ক্রাইমর্বাতা ডেস্করিপোট: অধ্যাপক ডা. ফখরুল ইসলাম একটি অবিসরণীয় নাম। একটি স্বপ্ন। চিকিৎসা জগতের পথিকৃত। মানব সেবায় যান নাম চিরসরণীয়। বর্তমান করোনা পিরস্থিতে তার সেবা ও পরামর্শ অতুলীয়। তিনি সাতক্ষীরার র্গব। তিনি সাতক্ষীরা সদরের আখড়াখোলা গ্রামে ১২ জুলাই ১৯৫৫ সালে জন্মগ্রহন করেন। পিতা মো. ইয়াকুব আলী। ছাত্র জীবন থেকেই তিনি ছিলেন মেধাবী। তিনি ১৯৭০ সালে নলতা হাই স্কুল থেকে এসএসসি এবং ১৯৭৩ সালে বি এল কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে এইসএসসি পাশ করেন।
এরপর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এমবিবিএস ডিগ্রী অর্জন করেন। মেডিকেল ক্যাম্পাসে তিনি ছিলেন সদাহাস্য এবং আলোচিত এক মুখ।
১৯৮০ সালে ইন্টার্নী শেষে সরকারি চাকরীতে যোগদান করেন। ১৯৮১ সালে পিএসসির মেধা তালিকায় সরকারি চাকরীতে সিলেকশন পান।
১৯৮২ সালে সোভিয়েত সরকারের বৃত্তি নিয়ে সোভিয়েত রাশিয়ায় গমন করেন। ইউরোলজী ও সার্জারী বিষয়ে এমএস ও পিএইচ ডিগ্রী লাভ করেন এবং ১৯৮৮ সালে দেশে ফিরে আসেন। তিনি ইন্ডিয়া ও থাইল্যান্ড হতে মূত্রনালী সংক্রামক ও কিডনী রোগের উপর উচ্চতর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।
১৯৮৯ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (পিজি হাসপাতাল), ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সহকারি অধ্যাপক হিসেবে চাবুরীরত ছিলেন।
চিকিৎসা শাস্ত্রে উচ্চতর ডিগ্রী লাভের পর অধ্যাপনা ও চিকিৎসা পেশায় আত্মনিয়োগ করেন।
বর্তমানে অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, ইউরোলজী বিভাগ, বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ধানমন্ডিতে কর্মরত। তিনি প্রতিষ্ঠাতা ইউরোলজী ফাউন্ডেশন, বারাকাহ কিডনী হাসপাতাল ঢাকা,এবং ইউরোলজী বিষয়ক উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োগে চিকিৎসার তিনি দেশের পথিকৃত চিকিৎসক। He is a specialist in Urology Department
(Kidney, Ureter or Urinary Bladder)
সাতক্ষীরার নবীন চিকিৎসকদের উচ্চ চিকিৎসায় যথার্থ অবিভাকের ন্যায় এগিয়ে আসেন তিনি। সাতক্ষীরার রোগীরা অসহায়ভাবে ঢাকায় আসলে তদের পাশে দাঁড়ান সাহায্যের হাত নিয়ে নিঃস্বার্থভাবে।
১৯৭১ এর রণাঙ্গনে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন ও হানাদার বাহিনী কর্তৃক ধৃত হন। পরবর্তীতে অলৌকিকভাবে ৭১ সালের শেষের দিকে যশোর ক্যান্টনমেন্ট থেকে ছাড়া পান। কর্মের অবসরে সমাজ সেবা নিয়ে ব্যাস্ত থাকেন তিনি সব সময়। সমাজ সেবায় অবদান রাখায় বহু সংগঠন কর্তৃক পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি। তার সকল সামাজিক কাজে সদা সাহায্য করেন তার স্ত্রী ফারজানা ইসলাম। বর্তমানে তিনি ঢাকা ইবনে সিনা হাসপাতাল ধানমন্ডিতে নিয়মিত চেম্বার করেন প্রতিদিন বিকাল ৫.০০ হতে ৮.০০ পর্যন্ত।
আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান লায়ন্স ইন্টারন্যাশনালের তিনি বাংলাদেশের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।সাতক্ষীরার অস্বচ্ছল ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সাতক্ষীরা সোসাইটি, ঢাকার পক্ষ থেকে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করেন। তিনি সাতক্ষীরাবাসীয় সেবায় সময় পেলেই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প করেন সাতক্ষীরার বিভিন্ন প্রান্তে।
লেখকঃ ডা. সুব্রত ঘোষ, আহবায়ক, ডক্টরস্ এন্ড মেডিকেল স্টুডেন্টস্ ফ্রম সাতক্ষীরা।
সম্পাদনায়ঃ মোঃ সাইফুজ্জামান মিঠুন