একটি পাল্টা মামলায় আওয়ামীলীগ নেতা হাফেজ রাউফুজ্জামানওরফে লাদেন বাবুকে আটক করেছে পুলিশ। এসুযোগে ১৪ বছর পূর্বে দখল বজায় রাখতে তার এক ভাইকে হত্যা করেছিল। যা মঙ্গলবার সকালে বে-দখল করেছে বিবাদীরা।
প্রাপ্তে তথ্য জানাযায়, সাতক্ষীরা শহরের মুনজিতপুর গ্রামের মৃতঃ আব্দুল মাজেদ মাষ্টারের পুত্র হাফেজ রাউফুজ্জামান ও তার পরিবারের সদস্যদের জমিজমা বিরোধের জের ধরে ইউসুফ সুলতান মিলন, ফারুক হোসেন, মুজিবর রহমান, মনোয়ার হোসেন, আজিবর রহমান সহ ২০-২৫ জন আসামী গত ২ মে খুন যখম করার জন্য ব্যাপক হামলা চালায়। এসময় তারা শ্বীলতাহানী, ঘরে ঢুকে চুরি, ছিন্তাই সহ নানাবিধ অপরাধ সংগঠন করে। হামলায় হাফেজ রাউফুজ্জামানসহ তাঁর পরিবারের সদস্যরা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। এ ঘটনায় হাফেজ রাউফুজ্জামান সাতক্ষীরা সদর থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং-৯, তারিখ-০৫-০৫-২০২০। ধারা ১৪৩, ৪৪৭, ৪৪৮, ৩২৩, ৩২৪, ৩২৫, ৩২৬, ৩০৭, ৩৭৯, ৩৮০, ৩৫৪, ৪২৭, ৫০৬, ১১৪।
মামলা করায় আসামীরা বাদী হাফেজ রাউফুজ্জামানসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের ক্ষতি সাধন করার জন্য বিভিন্ন হুমকি ধামকি ও পরিকল্পনা গ্রহন করতে থাকে। এমনকি আসামীরা কয়েকটি প্রত্রিকায় ও অনলাইনে অশালিন ও আপত্তিকর তথ্য দিয়ে হাফেজ রাউফুজ্জামানের বিরুদ্ধে আপত্তিকর সংবাদ প্রকাশ করে। এঘটনায় হাফেজ রাউফুজ্জামান সোমবার কয়েকজন আসামির বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করার জন্য চেষ্টা তদবির করছিলো। এখবর জানতে পেরে আসামীরা তাদের এক আত্বীয় জনৈক হাসিনা চৌধুরী মিনিকে দিয়ে হাফেজ রাউফুজ্জামানকে আসামী করে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি পাল্টা (মিথ্যা) মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় হাফেজ রাউফুজ্জামানকে রাতেই পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
হাফেজ রাউফুজ্জামান এর পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়। হাসিনা চৌধুরী মামলা করতে থানায় গেছে-এমন খবর পেয়ে হাফেজ রাউফুজ্জামান রাতেই থানায় যান। তিনি ও তার সাথে থাকা লোকজন দেখতে পান, সেখানে হাফেজ রাউফুজ্জামানের দায়ের করা মামলার ২ নং আসামী ফারুক হোসেন, জিমি ও হাসিনা চৌধুরী থানার মধ্যেই রয়েছে। তিনি হাসিনা বেগমের অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন এবং বাড়ি ফেরেন। প্রসঙ্গত ১৯৯৫ এই হাসিনা চৌধুরী রাউফুজ্জামানের পিতা আব্দুল মাজেদ এর নামে একই রকম মিথ্যা অভিযোগ করেছিল যা পুলিশি তদন্তে মিথ্যা প্রমানিত হয়। গভীর রাতে থানার ডিউটি অফিসার মোবাইল ফোনে হাফেজ রাউফুজ্জামানকে ওসি সাহেব দেখে করতে বলেছেন বলে থানায় ডেকে আনেন। তিনি থানায় আসলেই পুলিশ তাকে আটক করে। একজন পুলিশ অফিসার জানান, উপর মহলের চাপেয় হাসিনা বেগমের মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে।
হাফেজ রাউফুজ্জামানের পরিবারবর্গ জানান, তাদের দায়ের করা মামলার আসামীরা এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। তারা বিভিন্ন রকমের হুমকি ধামকি দিচ্ছে। এছাড়া ২ নং আসামী রাতেই থানায় উপস্থিত হয়ে হাসিনা চৌধুরীকে দিয়ে পাল্টা একটি মিথ্যা মাললা দিয়ে হাফেজ রাউফুজ্জামানকে আটক করেছে।
প্রসঙ্গেত ২০০৬ সালে হাফেজ রাউফুজ্জামানের আপন ভাই রাফেউজ্জামানকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে আসামীদের মততদাতারা। মাস্টার আব্দুল মাজেদ এর বড় পুত্র রাশেদুজ্জামান জানান, ফিংড়ী ইউনিয়নের গোবরদাড়ীতে ২০০৬ সালে যে, ১১ বিঘা জমি নিয়ে ভাই রাফেউজ্জামান হত্যা হয়েছিল, সেই জমি আজ মঙ্গলবার সকালে হত্যা মামলার আসামী কাস্টম হামিদুর রহমানের নেতৃত্বে দখল করে নিয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘ ১৪ বছর পর পুলিশ মিথ্যা মামলা গ্রহণ ও ভাই রাউফুজ্জামনকে আটক করার কারণে আজ আমাদের দখলকৃত ও ন্যায্য জমি বে-দখল হল। শুধু তাই নয় আমাদের প্রকৃত মামলা ৯/১৩ এর আসামী গ্রেপ্তার না হওয়া এবং আসামী থানার ভিতরে যেয়ে মিত্যা মামলা দায়ের করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্থ রাশেদুজ্জামান ও তাঁর পরিবার পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেণ।