সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা বেঙ্গল হার্ডওয়ারের কর্মচারী কর্তৃক ব্যবসায়ীর আড়াই লক্ষ টাকাসহ ব্যাগ কৌশলে চুরি করে নেওয়ার প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী আশাশুনি উপজেলার কাপসন্ডা গ্রামের মৃত মতিউর রহমান গাজীর পুত্র ফেরদৌস গাজী। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত ১২ মে ২০২০ তারিখে সাতক্ষীরায় ফাস্ট সিকিউরিটি ব্যাংক হতে ২লক্ষ টাকা ঋণ গ্রহণ করি, সাতক্ষীরা ডাকঘর হতে ৩৪ হাজার টাকা এবং বাড়ী থেকে নিয়ে আসা ১৬ হাজার টাকা মোট ২লক্ষ ৫০ হাজার টাকা একটি ব্যাগে নিয়ে পারিবারিক মালামাল ক্রয়ের জন্য সাতক্ষীরা বেঙ্গল হার্ডওয়ারে যাই। সেখানে গিয়ে ব্যাগটি প্রথমে টেবিলের উপর রাখি। সে সময় আমার চাশমার প্রয়োজন হলে ব্যাগের চেইন খুলে চশমা বের করতে গেলে বেঙ্গল হার্ডওয়ারের কর্মচারী শফিক টাকা দেখতে পায়। এরপর সে আমার ব্যাগের উপর টার্গেট করে মালামাল দেখানোর অযুহাতে ব্যস্ত রাখে এবং ব্যাগটি নেওয়ার জন্য শফিকের নেতৃত্বে অন্যান্য কর্মচারীরা আমার পাশে আনাগোনা করতে থাকে। সেসময় দোকানে তেমন কোন ভীড় ছিলো না। একপর্যায়ে হার্ডওয়ারের বিভিন্ন মালামাল টেবিলের উপর কর্মচারীরা এনে রাখলে আমি ব্যাগটি নিচে পায়ের কাছে রাখি। আমি সেখান থেকে ১০ হাজার টাকার মালামাল ক্রয়ের পর তাদের টাকা দিতে যাওয়ার সময় ব্যাগটি উঠাতে গিয়ে দেখি ব্যাগটি নেই। এতগুলো টাকাসহ ব্যাগটি উধাও হয়ে যাওয়া আমি হতাশ হয়ে ব্যাগটি খুজতে থাকি। ব্যাগটিতে টাকা ছাড়াও পোস্ট অফিসের কাগজপত্র, ব্যাংকের প্রয়োজনী কাগজপত্র ছিলো। কিন্তু হার্ডওয়ার কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে উদাসীনতার পরিচয় দেন এবং উল্টো হার্ডওয়ারের কর্মচারী শফিক বলে“আপনি সাথে কোন ব্যাগ নিয়ে আসেন নি”।
এবিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে এস আই রবীন বাবু ১৩/৫/২০২০ তারিখে তদন্তে যান এবং বেঙ্গল হার্ডওয়ারের নিজস্ব সিসিক্যামেরা না থাকায় পাশ^বর্তী রহমানিয়া হার্ডওয়ারের সিসিক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেন। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে আমি ব্যাগ নিয়ে সেখানে প্রবেশ করেছিলাম এবং কিভাবে কৌশলে বেঙ্গল হার্ডওয়ারের কর্মচারী শফিকের নেতৃত্বে কর্মচারীরা ব্যাগটি পা দিয়ে টেনে নিয়ে চুরি করেছে সেটি সুস্পষ্ট। যদিও বর্তমানে এস আই রবীন বাবু’র পিতা গুরুতর অসুস্থ্য থাকায় আমার টাকার বিষয়টি সমাধান হয়নি। ফুটেজে সুস্পষ্ট প্রমান থাকার পরও বেঙ্গল হার্ডওয়ার কর্তৃপক্ষ আমার টাকা চুরি হওয়ার বিষয়টির প্রতি গুরুত্বারোপ না করে এড়িয়ে যাচ্ছেন। অথচ এই করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে মানুষ আজ দূর্ভোগের মধ্যে রয়েছে। এই সংকটময় সময়ে উক্ত হার্ডওয়ার্ডের পরসম্পদলোভী কর্মচারীরা কৌশলে আমার এতগুলো টাকা চুরি করায় আমি বর্তমানে দিশেহারা হয়ে পড়েছি। ওই চোর কর্মচারী শফিকসহ অন্যান্য কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং তদন্ত পূর্বক আমার প্রাপ্য টাকাসহ ব্যাগটি উদ্ধারের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার, সাতক্ষীরায় নিয়োজিত র্যাব-৬ এর কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
Check Also
আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের খালিয়া রাস্তার বেহাল দশা।। বিপত্তিতে শতাধিক পরিবার।।দ্রুত সংস্কার দাবি
এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড খালিয়া গ্রামের সানাপাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবার একটি …