট তপন কুমার দাস ও অতিরিক্ত পিপি সৈয়দ জিয়াউর রহমান বাচ্চু। মামলা পরিচালনাকারী জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট ওসমান গণি বলেন, দীর্ঘদিন পর মামলার সাক্ষ্য গ্রহন অনুষ্ঠিত হওয়ায় অনেকটা ভালো লাগছে। মামলা বাদী তার সাক্ষ্য সুনিপুনভাবে উপস্থাপন করেছেন।

Check Also

আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের খালিয়া রাস্তার বেহাল দশা।। বিপত্তিতে শতাধিক পরিবার।।দ্রুত সংস্কার দাবি 

এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড খালিয়া গ্রামের সানাপাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবার একটি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।