ক্রাইমর্বাতা রিপোট:সাতক্ষীরা: সুপার সাইক্লোন আম্পানের আঘাতে খুলনা বিভাগের ৬টি জেলার ১৯৭টি ইউনিয়নে মৎস্যখাতে কমপক্ষে ২৮৪ কোটি ৮ লাখ ৮৪ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়ে মাছ বেরিয়ে গেছে মৎস্যঘের, পুকুর ও নদী থেকে। ভেঙে গেছে মৎস্য প্রকল্পগুলোর অবকাঠামো। ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়েছেন সাদা মাছ, চিংড়ি, কাঁকড়া ও কুচিয়া উৎপাদনকারীরা। বিভাগের ক্ষতিগ্রস্ত ৬টি জেলার মধ্যে খুলনায় ৯৬ কোটি ৭২ লাখ ৪৩ হাজার টাকার, বাগেরহাটে ৫ কোটি ৭১ লাখ ২৭ হাজার টাকার, সাতক্ষীরায় ১৭৬ কোটি ৪৫ লাখ ৪০ হাজার টাকার, ঝিনাইদহে ২ কোটি ৪৯ লাখ ৫০ হাজার টাকার, চুয়াডাঙ্গায় ২ কোটি ৬১ লাখ ৯৪ হাজার টাকার ও মাগুরায় ৮ লাখ ৩০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।
খুলনা বিভাগীয় মৎস্য অধিদফতরের উপপরিচালক নারায়ণ চন্দ্র মন্ডল বলেন, আম্পানের আঘাতে খুলনা বিভাগের ৩১টি উপজেলায় ৬৪ কোটি ৫ লাখ ১৫ হাজার টাকার সাদা মাছ, ১৮৮ কোটি ৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকার চিংড়ি মাছ, ৩ কোটি ১৮ লাখ ৬০ হাজার টাকার সাদা মাছের পোনা, ১৫ কোটি ৯০ লাখ ৮৫ হাজার টাকার চিংড়ি মাছে পোনা (পিএল), ১ কোটি ৮৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকার কুচিয়া ও কাঁকড়া এবং ১০ কোটি ৯৪ লাখ টাকার অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বিভাগীয় মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, আম্পানের কারণে ৭টি বিভাগে পানিতে প্লাবিত হয়েছে ১ হাজার ৫৯২ দশমিক ১২ হেক্টর জমিতে থাকা ৮ হাজার ৯২৮টি পুকুর ও দিঘি। এরমধ্যে কুচিয়া ও কাঁকড়ার চাষ হতো ৬১৩টি পুকুর ও দিঘিতে। এছাড়াও ২৪ হাজার ৭৬২ দশমিক ৩৫ হেক্টর জমিতে থাকা ২২ হাজার ২৪৭টি ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে ৩ হাজার ১৬০ দশমিক ১২ মেট্রিক টন সাদা মাছ ও ১ কোটি ৭৭ লাখ ৮২ হাজার পিস সাদা মাছের পোনা, ৩ হাজার ৬৩৫ দশমিক ৮৯ মেট্রিক টন চিংড়ি ও ২৯ কোটি ৩৮ লাখ পিস চিংড়ির পোনা (পিএল) এবং ৪২ দশমিক ৯৫ মেট্রিক টন কাঁকড়া ও কুচিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
খুলনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবু ছাঈদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে খুলনার ৫টি উপজেলার মৎস্যখাতে ৯৬ কোটি ৭২ লাখ ৪৩ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে কয়রায় ৫১ কোটি ২৩ লাখ ৭০ হাজার টাকার, দাকোপে ২ কোটি ৫৯ লাখ ৯৮ হাজার টাকার, পাইকগাছায় ৭ কোটি ৯৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকার, ডুমুরিয়ায় ২৬ কোটি ৭২ লাখ ৫০ হাজার টাকার ও বটিয়াঘাটায় ৮ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আম্পানের আঘাতে খুলনার ৫ উপজেলায় ২৯ কোটি ২৫ লাখ ৯ হাজার টাকার সাদা মাছ, ৫৯ কোটি ৪২ লাখ ৬ হাজার টাকার চিংড়ি মাছ, ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকার সাদা মাছের পোনা, ১ কোটি ২৮ লাখ টাকার চিংড়ি মাছে পোনা (পিএল), ৯৪ লাখ ৯৫ হাজার টাকার কুচিয়া এবং ৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকার অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
খুলনা জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, লোনা পানিতে প্লাবিত হয়ে ৬২৫ দশমিক ৮১ হেক্টর জমিতে থাকা ৮ হাজার ৯৬টি পুকুর ও দিঘি (কুচিয়া ও কাঁকড়ার ২৪০টিসহ), ৮ হাজার ৫৭৭ দশমিক ৮ হেক্টর জমিতে থাকা ৬ হাজার ৮৬৬টি সাদা মাছ ও চিংড়ি ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে ১ হাজার ১৭৬ দশমিক ৯ মেট্রিক টন সাদা মাছ ও ১ কোটি ৫ লাখ পিস সাদা মাছের পোনা, ১ হাজার ৪৭ দশমিক ৯ মেট্রিক টন চিংড়ি ও ১ কোটি ৪০ লাখ পিস চিংড়ির পোনা (পিএল) এবং সাড়ে ১৭ মেট্রিক টন কাঁকড়া ও কুচিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
খুলনা বিভাগীয় পোনা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও পাইকগাছা উপজেলার পুরস্কারপ্রাপ্ত ঘের ব্যবসায়ী গোলাম কিবরিয়া রিপন বলেন, গত এক বছর ধরে দুর্যোগের কবলে থাকলেও করোনার প্রভাব মারাত্মক। আর আম্পানের আঘাতে সব স্বপ্নেরই সলিল সমাধি হয়েছে।
পাইকগাছার চিংড়ি ব্যবসায়ী লিটন পরামানিক বলেন, করোনার প্রভাবে মাছ রফতানি বন্ধ। দেশের বাজারেও ক্রেতা নেই। তাই বেকার অবস্থায় দিন কাটছে।
কয়রা বাগালি ইউনিয়নের বাগদা চাষি মফিজুল ইসলাম জানান, গরমের কারণে ঘের-পুকুরে চিংড়ি মরে। গরমে ঘেরে পানি কমে, ফের ঝড় বৃষ্টিতে ঘের প্লাবিত হলো। তার ওপর পোনা ও খাবার সংকট, কর্মচারীদের বেতন সব মিলিয়ে বড় ধরনের লোকসানে পড়েছে খামারিরা।
এদিকে, আম্পান ঝড়ের কারণে খুলনার কয়রা উপজেলার ২৪টি পয়েন্ট বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। স্থানীয় অধিবাসী ও প্রশাসনের চেষ্টায় এখনও সেই বাঁধ পুরোপুরি মেরামত করা সম্ভব হয়নি। ঝড় শেষ হওয়ার নয়দিন পর ২১টি পয়েন্ট মেরামত সম্ভব হয়েছে। বাকি এখনও তিনটি পয়েন্ট। তবে পুরো এলাকা লোনা পানিতে প্লাবিত হওয়ায় এই এলাকার ঘেরে ও পুকুর-দিঘিতে যত মাছ ও পোনা ছিল তা সবই মিশে গেছে নদীর পানিতে। অবশ্য সেনাবাহিনী এসব এলাকায় বাঁধের বিষয়ে এখন জরিপ করছে। অচিরেই সেখানে স্থায়ী বাঁধের কাজ শুরু হতে পারে। একই অবস্থা সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকাগুলোতেও। এই জেলারও উপকূলবর্তী বেশ কিছু এলাকায় ভেরিবাঁধের যেসব পয়েন্ট ভেঙে গেছে সেগুলোও এখনও পুরোপুরি মেরামত করা সম্ভব হয়নি।
খুলনায় সাড়ে ৭৬ কোটি টাকার সড়ক ও কালভার্ট ক্ষতি : ঘূণিঝড় আম্ফানের আঘাতে খুলনা জেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) সাড়ে ৭৬ কোটি টাকার সড়ক, কালভার্ট ও সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ১৩৮টি সড়কের দৈর্ঘ্য ২৭১ দশমিক ৫০ কিলোমিটার। আর ৭৩টি সেতু ও কালভার্ট এর দৈর্ঘ্য ৬২০ কিলোমিটার। এর মধ্যে বিভিন্ন স্কুল, আশ্রয় কেন্দ্র, ইউনিয়ন ও উপজেলা ভবন রয়েছে ১৩১টি।
খুলনা এলজিইডির সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন জানান, আম্পানের আঘাতে সবচেয়ে বেশি ২৩ কোটি টাকার সড়ক, সেতু ও কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়রা উপজেলা। ডুমুরিয়ায় ১৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকার, তেরখাদায় ৭ কোটি ৩০ লাখ টাকার, রূপসায় ৬ কোটি ৮২ লাখ টাকার, দাকোপে ৫ কোটি ৯০ লাখ টাকার, পাইকগাছায় ৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকার, দিঘলিয়ায় ৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা, বটিয়াঘাটায় ৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকার, ফুলতলায় ১ কোটি ৯০ লাখ টাকার সড়ক, সেতু ও কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি জানান, খুলনার ৯টি উপজেলায় ১৩৮টি সড়কে ৩৯ কোটি ৯০ লাখ টাকার, ৭৩টি সেতু ও কালভার্ট এ ২৫ কোটি ৪০ লাখ টাকার ও ১৩১টি স্কুল, আশ্রয় কেন্দ্র, ইউনিয়ন ও উপজেলা ভবনে ১১ কোটি ২৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এলজিইডি খুলনা সূত্রে জানা গেছে, আম্পানের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের মধ্যে দাকোপে ১০টি সড়কে সাড়ে ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকায় ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা, বটিয়াঘাটায় ৮টি সড়কের ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকায় ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা, রূপসায় ২৫টি সড়কের ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকায় ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা, তেরখাদায় ১৫টি সড়কের ৪৫ কিলোমিটার এলাকায় ৪ কোটি টাকা, দিঘলিয়ায় ৮টি সড়কের ১৫ কিলোমিটার এলাকায় ৪ কোটি টাকা, ফুলতলায় ৪টি সড়কের ২ কিলোমিটার এলাকায় ৬০ লাখ টাকা, ডুমুরিয়ায় ১৬টি সড়কের ৬৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকায় ৬ কোটি টাকা, পাইকগাছায় ২৫টি সড়কের ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকায় ৫ কোটি টাকা ও কয়রায় ২৭টি সড়কের ৩৮ কিলোমিটার এলাকায় ৯ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি দাকোপে ১০টি সেতু ও কালভার্ট এ ৬০ কিলোমিটারে দেড় কোটি টাকা, বটিয়াঘাটায় ৫টি সেতু ও কালভার্ট এ ৩০ কিলোমিটারে ১ কোটি টাকা, রূপসায় ১২টি সেতু ও কালভার্ট এ ৬০ কিলোমিটারে দেড় কোটি টাকা, তেরখাদায় ১২টি সেতু ও কালভার্ট এ ৬০ কিলোমিটারে ৩ কোটি টাকা, দিঘলিয়ায় ৪টি সেতু ও কালভার্ট এ ২৫ কিলোমিটারে ৫০ লাখ টাকা, ফুলতলায় ৮টি সেতু ও কালভার্ট এ ১৫ কিলোমিটারে ৫০ লাখ টাকা, ডুমুরিয়ায় ৭টি সেতু ও কালভার্ট এ ৭০ কিলোমিটারে ৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা, পাইকগাছায় ৫টি সেতু ও কালভার্ট এ ৫০ কিলোমিটারে ১ কোটি টাকা ও কয়রায় ১০টি সেতু ও কালভার্ট এ ২৫০ কিলোমিটারে ১২ কোটি ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আর স্কুল, আশ্রয় কেন্দ্র, ইউনিয়ন ও উপজেলা ভবনের মধ্যে দাকোপে ৮টিতে ৮০ লাখ টাকা, বটিয়াঘাটায় ৮টিতে ৪৫ লাখ টাকা, রূপসায় ১১টিতে ৮২ লাখ টাকা, তেরখাদায় ৪টিতে ৩০ লাখ টাকা, দিঘলিয়ায় ৩টিতে ২০ লাখ টাকা, ফুলতলায় ১৩টিতে ৮০ লাখ টাকা, ডুমুরিয়ায় ৩৪টিতে ৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা, পাইকগাছায় ১২টিতে ৮৪ লাখ টাকা ও কয়রায় ৩৮টিতে দেড় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
বুলবুলের চেয়ে আম্ফানে সুন্দরবনে তিন গুণ বেশি ক্ষতি : বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনে ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের চেয়ে আম্পানের আগাতে তিন গুণ বেশি ক্ষতি হয়েছে। আম্পানে এ বনের ১২ হাজার ৩৫৮টি গাছ ভেঙেছে। আর বন বিভাগের অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ২ কোটি ১৫ লাখ টাকা। ২০১৯ সালের ১০ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে সুন্দরবনের ৪ হাজার ৫৮৯টি গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। আর বন বিভাগের অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৬২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা।
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতের পর সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপন বন বিভাগের গঠিত ৪টি কমিটির রিপোর্ট থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বনবিভাগের ৪ কমিটি ২৬ মে বিকেলে খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষকের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করে।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, আম্পানের আঘাতে পশ্চিম সুন্দরবনের দু’টি রেঞ্জ এলাকায় ১২ হাজার ৩৩২টি গাছ ভেঙে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত এ সব গাছের মধ্যে গরান গাছের সংখ্যা বেশি। যার মূল্য ১০ লাখ ১০ হাজার ৫৬০ টাকা। এছাড়া স্থাপনা, জেটি, উডেন ট্রেইল, ওয়াচ টাওয়ার ও অবকাঠামোর ৪৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে বাঘ, হরিণসহ অন্য কোনো বন্য প্রাণীর ক্ষতি হয়নি। আর পূর্ব সুন্দরবনের ২টি রেঞ্জ এলাকায় ২৬টি গাছ ভেঙেছে। এ বিভাগের আওতায় জব্দ থাকা বেশ কিছু কাঠ জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে। এতে আর্থিক ক্ষতি ৭ লাখ ৬ হাজার ৮৩০ টাকা। পাশাপাশি পূর্ব বনবিভাগে ১ কোটি ৬০ লাখ টাকার অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে।
সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বশিরুল আল মামুন জানান, সুন্দরবন থেকে সব ধরণের গাছ কাটা নিষিদ্ধ রয়েছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত গাছ পালা ওইভাবেই থাকবে। কোনো গাছ কাটা হবে না।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন জানান, সুন্দরবন নিজ থেকেই বুলবুলের ক্ষতি কাটিয়ে উঠছে। আম্পানের ক্ষয়ক্ষতিও সুন্দরবন নিজেই কাটিয়ে উঠবে। আমাদের কেবল বন বিভাগের প্রয়োজনে ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামোগুলোর মেরামত করতে হবে।
বনবিভাগের খুলনা অঞ্চল’র বন সংরক্ষক (সিএফ) মো. মঈনুদ্দিন খাঁন বলেন, সুন্দরবনকে সময় দিলে সিডর, আইলা ও বুলবুলের আঘাতের ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার মত করেই আম্পানের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠবে।
Check Also
আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের খালিয়া রাস্তার বেহাল দশা।। বিপত্তিতে শতাধিক পরিবার।।দ্রুত সংস্কার দাবি
এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড খালিয়া গ্রামের সানাপাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবার একটি …