১০দিন বিদ্যুৎ হীন কলারোয়া :ফোনের ব্যাটারি চার্জ দিতে র্দীঘ লাইন

ক্রাইমর্বাতা রিপোট:সাতক্ষীরা:  সুপার সাইক্লোন আম্পানের তাণ্ডবে এখনও বিদ্যুৎবিহীন সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার অনেক এলাকা। তাই বাধ্য হয়ে মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক যন্ত্র চার্জ দিতে জেনারেটরের দোকানে ভিড় করছেন সাধারণ মানুষ। ইঞ্জিনভ্যানযোগে জেনারেটর এক স্থান থেকে আরেক স্থানে নিয়ে গিয়ে ভ্রাম্যমান পদ্ধতিতেও এরূপ কার্যক্রম পরিলিক্ষত হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে গত বুধবার (২০ মে) থেকে  উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে। আম্পানের পর সরকারি দফতরগুলোতে সীমিত আকারে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হলেও বাড়িঘর ও বেসরকারি প্রায় সব প্রতিষ্ঠান এখনও বিদ্যুৎবিহীন। তবে লাইনের কাজ চলছে। সব ঠিক থাকলে আজকালের  মধ্যে লাইন চালু করে দেয়া হবে বলে জানান সংশ্লিষ্ঠ পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তারা। এই পরিস্থিতিতে ডিজেলচালিত জেনারেটর দিয়ে বিভিন্ন ইলেকট্রিক যন্ত্রের ব্যাটারি চার্জ দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
উপজেলার কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের কাকডাঙ্গা  বাজারের শফি ডেকোরেটার তার নিজের দোকানে বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন ব্যাটারিতে চার্জ দিচ্ছেন। কাকডাঙ্গা বাজারের মকলেছুর রহমান বলেন, প্রতিটি বাটন মোবাইল ফোন ও টার্চ ফোন চার্জ দিতে নিচ্ছে ৩০ টাকা, টর্চলাইট চার্জ দিতে নিচ্ছে ৩০ টাকা।তিনি আরো বলেন, এই দূর্যোগের সময় ৩০ টাকা অনেক, যদি ১০ টাকা করে চার্জ দিতে নিতো তাহলে সবার সুবিধা হতো, ৩০ টাকা অনেক হয়ে যায়।
আবার অনেক এলাকায় মোবাইল ফোন চার্জ দিতে ২০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

প্রতিদিন ২ শ থেকে ৩ শ  মোবাইল চার্জ দিতে নিয়ে আসে এলাকার মানুষ। এতো ফোন এক সাথে চার্জ হচ্ছে, ঠিক করে রাখেন কিভাবে, কার কোনটা- এমন প্রশ্নের জবাবে ফোন চার্জ দিতে আসা এক ব্যক্তি বলেন,  মোবাইল ফোন বা টর্চলাইট চার্জ করতে দিয়ে যাচ্ছেন তাদের প্রতিটা ফোন ও লাইটে নাম ও নম্বর লিখে রেখে দেয়া হচ্ছে।
বাগাডাঙ্গা গ্রামের শামিম আহমেদ জানান, জরুরি প্রয়োজন থাকায় ৩০ টাকা দিয়েই তার মোবাইলটি চার্জ করে নিয়েছেন। তবে টাকা একটু কম নিলে সকলের সুবিধা হতো।
এমনই অবস্থায় কলারোয়ার বিভিন্ন বাজার ও পার্শ্ববর্তী এলাকার অনেকেই এখন ফোনের ব্যাটারি চার্জ দেয়ার সাময়িক ব্যবসায় নেমেছেন।
শামিম নামে এক ব্যাটারি চার্জারের দোকানদার বলেন, এতে দিন শেষে হাজার খানেক টাকা লাভ থাকছে।
কলারোয়া উপজেলার কাকডাঙ্গা মোড়, বোয়ালিয়া, ফকিরপাড়ার মোড়, শাকদাহ, যুগিখালী, বুইতা, মাদরা, গয়ড়া, বুঝতলা সহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, মোবাইল ফোনে চার্জ দিতে লম্বা লাইন।
সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম (কারিগরী) প্রকৌশলী  মাসুম আহম্মেদ  বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানে সাতক্ষীরা জেলায় ১৭৮২ টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়েছে। তার ছিঁড়েছে বহু স্থানে। এই পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ লাইনে সাতক্ষীরা প্রতিটি উপজেলায় লাইন সংস্কারের কাজ চলছে। সব ঠিক থাকলে আজ রাতের মধ্যে লাইন দেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, কলারোয়া উপজেলায় সব থেকে বিদুৎ লাইনে বেশি ক্ষতি হয়েছে যেসব এলাকায় কাজ শেষ না হলে লাইন দিতে পারছি না। তবে খুব দ্রুত এইসব এলাকায় বিদ্যুৎ লাইন দেয়ার জন্য আমাদের কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছেন দিন রাত ধরে।

Check Also

আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের খালিয়া রাস্তার বেহাল দশা।। বিপত্তিতে শতাধিক পরিবার।।দ্রুত সংস্কার দাবি 

এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড খালিয়া গ্রামের সানাপাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবার একটি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।