ঘূর্ণিঝড় আমফান মোকাবেলায় সাতক্ষীরায় ১২৭২ টি নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে প্রস্তুত :জেলা প্রশাসক

ঘূর্ণিঝড় আমফান মোকাবেলায় প্রস্তুতি সভা সম্পন্ন

দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ–পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘আমফান’ সামান্য উত্তর–পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এ কারণে চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজারে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। তদপ্রেক্ষিতে, জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের সাথে দুর্যোগের প্রস্তুতি বিষয়ে জুম মিটিং অনুষ্ঠিত হয়।জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সাতক্ষীরা-২ নির্বাচনী এলাকার মাননীয় সংসদ সদস্য এবং দুর্যোগ ব্যবস্হাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্হায়ী কমিটির সদস্য জনাব মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সাতক্ষীরা-১ নির্বাচনী এলাকার মাননীয় সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট মোস্তফা লুৎফুল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব মনসুর আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জনাব আলহাজ নজরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, নির্বাহী প্রকৌশলী, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক, সিপিপি, খুলনা এর উপ-পরিচালক, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক, জেলা শিক্ষা অফিসার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, জনস্বাস্হ্য প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা, ডিআরআরও এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কর্মকর্তা/ প্রতিনিধিগণ সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ জুমের মাধ্যমে সভায় অংশ গ্রহণ করেন। তারা সভায় স্ব স্ব বিভাগীয় পূর্বপ্রস্তুতি তুলে ধরেন ও মতামত ব্যক্ত করেন।

উপজেলা পর্যায়ের কার্যক্রম মনিটরিং এর জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকগণকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। ইতোমধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), উপজেলা নির্বাহী অফিসার, শ্যামনগর এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি), শ্যামনগর উপকূলীয় দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরায় অবস্হান করে বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী এবং গর্ভবতী নারীদেরকে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসার কাজ শুরু করেছেন।

দুর্যোগ ব্যবস্হাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জনাব শাহ কামাল মহোদয় এবং বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার মহোদয় গত ১৬ তারিখে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নির্দেশনা প্রদান করেন। গতকাল দুপুর ১২.০০ টায় জাতীয় দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বোর্ডের সভাপতি, সিনিয়র সচিব, শাহ কামাল মহোদয়ের সভাপতিত্বে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে করোনা পরিস্থিতিতে ঘূর্ণিঝড় “আমফান” মোকাবেলায় বিভিন্ন দিকনির্দেশনা তুলে ধরেন। এ সভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সাতক্ষীরা জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সমন্বয়ক জনাব শেখ ইউসুফ হারুন, সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং কমিশনার, খুলনা বিভাগ, খুলনা জনাব ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়ন থেকে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসার বিষয়ে বিভিন্ন অসুবিধা ও প্রতিকূলতার বিষয় বোর্ড সভায় মাননীয় প্রতিমন্ত্রী, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় এবং মাননীয় মন্ত্রিপরিষদ সচিব মহোদয়ের নিকট তুলে ধরেন। উপকূলীয় জেলা প্রশাসকগণকে ভিডিওর মাধ্যমে উক্ত সভায় সম্পৃক্ত করা হয়। উক্ত সভা থেকে যে মূল্যবান দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয় তা সভাপতি সভায় তুলে ধরেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা প্রদান করেছেন যে, উপকূলীয় এলাকার শতভাগ মানুষকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তাদের গরু ছাগলসহ নিরাপদ স্হানে স্হানান্তর করতে হবে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের উপকূল সহ বাংলাদেশের খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলাসহ নিকটবর্তী জেলাসমূহে বুধবার ভোর রাতে আঘাত হানার আশংকা রয়েছে। ভারতে আঘাত না হেনে সরাসরি বাংলাদেশে আঘাত হানলে আমাদের জন্য একটি বিপদজনক পরিস্হিতি তৈরি হতে পারে।

সভায় নিম্নলিখিত সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়ঃ

০১ শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা, পদ্মপুকুর, বুড়িগোয়ালিনী, কৈখালী, রমজাননগর ও মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের; আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ও শ্রীউলা ইউনিয়নের এবং কালিগঞ্জ উপজেলার ঝুকিঁপূর্ণ ইউনিয়নের সকল লোকজনকে গবাদী পশুসহ নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী একজন লোককেও অনিরাপদ অবস্হায় রাখা যাবেনা।

০২ জেলায় মোট ১৪৫টি বন্যা / ঘুর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রসহ ১৭০০ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল এবং কলেজ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখা হয়েছে। চাবি সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষকের নিকট সংরক্ষন করা হয়েছে। নৈশ প্রহরীকে সার্বক্ষর্ণিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবস্হানসহ মোবাইল সচল রাখতে হবে। জেলা ও উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাগণ আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও সংশ্লিষ্টদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ ঐ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের মোবাইল নম্বর সংরক্ষণ করবেন।

০৩ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা, সাতক্ষীরা এর অফিস কক্ষে জেলা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। (কালেক্টরেট ভবন, কক্ষ নম্বর ২২৪, টেলিফোন নম্বর ০৪৭১-৬৩২৮১)। উপজেলা পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলতে হবে এবং উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্হাপনা কমিটির সভা করে বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণপূর্বক সভার কার্যবিবরণী জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের বরাবর প্রেরণ করতে হবে।

০৪ প্রত্যেক আশ্রয় কেন্দ্রে একজন স্বাস্থ্যকর্মী এবং প্রয়োজন অনুসারে মিড ওয়াইফারী নিয়োগের বিষয়ে সিভিল সার্জন উপ-পরিচালক, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ এর সাথে সমন্বয় করে জরুরিভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহণ করবেন।

০৫ গাবুরা, পদ্মপুকুর, প্রতাপনগরসহ ঝুকিঁপূর্ণ বেড়ীবাঁধ মেরামতে জরুরি কাজ চলমান রয়েছে। আগামী ০২ দিন (জঙটঘউ ঞঐঊ ঈখঙঈক) ২৪ ঘন্টা কাজ চলমান রাখতে হবে। স্হানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিবিড় যোগাযোগ রাখতে হবে, ঝুকিঁপূর্ণ এলাকায় বিভাগীয় জনবলের উপস্হিতি নিশ্চিত করতে হবে এবং উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে আপদকালীন তহবিল সংগ্রহ করতে হবে।

০৬ সিপিপি-র স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী উপকূলীয় এলাকায় হ্যান্ড মাইকে প্রচারণা চালানোসহ সার্বক্ষনিক প্রস্তুত রয়েছে। রেডক্রিসেন্ট এবং এনজিও কর্মীদের সমন্বয়ে প্রচারণা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। উদ্ধার এবং ত্রাণ কার্যক্রমে তাদেরকে সম্পৃক্ত করতে হবে।

০৭ ইতোমধ্যে ৯৪% ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে। কলারোয়া ও সদর উপজেলায় কিছু বাকী আছে। মাইকিং করে ধান কাটা সম্পন্ন করার জর্যএ প্রচারণা চালানো হচ্ছে। আগামী ০২ দিনের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা নিশ্চিত করতে হবে।

০৮ গবাদী পশু নিরাপদে স্হানান্তরের সাথে সাথে পশু খাদ্য নিরাপদ সংরক্ষনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

০৯ ইউপি চেয়ারম্যান, সিপিপি এর স্বেচ্ছাসেবক এবং মসজিদের মাইক ব্যবহার করে ঘুর্ণিঝড়ের সতর্ক সংকেত প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।

১০ আশ্রয় কেন্দ্রসমূহে পরিবারের সকল সদস্যকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এক স্হানে রাখতে হবে। বৃদ্ধ, শিশু, নারী, প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে। তবে সর্দি কাশি ও শ্বাস কষ্টের রোগীদের জন্য আইসোলেশনের ব্যবস্হা গ্রহণ করতে হবে। এ বিষয়ে প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা গ্রহণ করতে হবে।

১১ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণকারীদের মধ্যে ত্রাণ সহায়তা খাতে প্রদত্ত বরাদ্দ হতে খাদ্য বিতরণ করতে হবে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণের চাহিদার বিপরীতে তাৎক্ষণিকভাবে খাদ্যশস্য সরবরাহ প্রদান করবেন।

১২ সিপিপি ও রেডক্রিসেন্ট এর স্বেচ্ছাসেবক, এনজিও প্রতিনিধি, রোভার স্কাউট এবং বিএনসিসি সমন্বয়ে প্রচার প্রচারণা, উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

১৪ আশাশুনি, শ্যামনগর ও কালিগঞ্জ উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর টিম প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও কর্মী বাহিনীসহ উপজেলা পর্যায়ে প্রস্তুত রাখতে হবে। দ্রুত রাস্তা চালু করতে হবে।

১৫ প্রত্যন্ত অঞ্চলের গবাদী পশুর নিরাপদ স্হানান্তর নিশ্চিত করতে হবে।

১৬ লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে স্হানান্তরের হাল নাগাদ তথ্য প্রতি ০১ ঘন্টা অন্তর জেলা প্রশাসক বরাবর প্রতিবেদন প্রেরণ করতে হবে।

১৭ ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি পুলিশের নিজস্ব কর্মী বাহিনীসহ সরঞ্জাম প্রস্তুত রয়েছে। ফায়ার সার্ভিস বিভাগকে পুলিশ বিভাগের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

১৮ উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, কোস্ট গার্ড, বিজিবি, নৌ পুলিশ ও নৌবাহিনী, সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিগণকে নিরাপদ আশ্রয়ে মানুষকে নিয়ে আসার জন্য একযোগে কাজ করতে হবে।

১৯ প্রয়োজনে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে আগত মানুষের জন্য ইফতার ও সেহরীর ব্যবস্থা করতে হবে।

২০ প্রতিটি আশ্রয় কেন্দ্রে সাবান ও মাস্ক পর্যাপ্ত পরিমাণে রাখতে হবে। প্রতিটি আশ্রয় কেন্দ্রে সিপিপি, রেড ক্রিসেন্ট, রোভার স্কাউট, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধান, পরিচালনা কমিটির সদস্য এবং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করতে হবে। আশ্রয় গ্রহণকারীদের খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা সহ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করতে হবে।

২১ সিপিপি ভলেন্টিয়ারদের মোবাইলে রিচাজ প্রদান করা হলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।

২২ ঝড় থামার আগে কেউ আশ্রয়ে কেন্দ্র ত্যাগ করতে পারবে না।

ঘূর্ণিঝড় আমফান মোকাবেলায় উপজেলাওয়ারী প্রস্তুতিঃ

তথ্য সংগ্রহঃ ১৮ মে, ২০২০ বেলা ২ টা।

সাতক্ষীরা জেলায় মোট আশ্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা ১২৭২ টি। তন্মদ্ধে, আশাশুনি উপজেলায় ১০৬ টি, দেবহাটা উপজেলায় ১০৪ টি, কলারোয়া উপজলেয়ায় ২১৮ টি, কালিগঞ্জে ১১৬ টি, সাতক্ষীরা সদরে ৩৩৩ টি, শ্যামনগরে ৩০৩ টি ও তালায় ৯২ টি। নতুন আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে কালিগঞ্জে ৮৭ টি। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোর ধারণ ক্ষমতা ৫,২২,০০০ জন। ১৮ মে, ২০২০ বেলা ২ টা পর্যন্ত আশ্রিত লোকসংখ্যা ২৫৬০ জন এবং আশ্রিত গবাদি পশুর সংখ্যা ২০৫০ টি। প্রতিটি আশ্রয় কেন্দ্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অবস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে মাস্ক ও সাবানের ব্যবস্থা আছে এবং আইসোলেসন রুমের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

 

Check Also

যশোর বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় কলারোয়ার আ’লীগ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিনিধি :- সাতক্ষীরা: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।