ইঞ্জিনিয়ার ছেলে ফ্যান ঠিক করতে না পারায় সার্টিফিকেট ছিঁড়ে ফেললেন মা!

ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ  প্রচণ্ড গরমের মধ্যে বাড়ির ফ্যান নষ্ট হয়ে গেছে। আর ওই ফ্যান ঠিক করতে না পারায় ইঞ্জিনিয়ার ছেলের সার্টিফিকেট ছিঁড়ে ফেললেন মা! পুথিঁগত বিদ্যা আর হাতেকলমে শেখা বিদ্যার পার্থক্য বুঝিয়ে দিলেন তিনি। স্কুল-কলেজ পার হয়ে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিও কাজে আসল না। তাই কাগুজে সার্টিফিকেটটি ছিঁড়ে ফেললেন মা। করোনা ভাইরাসের সংকটের মধ্যে এমনই ঘটেছে ভারতে। খবর এফনিউজহাব ডটকমের।

দেশটির গণমাধ্যমে বলা হয়, চারিদিকে লকডাউন। বাড়ি থেকে বেরোন নিষেধ। বাড়িতে বসে বসে সবারই মেজাজের ১২টা বেজে আছে। অনেকেই খিটখিটে হয়ে যাচ্ছেন। আবার অনেকেই নিজের নানান কাজের মাধ্যমে নিজেকে ব্যস্ত রাখছেন। কিন্তু এর মধ্যেই যদি আপনার বাড়িতে ফ্যান খারাপ হয়ে যায়। আর ইলেক্ট্রিশিয়ান আসতে পারবে না বলে আপনি জানতে পারেন। আর বাড়িতেই যদি থাকে ইলেক্ট্রিক ইঞ্জিনিয়ার ছেলে তাহলে তো কোনও ব্যাপারই না!

কিন্তু এমন মুহূর্তে যদি জানতে পারেন ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার ছেলেও সেই ফ্যান সারাতে পারছে না। তাহলে একে গরম আরেকদিকে ছেলের ওপর রাগ দুটোই একসাথে উথলে পড়ার কথা কিনা? ঠিক এমন টাই ঘটেছে এই পরিবারে। হঠাৎ বাড়ির ফ্যান খারাপ হয়ে যাওয়ায় গরমে নাজেহাল অবস্থা মায়ের। তখন সে তার মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার ছেলেকে ডাকে। ছেলে মায়ের কথা মতো অনেকক্ষণ ধরে দেখেও সেই ফ্যানের অসুবিধে খুঁজতে অক্ষম হয়।

তখনই ফোন করে আসেন ইলেক্ট্রিশিয়ান। সে কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই ফ্যানকে ঠিক করে লাগিয়ে দিয়ে চলে যায়। এর মাঝেই রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠেন মা। রাগে সে ছেলের ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সার্টিফিকেট হাতে নিয়ে ছেলের সামনেই ছিড়ে ফেলে।

Check Also

আজ ১৪ই এপ্রিল সোমবার। পহেলা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ ১৪৩২

আজ ১৪ই এপ্রিল সোমবার। পহেলা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ ১৪৩২। বাংলা বছরের প্রথম দিনকে দেশের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।