কলারোয়ায় পল্লী চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত

ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ   কলারোয়া: কলারোয়ায় এবার ৪র্থ ব্যক্তি হিসেবে একজন পল্লী চিকিৎসকের করোনা শনাক্তহয়েছে, সেই চন্দনপুর ইউনিয়নেই।নতুন করে শনাক্ত হওয়া আবুল কালাম আজাদ সালেহ (৫১) চন্দনপুর ইউনিয়নেরনাথপুর গ্রামের রমজান আলী মোড়লের পুত্র।রবিবার (২৪ মে) তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে।প্রথম করোনা শনাক্ত চন্দনপুর ইউনিয়নের দাড়কি গ্রামের ঢাকাফেরত মাজেদুলইসলামের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে আবুল কালাম আজাদ সালেহ একজন।তিনি পেশায় পল্লী চিকিৎসক। সালেহ ডাক্তার নামেই তিনি এলাকায় পরিচিত।হিজলদী বাজারে তার ঔষধের দোকান আছে।বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা(ইউএইচ এন্ড এফপিও) ডাক্তার জিয়াউর রহমান জানান, ‘আজ (রবিবার) একজনের
করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে।’কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মুনীর-উল-গীয়াস বলেন- ‘আক্রান্তব্যক্তির বাড়ির আশপাশে ৮/১০টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। একই সাথে যেহেতুতিনি পল্লী চিকিৎসক সেহেতু তার সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের খুঁজে বের করেতাদের নমুনা সংগ্রহের চেষ্টা করা হচ্ছে।’যারা এই পল্লীচিকিৎসকের সংস্পর্শে এসেছিলেন তারা স্বপ্রনোদিত হয়ে নিজেদেরসুরক্ষার স্বার্থে তাদের নমুনা পরীক্ষা করিয়ে নেয়ার আহবান জানান ওসিমুনীর।এদিকে, মোবাইল ফোনে করোনা পজিটিভ আবুল কালাম সালেহ বলেন- ‘দাড়কি গ্রামেরমাজেদুল ইসলাম গত ১০মে ঢাকা থেকে বাড়ি আসার পর সম্ভবত ১১ বা ১২ মেশুধুমাত্র একবার হিজলদী বাজারে আমার ঔষধের দোকানে এসেছিলো। বেশ কিছুক্ষন
অবস্থান করে সে চলে যায়। তারপর যখন মাজেদুলের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসেতখন তার সংস্পর্শে আসা আমারসহ ২৪জনের ১৭মে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষারজন্য পাঠায় স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন। আজ (রবিবার) কলারোয়া হাসপাতালের
ডাক্তার জিয়াউর রহমান (ইউএইচ এন্ড এফপিও) মোবাইল ফোনে আমাকে করোনা পজিটিভরিপোর্টের কথা জানান। ধারণা কারছি মাজেদুলের কাছ থেকে আমার করোনা ভাইরাস
সংক্রমন হতে পারে।’তিনি আরো বলেন- ‘আমাদের নমুনা নেয়া হয় গত ১৭ মে। তবে মাজেদুলের করোনাপজিটিভ রিপোর্ট আসার খবর পাওয়ার পর থেকে আমি বাড়িতেই অবস্থান করছি।’সম্প্রতি ঢাকা কিংবা দেশের অন্য কোথাও তিনি যাননি বলে জানান।উল্লেখ্য, এনিয়ে কলারোয়ায় প্রথমে ১৬মে করোনায় আক্রান্ত দাড়কি গ্রামেরমাজেদুল ইসলাম (৩৭), পরে ২০মে মাজেদুলের স্ত্রী মিম (২২), ২২মে শুক্রবারহিজলদী গ্রামের ইব্রাহীম হোসেন ও ২৪মে নাথপুর গ্রামের আবুল কালাম সালেহডাক্তারের রিপোর্টে করোনা পজিটিভ এসেছে। ৪জনের বাড়ি চন্দনপুর ইউনিয়নেরপাশাপাশি গ্রামে।কলারোয়ায় প্রথম করোনা শনাক্ত ব্যক্তি মাজেদুল ইসলাম ঢাকায় একটি বায়িংহাউসে চাকরি করতেন। গত ১০মে তিনি তার স্ত্রী মিমকে নিয়ে গ্রামের বাড়িচন্দনপুর ইউনিয়নের দাড়কি আসেন। প্রথমে মাজেদুলের করোনা পজেটিভ আসলেও তারস্ত্রীর ছিলো নেগেটিভ। ১৭মে তার স্ত্রীর আবারো নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষারজন্য পাঠালে ২০মে তার করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। ওই গ্রামের লাগোয়া গ্রামহিজলদীতে তৃতীয় করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি ইব্রাহিমগাজীপুরের একটি ঝুটব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। ধারণা করা হচ্ছে মাজেদুল ঢাকা থেকে করোনাআক্রান্ত হয়ে আসার পর তার থেকে সংক্রমিত হয়েছেন তার স্ত্রী ও হিজলদীবাজারের গ্রামডাক্তার আবুল কালাম সালেহ। আর অপর ব্যক্তি ইব্রাহিম গাজীপুরথেকে সংক্রমিত হয়ে এসেছেন।সব মিলিয়ে উপজেলার ৪জন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিই হলেন চন্দনপুর ইউনিয়নেরপাশাপাশি গ্রামের বাসিন্দা।এদিকে, কলারোয়ার একই ইউনিয়নে পরপর ৪জনের শরীরে করোনা সনাক্ত হওয়ায় চারদিকে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।

Check Also

যশোর বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় কলারোয়ার আ’লীগ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিনিধি :- সাতক্ষীরা: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।